Advertisement
E-Paper

‘পরকীয়া অপরাধ’ বহাল থাক সেনায়, বেঞ্চ গঠনে প্রধান বিচারপতিকে আর্জি

২০১৮ সালে শীর্ষ আদালত রায়ে জানিয়েছিল, পরকীয়া সম্পর্ক অপরাধ নয়। ওই আইন ব্যক্তি স্বাধীনতা, সম্মান, নারী-পুরুষ সমান অধিকারের পরিপন্থী।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:৪৪
সেনা বিভাগে পরকীয় ‘অপরাধ’ রাখার আর্জি কেন্দ্রের।

সেনা বিভাগে পরকীয় ‘অপরাধ’ রাখার আর্জি কেন্দ্রের।

পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে সেনাবাহিনীতে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবেই রাখা হোক— কেন্দ্রের এই আর্জি শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের এই আবেদন বিচার করে দেখার জন্য প্রধান বিচারপতির এস এ বোবদের কাছে পাঠিয়েছে ২ বিচারপতির বেঞ্চ। নোটিস পাঠানো হয়েছে মামলাকারীকেও।

২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী পরকীয়া ছিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই আইন অনুযায়ী কোনও পুরুষ অন্য কোনও বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা ছিল দণ্ডনীয় অপরাধ। সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান ছিল ওই আইনে।

ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর এক যুগান্তকারী রায় দিয়ে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছিল, পরকীয়া সম্পর্ক অপরাধ নয়। ওই আইন ব্যক্তি স্বাধীনতা, সম্মান, নারী-পুরুষ সমান অধিকারের পরিপন্থী। বিচারপতিরা আরও বলেছিলেন, ওই আইনে বিবাহিতা মহিলাদের পণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বঞ্চিত করা হয়েছে তাঁদের যৌন স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও। এই রায়ের ফলে ১৫৮ বছরের আইন কার্যত বিলোপ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: দেশজ রাজনীতির সৌরমন্ডলে কেডি হলেন আধুনিক মগনলাল মেঘরাজ

আরও পড়ুন: আপাতত দল বড় করে পরে ছাঁকনি, নীলবাড়ির লক্ষ্যে এখন দিলীপ-নীতি

তবে দেশের সামরিক বাহিনীতে দণ্ডবিধি বেশ কিছু ক্ষেত্রে আলাদা। কঠোর নিয়মানুবর্তিতার পাশাপাশি আইনও অত্যন্ত কড়া। এই ধরনের ‘অপরাধ’-এর ক্ষেত্রে চাকরি থেকে অপসারিত পর্যন্ত করা হয়। সেই দিকটি মাথায় রেখেই সেনাবাহিনীতে ওই আইন বলবৎ করার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। সেই মামলা গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে বিচারপতি আর এফ নরিম্যান এবং নবীন সিংহের বেঞ্চ। ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করার সুপারিশ করেছেন দুই বিচারপতি। প্রধান বিচারপতিকে সেই বেঞ্চ গঠনের আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি ২০১৮ সালে যাঁর মামলার ভিত্তিতে পরকীয়া সম্পর্ক অপরাধ নয়, এই রায় দেওয়া হয়েছিল, তাঁকেও নোটিস পাঠিয়েছে বিচারপতি নরিম্যানের বেঞ্চ।

Adultery Armed Forces Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy