কেদারনাথ মন্দিরের পাশে পবিত্র গুহায় ধ্যানরত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। সেই থেকে বিশ্রাম নেই। বাকি সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতো সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন এনডিএ শিবিরের তারকা জুটি অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীও। এখনও সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ বাকি থাকলেও শেষ হয়েছে প্রচার। অর্থাৎ, প্রচারের কাজে দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে। আপাতত অপেক্ষা ২৩ মে-র। ওই দিন জানা যাবে, দেশের জনগণ কী রায় দিলেন?
তাই আজকের দিনটা প্রার্থনার জন্যই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দু’জনের গন্তব্য অবশ্য ভিন্ন ছিল। শনিবার সকাল সকালই গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরে গিয়ে পুজো ও প্রার্থনা করলেন অমিত। আর নরেন্দ্র মোদী দু’দিনের সফরে এ দিন সকালেই পৌঁছে যান উত্তরাখণ্ডে। পুজো দেন কেদারনাথ মন্দিরে।
পাহাড়ি পোশাক পরে প্রায় আধ ঘণ্টা কেদারনাথ মন্দিরে ছিলেন মোদী। মন্দির চত্বর প্রদক্ষিণের পাশাপাশি মন্দিরে ঢুকে পুজোও দেন, ঘুরে দেখেন কেদারনাথ মন্দির প্রাঙ্গনে চলতে থাকা উন্নয়নের কাজও। জানা গিয়েছে, এখানে দুপুরের পরে ধ্যানে বসেন তিনি। শুধু কেদারনাথ নয়, আগামী কাল বদ্রীনাথ মন্দিরেও যাবেন নরেন্দ্র মোদী।
সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনের ‘বিভেদ গুরু’ কটাক্ষ, পাকিস্তানি লেখকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মোদী
সরকারি কাজেই মোদী কেদারনাথ মন্দিরে যাবেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এমনটাই জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। কারণ, এখনও চালু রয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। আর সে কারমেই তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কমিশন। আগামী কাল নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে ভোট। নির্বাচনী আচরণবিধির কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-ও।
#WATCH Prime Minister Narendra Modi reviews redevelopment projects in Kedarnath. #Uttarakhand pic.twitter.com/cFMH9PqVyC
— ANI (@ANI) May 18, 2019
আরও পড়ুন: ‘যেন মন কি বাত’, মোদীর সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের
গত নভেম্বরেও দিওয়ালির সময় কেদারনাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন মোদী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ৭৫৫ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই শৈব তীর্থে নিয়মিতই যান তিনি।
মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার পথে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy