ছবি: রয়টার্স
ভারতে লোকসভা ভোটে মোট প্রার্থীর প্রায় ১৯%-এর বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, খুন বা অপহরণের মতো অভিযোগ রয়েছে। একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। তাদের দাবি, গত দশ বছরে সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকটাই। ২০০৪-র লোকসভা ভোটে এই সংখ্যাটা ছিল ১৫%। ২০০৯-এ যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭%-এ।
ভারতে ভোট ও তার সঙ্গে যুক্ত নানা বিষয় নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে নয়াদিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)। সোমবার তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে এই সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা দিয়েছে। সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জগদীপ ছোকারের মতে, ‘‘এই পরিসংখ্যান নিয়ে আমাদের প্রত্যেকের ভাবা উচিত। প্রশ্ন হল, এই ধরনের অপরাধে নাম জড়িত থাকার পরেও কেন এঁদের প্রার্থী করা হবে?’’
এখন অন্তত দু’বছর কারাদণ্ড হবে এমন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ভোটে প্রার্থী হওয়া যায় না। তার আগে পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তের রাজনীতির ময়দানে নামতে বাধা নেই। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এ বার বিজেপির অন্তত ৪০% প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। কংগ্রেসও পিছিয়ে নেই। তাদের দলে এমন প্রার্থী রয়েছেন ৩৯%। ২৩ মে রায়। তার আগে এডিআর-এর সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও তথ্য। দেশ জুড়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের থেকে কতটা নগদ টাকা, মদ, সোনা বা মাদক ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে তার একটা হিসেব দিয়েছে এডিআর। প্রার্থীদের সম্পত্তির পরিমাণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা মহিলাদের প্রার্থীর সংখ্যা নিয়েও সেখানে তথ্য রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy