Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

আজানে কি শব্দদূষণ, মেপে দেখার নির্দেশ দিল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল

চার মাস আগে হনুমান জয়ন্তী পালন করতে মোটরবাইক মিছিল করে দিল্লির রাস্তায় নেমেছিল অখণ্ড ভারত মোর্চা। মসজিদের সামনে গিয়ে, অস্ত্রশস্ত্র হাতে স্লোগান তুলে গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত এখনও চলছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০৫:১৯
Share: Save:

চার মাস আগে হনুমান জয়ন্তী পালন করতে মোটরবাইক মিছিল করে দিল্লির রাস্তায় নেমেছিল অখণ্ড ভারত মোর্চা। মসজিদের সামনে গিয়ে, অস্ত্রশস্ত্র হাতে স্লোগান তুলে গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত এখনও চলছে।

সেই অখণ্ড ভারত মোর্চার অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত এ বার নির্দেশ দিল, পূর্ব দিল্লির সাতটি মসজিদ থেকে আজানের শব্দে শব্দদূষণ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। অখণ্ড মোর্চার অভিযোগ ছিল, পরিবেশ রক্ষা আইন ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি ভেঙে ওই মসজিদগুলি আজানের সময়ে লাউডস্পিকার বাজাচ্ছে। চেয়ারপার্সন বিচারপতি আদর্শকুমার গয়ালের নেতৃত্বাধীন পরিবেশ আদালতের বেঞ্চের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় ও দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে শব্দদূষণ যাচাইয়ের কাজটি করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মধ্যে যাতে লাউডস্পিকার বাজানো হয়, তা দেখার দায়িত্ব দিল্লি পুলিশের।

আদালতের এই নির্দেশ পেয়ে উল্লসিত মোর্চার সভাপতি সন্দীপ আহুজা। তিনি বলেন, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যা করার করবে। তার সঙ্গে আমরাও পরীক্ষা করতে নামব। সোজা ১০০ নম্বরে ফোন করে আজানের আওয়াজ শুনিয়ে দেব।’’

বিধি অনুযায়ী, হাসপাতাল-স্কুলের মতো ‘সাইলেন্স জোনে’ লাউডস্পিকারের নির্ধারিত মাত্রা দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল, রাতে ৪০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৫৫ ডেসিবেল ও ৪৫ ডেসিবেল। অখণ্ড মোর্চার আইনজীবী রাহুলরাজ মালিকের আদালতে অভিযোগ ছিল, অনেক মসজিদের কাছে স্কুল-হাসপাতালও রয়েছে।

আরও পড়ুন: গণহারে গণপিটুনির দায় বিরোধীদের উপরে চাপালেন মোদী

১৯৯৮-তে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ বৈকুণ্ঠলাল শর্মা অখণ্ড ভারত মোর্চা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান সভাপতি সন্দীপ আহুজা আরএসএস, বজরং দল, যুব মোর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রতি বছরই হনুমান জয়ন্তীতে ‘বজরং সশক্ত র‌্যালি’ বার করে মোর্চা। হালফিলে মিছিলের দৈর্ঘ্য, বাইক বেড়েছে। সন্দীপের যুক্তি, ‘‘হিন্দুদের অনুষ্ঠানেও স্পিকার বাজে। অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু ‘ওঁরা’ অনুমতি ছাড়াই দিনে পাঁচ বার লাউডস্পিকার বাজান। আইন সকলের জন্যই এক হওয়া উচিত। এই জন্যই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দাবি তুলছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sound Sound pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE