ছবি: পিটিআই।
হাথরস কাণ্ড নিয়ে বিজেপির একাংশের মধ্যেই সমালোনার মুখে পড়ল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। পুলিশকর্মীর হাতে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার হেনস্থার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মহারাষ্ট্র বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট নেত্রী চিত্রা ওয়াগও। ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য রবিবার যোগীর কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি। প্রিয়ঙ্কার হেনস্থা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। চাপের মুখে রবিবারই প্রিয়ঙ্কার কাছে ক্ষমা চেয়ে তদন্ত শুরু করেছে নয়ডা পুলিশ।
শনিবার হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে ঢোকার মুখে ডিএনডি (দিল্লি-নয়ডা-দিল্লি) উড়ালপুলে মোতায়েন গৌতম বুদ্ধ নগরের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের। সেই সময় প্রিয়ঙ্কার কুর্তি ধরে টানতে দেখা যায় হেলমেট পরা পুরুষ পুলিশকর্মীকে। চিত্রার টুইট, ‘‘এক জন পুরুষ পুলিশকর্মীর সাহস হয় কী করে এক জন মহিলা নেত্রীর পোশাকে হাত দেওয়ার! পুলিশের নিজের সীমা মনে রাখা উচিত।’’
আরও পড়ুন: যোগীর ইস্তফা চেয়ে সত্যাগ্রহ আগরতলায়
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর টুইট, ‘‘যোগী আদিত্যনাথজি, আপনি ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন। ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে আপনার কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।’’ টুইটের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার হেনস্থার ছবিও পোস্ট করেন চিত্রা। গত বছর এনসিপি থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন চিত্রা। তিনি জানান, দল বদলালেও তিনি ‘সংস্কার’ বদলাননি। তার জন্য চিত্রার প্রশংসা করেছেন মহারাষ্ট্র যুব কংগ্রেসের প্রধান সত্যজিৎ তোম্বে।
আরও পড়ুন: রাহুলকে আক্রমণ বিজেপি বিধায়কের
বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার মুখে পড়ে গত কালই ক্ষমা চেয়েছে নয়ডা পুলিশ। দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশও। বিবৃতি দিয়ে জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘মারমুখী জনতাকে সামলাতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য নয়ডা পুলিশ অনুতপ্ত। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবে রাহুলের সভাতেই কোন্দল
এই ঘটনায় নয়ডার ডিসিপি (সদর দফতর) এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মহিলাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা দিতে আমরা দায়বদ্ধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy