একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে বারেবারে দলকে অস্বস্তিতে ফেলছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। চাপের মুখে এ বারে তাঁকে দলীয় দফতরে রীতিমতো ডেকে পাঠিয়ে ‘উস্কানিমূলক কথা’ না-বলারই পরামর্শ দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, গত কাল ভোপালের বিজেপি প্রার্থীকে ডেকে চার ঘণ্টা ধরে বুঝিয়েছেন দলের নেতারা। সাবধান করেছেন, ভোটের মুখে এ ভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করলে বিপদ বাড়বে। এও বলা হয়েছে, জেলে থাকাকালীন অত্যাচারের যে অভিযোগ তিনি এনেছেন, তা নিয়ে যেন বয়ান না বদলান।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নানা মন্তব্য করে জলঘোলা করছেন মালেগাঁও বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত। এক বার তিনি বলছেন, তাঁর ‘অভিশাপে’ই মুম্বই হামলার সময়ে পাক জঙ্গিদের হাতে মারা যান মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন স্কোয়াডের প্রধান হেমন্ত কারকারের। কখনও আবার বলছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য তিনি ‘গর্বিত’। যার জেরে ইতিমধ্যেই দু’-দু’বার নির্বাচন কমিশনের নোটিস পেয়েছেন প্রজ্ঞা। তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি তুলে আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। মায়ার টুইট, ‘‘প্রজ্ঞার দাবি, উনি নাকি ধর্মযুদ্ধে নেমেছেন! বিজেপি তথা আরএসএসের আসল মুখ এঁরাই দেখিয়ে দিচ্ছেন। বিজেপির এই রত্নটির প্রার্থী-পদ কেন বাতিল করে দিচ্ছে না কমিশন?’’ বিজেপি যদিও প্রথম থেকেই বলে আসছে, কারকারেকে নিয়ে প্রজ্ঞার মন্তব্য একান্তই ‘ব্যক্তিগত’ ক্ষোভ থেকে, কিন্তু তাতে পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। সাধ্বীকে টিকিট দেওয়ার জন্য এ দিন বিজেপিকেই দুষেছেন কারকারের আত্মীয়
কিরণ দেব।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রজ্ঞার সমর্থনে মুখ খুলে তাঁকে ‘দেশভক্ত ও ভারতের নিরীহ সন্তান’ বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা শিবরাজ সিংহ চৌহান। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইনকে ভুল পথে চালিয়ে মালেগাঁও বিস্ফোরণে ফাঁসানো হয় প্রজ্ঞাকে। জেলে তাঁকে অমানবিক অত্যাচার করা হয়। সে সময়ে ‘হিন্দু সন্ত্রাসের’ ধুয়ো তুলে আইনকে বিভ্রান্ত করেছিল কংগ্রেস।
যার পিছনে ছিল দিগ্বিজয় সিংহের চক্রান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘ওই আসনে যে কোনও প্রার্থীই দিগ্বিজয়কে হারাতে পারতেন। বিজেপি প্রজ্ঞাকে বেছেছে। এ নিয়ে এত হইচইয়ের কী আছে?’’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘প্রজ্ঞাকে টিকিট দিয়ে বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। কারণ এই একটি তাসই এখন তাদের হাতে আছে। দেশের মানুষ জানেন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের জন্যই এ সব করছে বিজেপি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy