Advertisement
১০ মে ২০২৪
Hathras Gangrape

‘গণধর্ষণের শিকার গণতন্ত্র’, রাহুলকে ধাক্কা প্রসঙ্গে মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের

হাথরসে গণধর্ষণের শিকার ১৯ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তাল দেশের রাজনীতি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৪৭
Share: Save:

রাহুল গাঁধীকে গলাধাক্কা দেওয়ায় এ বার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সমালোচনায় মুখ খুললেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তাঁর কথায়, কংগ্রেসের সঙ্গে বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে তাঁদের। কিন্তু রাহুল গাঁধীর মতো এক জন জাতীয় স্তরের নেতার সঙ্গে হাথরসে যে আচরণ করা হয়েছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। রাহুলের সঙ্গে এই আচরণে দেশের গণতন্ত্রই গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় রাহুল ও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে রাজ্যের পুলিশ যে আচরণ করে, তা নিয়ে দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তা নিয়ে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন সঞ্জয় রাউতও। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী এক জন জাতীয় স্তরের নেতা। ওঁদের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু জাতীয় স্তরে স্বীকৃত এক জন নেতা, যিনি কিনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবারের সদস্যও, মাঝ রাস্তায় আটকে পুলিশ তাঁর সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা কেউ সমর্থন করবেন না। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি ছিল মানছি, আইন-শৃঙ্খলার গুরুত্বও বুঝি, কিন্তু এই ধরনের আচরণ কখনও বরদাস্ত করা যায় না।’’

সঞ্জয় রাউত আরও বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী ইন্দিরা গাঁধীর পৌত্র। রাজীব গাঁধী তাঁর পিতা। যাঁরা কিনা দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। রাহুল গাঁধীর রাজনীতির সঙ্গে একমত না-ই হতে পারেন, কিন্তু উত্তরপ্রদেশে যা ঘটেছে, দলিত সম্প্রদায়ের একটি মেয়েকে যে ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এক জন রাজনীতিকের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যে ভাবে তাঁকে আটকানো হয়, তা নিশ্চয়ই টিভিতে দেখেছেন! কলার ঘরে টেনে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় ওঁকে। তাই বলতেই হচ্ছে, দেশের গণতন্ত্রই আজ গণধর্ষণের শিকার।’’

আরও পড়ুন: তৃণমূলকেও বাধা, ডেরেককে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলল পুলিশ​

হাথরসে গণধর্ষণের শিকার ১৯ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তাল দেশের রাজনীতি। নির্যাতিতার পরিবারকে ডিঙিয়ে যে ভাবে রাতারাতি তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় তা-ও নজর কেড়েছে গোটা দেশের। সেই নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের শাসনকালে গত কয়েক বছরে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে বলে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে আসছেন বিরোধীরা। সেই পরিস্থিতিতেই গত কাল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাথরসের উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানে রাজ্য পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। পুলিশের ধাক্কায় রাহুল গাঁধীকে মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যেতেও দেখা যায়।

আরও পড়ুন: পুজোয় ২০০ স্পেশাল ট্রেন, প্রস্তুতি শুরু রেলের​

শুধু সঞ্জয় রাউতই নন, রাহুলের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এ হেন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার-সহ বিরোধী শিবিরের অন্যান্য রাজনীতিকরা। বিজেপির তরফে যদিও রাহুলকে ‘নাটুকে’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE