Advertisement
E-Paper

খুনের আসামিকে মালা গোরক্ষকদের, প্যাঁচে মন্ত্রী

বিষয়টিকে ‘নিন্দনীয়’ বলে টুইটারে তোপ দেগেছেন ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দলনেতা জেএমএমেএর হেমন্ত সোরেন।

 সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০২:২৪
জয়ন্ত সিন্‌হার বিতর্কিত ছবি।

জয়ন্ত সিন্‌হার বিতর্কিত ছবি।

গোরক্ষার নামে পিটিয়ে খুন! ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তারা দোষী সাব্যস্তও। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেতেই সেই গোরক্ষকদের গলায় মালা দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা। হাজারিবাগের বাড়িতে তাঁর এই ‘আপ্যায়ন’-এর ছবি ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কংগ্রেসের মতে, নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে বিজেপি সব কিছু করতে পারে। মন্ত্রী অবশ্য আজ টুইটে লিখেছেন, ‘‘যা করেছি, আইনকে সম্মান জানিয়েই করেছি।’’ টুইটারে জয়ন্তের আচরণের কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁর বাবা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা। বলেন, ‘‘এক সময়ে আমাকে উপযুক্ত ছেলের অনুপযুক্ত বাবা বলা হয়েছিল। এখন বিষয়টি উল্টে গিয়েছে।’’

গত বছর জুনে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের রামগড়ে আলিমুদ্দিন আনসারি নামের এক মাংস ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের একটি দল। জয়ন্ত সিন্‌হা হাজারিবাগেরই সাংসদ। সেই মামলায় চলতি বছরের মার্চে অভিযুক্ত ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে এক জন আবার বিজেপিরই নেতা এবং দলের ওবিসি মোর্চার প্রেসিডেন্ট অমরদীপ যাদব। সিন্হা তখনই পুলিশি তদন্তে নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্ত চান। সেই সূত্রেই মামলা গিয়েছিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে। ২৯ জুনের শুনানিতে ওই ১১ জনের মধ্যে ৮ জনকে জামিনে মুক্তি দেয় আদালত। আর তার পরেই গত মঙ্গলবার তারা সিন্‌হার বাড়িতে যায় বলে খবর। সেখানে ফুল-মালায় শুধু অভ্যর্থনা নয়, তাদের পাশে নিয়ে দিব্যি হাসি মুখে ক্যামেরার মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছে মন্ত্রীকে।

বিষয়টিকে ‘নিন্দনীয়’ বলে টুইটারে তোপ দেগেছেন ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দলনেতা জেএমএমেএর হেমন্ত সোরেন।

এত দিন মুখে কুলুপ আঁটলেও আজ টুইট করে সিন্‌হা বলেন, ‘‘আমি হিংসার বিরুদ্ধে। নাগরিক অধিকার ভঙ্গ করলে শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু দেখতে হবে প্রকৃত অপরাধীই যেন শাস্তিটা পায়। বিচারব্যবস্থায় পূর্ণ আস্থা আছে আমার। হাইকোর্ট ওদের সাজা স্থগিত করেছে। আবার শুনানি হবে।’’

Jayant Sinha Ramgarh case Minister of State for Civil Aviation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy