-ফাইল চিত্র।
শেষ দফার নির্বাচনের ঠিক ৭২ ঘণ্টা আগেশুধু মাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রচারের সময়সীমা বদলে দেওয়ার কড়া সমালোচনা করল দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়েই নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করলেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী।মোদী-শাহ জুটি নির্বাচন কমিশনকে দাবার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করছে, এই অভিযোগ করেছে কংগ্রেসও।
গতকাল রাতেই নির্বাচনী হিংসা রুখতে পশ্চিমবঙ্গের জন্য জোড়া নির্দেশনামা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশিকায় রাজ্যে সপ্তম দফার ভোটে ন’টি কেন্দ্রে প্রচার শেষের সময়সীমা শুক্রবার বিকেল ৫টার পরিবর্তে আজ, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় এগিয়ে আনা হয়।একই সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির প্রধান রাজীব কুমারকে। সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে প্রচারের সময় ছাঁটার নজির এ রাজ্যে তো বটেই, গোটা দেশের কোথাও আছে কি না তা নিয়েও সন্দিহান অনেকেই। বিষয়টি সামনে আসার পরই নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী-শাহ জুটির নির্দেশেই এই অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আজ মথুরাপুর এবং ডায়মন্ডহারবারের জনসভা থেকেও কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকেও নিজের পাশেই পেলেন তৃণমূলনেত্রী। মোদী-শাহ জুটি পরিকল্পনা করে এই বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। একই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন রাত দশটা থেকে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল, কারণ তার ঠিক আগেই প্রধানমন্ত্রীর দুটি জনসভা আছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রচার নিষিদ্ধ করার হলে সকাল থেকে করা হল না কেন? এই কাজ প্রধানমন্ত্রী সুলভ নয়।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: এক লক্ষ বার কান ধরে ওঠবোস করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর! এ বার মূর্তি ভাঙা নিয়ে তোপ মমতার
মায়াবতীর সুরে সুর মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করে কংগ্রেসও। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার বলেছেন, ‘‘ভারতের সংবিধানের সঙ্গে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে নির্বাচন কমিশন।’’ একই সঙ্গে কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন মোদী-শাহ জুটির বোড়ে হিসেবে কাজ করছে। নির্বাচনী আচরণবিধি বা মডেল কোড অফ কনডাক্টকে কটাক্ষ করে তারা নাম দিয়েছে ‘মোদী কোড অফ কনডাক্ট’।
Thanks and gratitude to @Mayawati, @yadavakhilesh, @INCIndia, @ncbn and others for expressing solidarity and support to us and the people of #Bengal. EC's biased actions under the directions of the #BJP are a direct attack on democracy. People will give a befitting reply
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 16, 2019
মায়াবতী, কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে সমর্থন মেলায় টুইট করে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিজেপির নির্দেশে নির্বাচন কমিশনের এই পক্ষপাতমূলক আচরণ ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য একটা কালো দিন।’
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে ভোটের মেশিন বদলানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, পাহারা দেওয়ার ডাক মমতার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy