Advertisement
E-Paper

‘যেমন ভোট পাব, তেমন কাজ’! উন্নয়নের ‘এবিসিডি’ ফর্মুলা দিয়ে বিতর্কে মেনকা

সুলতানপুরের বিজেপি প্রার্থীর ব্যাখ্যা, বিজেপি ৮০ শতাংশ ভোট পেলে সেই এলাকা ‘এ’ ক্যাটেগরিতে পড়বে। এর পর প্রাপ্ত ভোটের হিসাব ৬০ শতাংশ হলে ‘বি’, ৫০ শতাংশের কম হলে ‘সি’ এবং ‘ডি’ ক্যাটেগরিতে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৩৬
নির্বাচনী জনসভায় ‘এবিসিডি’ ফর্মুলা মানেকা গাঁধীর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

নির্বাচনী জনসভায় ‘এবিসিডি’ ফর্মুলা মানেকা গাঁধীর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

ভোট কি প্রার্থীর পরীক্ষা,নাকি ভোটারের? উত্তরে এক কথায় সবাই বলবেন প্রার্থীর। কিন্তু মেনকা গাঁধী বলছেন উল্টো কথা। নির্বাচনী জনসভায় এমন মন্তব্য করলেন, যেন বুথে বুথে পরীক্ষা দিতে যাবেন ভোটাররাই। ‘মুসলিমরা ভোট না দিলে তাঁদের চাকরি দেব না’— এমন মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই কমিশনের কোপে পড়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী। এ বার নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন উন্নয়নে গ্রেডিং চালু করার কথা বলে। অর্থাৎ যাঁরা তাঁকে বেশি ভোট দেবেন, সেই এলাকায় বেশি উন্নয়ন হবে। তিনি কম ভোট পেলে তার ছাপ পড়বে উন্নয়নে।

সেটা কি রকম হবে, মেনকার উন্নয়ন মডেল? পরীক্ষার নম্বরের মতো নিজেই উদ্ভাবন করেছেন, ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ ‘ডি’গ্রেডিং প্রথা। সেটা কী রকম? উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরেবিজেপি প্রার্থীর ব্যাখ্যা, বিজেপি ৮০ শতাংশ ভোট পেলে সেই এলাকা ‘এ’ ক্যাটেগরিতে পড়বে। এর পর প্রাপ্ত ভোটের হিসাব ৬০ শতাংশ হলে ‘বি’, ৫০ শতাংশের কম হলে ‘সি’ এবং ‘ডি’ ক্যাটেগরিতে।

যদিও মেনকার কথায় এটা নতুন নয়। ২০১৪ সালে পিলিভিত থেকে সাংসদ হয়েছিলেন মেনকা। সেখানেও গত পাঁচ বছরে এই ফর্মুলাতেই উন্নয়নের কাজ হয়েছে। মেনকা বলেন, ‘‘পিলিভিতে আমরা যখনই জিতেছি, সেখানে কাজের কী নিয়ম ছিল? লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত গ্রামগুলিকে আমরা ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, এবং ‘ডি’ পর্যায়ে ভাগ করেছিলাম। কাজের সূত্র হল, ‘এ’ ক্যাটেগরির গ্রামগুলিতে ৮০ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ কাজ প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে অন্যান্য গ্রামে উন্নয়নের কাজ হয়।’’ এর দাওয়াই বাতলে ভোটারদের প্রতি মেনকার আহ্বান, ‘‘এ বার আপনারাই ঠিক করুন, নিজেদের গ্রামকে কোন ক্যাটেগরিতে রাখবেন।’’

আরও পডু়ন: ঘৃণা ভাষণ: যোগী-মায়াবতীকে নির্বাচন কমিশনের শাস্তি, নিষেধাজ্ঞা জারি প্রচারে

আরও পড়ুন: না ঘুমিয়ে কর্তব্য পালন করুন, সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কৃত নির্বাচন কমিশন

কয়েক দিন আগেই নির্বাচনী জনসভায় মেনকা কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন, মুসলিমরা ভোট না দিলেও তিনি জিতবেন। কিন্তু জেতার পর চাকরির জন্য মুসলিমরা তাঁর কাছে গেলে, তখন ভেবে দেখবেন, তাঁদের চাকরি দেবেন কিনা। অর্থাৎ কার্যত মুসলিমদের যে চাকরি দেবেন না, সে কথাই বলতে চেয়েছিলেন মেনকা। তার জেরে কমিশন নোটিস ধরিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল মন্ত্রীর।

সোমবারই এই উত্তরপ্রদেশে ঘৃণা-ভাষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীর প্রচারে রাশ টেনেছে নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে যোগী ৭২ ঘণ্টা এবং মায়াবতী ৪৮ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না। তার মধ্যেই মেনকার এই মন্তব্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী কংগ্রেস এবং এসপি-বিএসপি জোট। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই মন্তব্যের জেরে ফের কমিশনের কোপে পড়তে পারেন মেনকা।

Lok Sabha Election 2019 Maneka Gandhi Sultanpur BJP Campaign
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy