পিএনবি-কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদী।—ফাইল চিত্র।
পিএনবি-কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদী লন্ডনে গ্রেফতার হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেই ফেললেন, ‘‘চৌকিদার সে বচনা মুশকিল হি নহি, নামুমকিন হ্যায়।’’ রবিশঙ্কর এ হেন মন্তব্য করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জয়গান গাইতে তেমন ভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে মাঠে নামল না বিজেপি।
সরকার এবং বিজেপি সূত্রের খবর, আজ জামিন না মিললেও নীরব আগামী সপ্তাহেই লন্ডনের আদালতে জামিন পেয়ে যেতে পারেন। যেমনটা আর এক পলাতক শিল্পপতি বিজয় মাল্য পেয়ে গিয়েছিলেন। তা আঁচ করেই বিজেপি শিবির আগেভাগে ঢাক পেটাতে নামেনি। বরং পদ্ম শিবির নীরবের গ্রেফতারির ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে বুঝে, আগেই মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে ‘গট আপ’ আখ্যা দিয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার তির্যক মন্তব্য, ‘‘এটা সাফল্য বুঝি? পালাতে দিয়েছিল কে?’’
রবিশঙ্কর, প্রকাশ জাভড়েকরেরা নীরবের গ্রেফতারির কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের বক্তব্যের নির্যাস, ‘‘তুমি দেশ ছাড়তে পারো, কিন্তু দেশের চৌকিদারের থেকে পালাতে পারবে না। আর্থিক অপরাধীদের আইনের হাত এড়িয়ে পালাতে দেবে না ভারত।’’ বিজেপির বড়াই সম্পর্কে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের পাল্টা, ‘‘বিজেপি নীরবকে দেশ ছেড়ে পালাতে সাহায্য করেছিল। ভোটের জন্য আবার ওকে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভোটের পরে ফেরত পাঠিয়ে দেবে।’’ মোদীকে মমতার কটাক্ষ, ‘‘চাওয়ালা থেকে চৌকিদার হয়ে কিছু হয় না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নীরবের গ্রেফতারির পিছনে ‘বিজেপির চালাকি’ রয়েছে বলে মত মমতার। আজ নবান্নে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বাঙালিরা গানের মধ্যে দিয়ে বলি— তুমি রবে নীরবে, হৃদয়ে মম। এটা বিজেপির চালাকি। এটা গট আপ, গট আপ ম্যাচ। লন্ডনের দ্য টেলিগ্রাফের এক সাংবাদিক নীরব মোদীর পর্দা ফাঁস করে দিয়েছেন। সব তাঁরই ক্রেডিট।’’ একই সুরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লার মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দিতে বিজেপির লম্ফঝম্ফ দেখে অবাক হচ্ছি। নীরবকে খুঁজে পেয়েছিলেন লন্ডনের টেলিগ্রাফের সাংবাদিক। প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর বাহিনী নয়।’’
কোনও রাখঢাক না করেই মমতা জানিয়েছেন, ওই হিরে ব্যবসায়ীর গ্রেফতার ভোটের জন্য বিজেপির নাটক। তাঁর কথায়, ‘‘পর্দার পিছনে কী আছে? ছুপা রুস্তম তো বেরিয়ে গিয়েছে! নির্বাচনের সময় কী হবে সব বানিয়ে রেখেছে— ভোটের প্রথম, দ্বিতীয় পর্বে কী হবে এবং তৃতীয় পর্যায়ে কী হবে, এ রকম স্ট্রাইক আরও হবে।’’ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মমতার মন্তব্য, ‘‘আগেও বলেছি, বিজেপি সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। মেয়াদ ফুরনো ওষুধ খাব না। বিজেপি দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy