পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী প্রচার পর্বে কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে প্রয়াত রাজীব গাঁধীকে একাধিক বার আক্রমণ করেছেন। কখনও তাঁর আমলে হওয়া বফর্স দুর্নীতির উল্লেখ করেছেন। কখনও বা সেনার যুদ্ধজাহাজকে ব্যক্তিগত ট্যাক্সির মতো ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। আবার কখনও তাঁকে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর ওয়ান’-এর তকমা দিয়েছেন। তা নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েছেন। তবে সে সব রাজনৈতিক তিক্ততা সরিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীবকে তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার সকালে একটি সংক্ষিপ্ত টুইটবার্তায় মোদী লিখেছেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী রাজীব গাঁধীকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ।’
Tributes to former PM Shri Rajiv Gandhi on his death anniversary.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 21, 2019
রবিবারই শেষ হয়েছে সাত দফা জুড়ে চলা লোকসভা নির্বাচন। তবে নির্বাচনী প্রচারে রাজীব-প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদীর আক্রমণের তীব্রতা এখনও তাজা রয়েছে কংগ্রেসের কাছে। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে বহু বার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মোদী। উত্তরপ্রদেশের একটি জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর উদ্দেশে বলেছেন, “আপনার বাবা তাঁর কাছের মানুষদের জন্য ‘মিস্টার ক্লিন’ হতে পারেন। কিন্তু, তাঁর জীবন শেষ হয়েছে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর ওয়ান’ হয়ে।” আবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের সভায় মোদীর দাবি, “রাজীব গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সমুদ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইএনএস-বিরাট যুদ্ধজাহাজে গোটা পরিবার নিয়ে একটি নির্জন দ্বীপে দশ দিনের ছুটি কাটাতে যান। নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকেদেরও। যুদ্ধজাহাজকে ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করেন তাঁরা!”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ ধরনের আক্রমণের পর প্রশ্ন উঠেছে মোদীর রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ নিয়ে। কংগ্রেস ছাড়াও তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতানেত্রী। মোদীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব। সমালোচনা করেছেন শিক্ষা জগতের প্রতিনিধিরাও। গোটা বিষয়ে তিক্ততা বেড়েছে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে।
তবে সে সব কটাক্ষ-অভিযোগ সরিয়ে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকীতে সৌজন্যমাফিক শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy