Advertisement
E-Paper

পাক সেনার ‘ব্যবহার’ জানা যাবে অভিনন্দন ফিরলেই, বললেন কার্গিল যুদ্ধের হিরো নচিকেতা

অভিনন্দনকে ধরার কিছু ক্ষণ পরই তাঁর রক্তাক্ত ছবি সামনে আসায় উদ্বিগ্ন হয়েছিল ভারত সহ সারা দুনিয়া। পাক সরকার প্রকাশিত ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ক্লিপে অবশ্য অভিনন্দনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তিনি ভাল ব্যবহার পেয়েছেন। এবং পাক সেনা কর্তাদের  ব্যবহারে তিনি খুশি।’’ অভিনন্দনকে ভাল ভাবে রাখার কথা পাক সরকারও জানায় বিভিন্ন সময়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ১৫:১৩
ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট নচিকেতা। ফাইল চিত্র।

ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট নচিকেতা। ফাইল চিত্র।

ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে আসলে কী রকম ব্যবহার করেছে পাক সেনা, তা জানা যাবে অভিনন্দন দেশে ফিরলেই। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে এই মন্তব্য করলেন কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম হিরো এবং ভারতীয় বায়ুসেনার তৎকালীন গ্রুপ ক্যাপ্টেন কাম্বামপাতি নচিকেতা। ১৯৯৯ সালে পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েছিলেন হয়েছিলেন তিনি। আট দিন পর তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল পাক সরকার।

১৯৯৯ সালের ২৭ মে। কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২৭ দিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন নচিকেতা। হঠাৎই আগুন লেগে যায় তাঁর যুদ্ধবিমানের আগুনে। বিমান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে এলেও তাঁকে হেফাজতে নেয় পাক সেনা। আট দিন পর তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দিলেও এই কটা দিন তাঁর উপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়েছিল পাক সেনার নর্দার্ন ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন।

সেই দুঃসহ সাত দিনের কথা মনে করে নচিকেতা সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, ‘‘ওঁকে আটক করেছে পাক সেনা, এটা জানার পর খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। যদিও এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে সব কিছু সহ্য করে থাকতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ আমাদের সেনাদের দেওয়া হয়। তাই অভিনন্দন নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। দেশে ফেরার পর ও নিশ্চিত ভাবেই আবার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।’’

আরও পড়ুন: আকাশযুদ্ধে ঠিক কী ভাবে বুড়ো মিগ হারিয়ে দিল এফ ১৬-কে? দেখে নেওয়া যাক

নিজের সঙ্গে অভিনন্দনের ঘটনার তুলনা করে নচিকেতা বলেছেন, ‘‘কার্গিল ছিল সীমিত দূরত্বের আক্রমণ। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গিদের নিকেশ করতে আকাশপথে আক্রমণ চালানো হয়েছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে।’’

অভিনন্দনকে ধরার কিছু ক্ষণ পরই তাঁর রক্তাক্ত ছবি সামনে আসায় উদ্বিগ্ন হয়েছিল ভারত সহ সারা দুনিয়া। পাক সরকার প্রকাশিত ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ক্লিপে অবশ্য অভিনন্দনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তিনি ভাল ব্যবহার পেয়েছেন। এবং পাক সেনা কর্তাদের ব্যবহারে তিনি খুশি।’’ অভিনন্দনকে ভাল ভাবে রাখার কথা পাক সরকারও জানায় বিভিন্ন সময়।

আরও পড়ুন: পাক সেনার হাত থেকে তথ্য গোপন করতে দরকারি নথি খেয়ে ফেলেছিলেন অভিনন্দন!

নচিকেতার বক্তব্য, ‘‘কর্তব্যরত অবস্থায় যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরা হয়েছে অভিনন্দনকে। জেনিভা সম্মেলনের স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে পাকিস্তানের দায়িত্ব ওঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা এবং সুস্থ ভাবে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া।’’ একই সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আসলে কী ব্যবহার করা হয়েছে তা জানা যাবে ও দেশে ফেরার পরই।’’

Abhinandan Captain Nachiketa Prisonar of War Kargil War
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy