ছবিতে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকায় রয়েছেন বিবেক ওবেরয়। —ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লি, ৯ এপ্রিল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনী-চিত্র ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র মুক্তির উপর স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। ওই ছবির মুক্তি স্থগিতের জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের এক নেতা। ওই আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘এই অযৌক্তিক বিষয়ে আদালতের অনেক বেশি সময় নষ্ট হচ্ছে।’’ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ, ছবিটির মুক্তি নিয়ে কিছু বলার থাকলে তার ‘উপযুক্ত’ জায়গা নির্বাচন কমিশন।
‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র মুক্তি নিয়ে বিরোধীরা প্রথম থেকেই সরব। তাদের অভিযোগ, ভোটের মরসুমে ওই ছবি মুক্তি পেলে বিজেপি বাড়তি সুবিধা পাবে। ছবিটির মুক্তি আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা আমন পানওয়ার। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ বলেছে, ‘‘সেন্সর বোর্ড এখনও ওই ছবিকে ছাড়পত্র দেয়নি। ‘আগেভাগে’ ওই আবেদনটি করা হয়েছে। সেই জন্যই আমরা পিটিশনটি গ্রহণের উপযুক্ত মনে করছি না।’’
সুপ্রিম কোর্ট কালই জানিয়েছিল, ছবিতে অত্যন্ত আপত্তিকর কিছু রয়েছে, তা যদি আবেদনকারী প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে কোনও নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, দু’মিনিটের ট্রেলার দেখে মনে হয়নি, ছবিটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রসঙ্গত, আগামী ১১ এপ্রিল ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ছবিটি মুক্তি পেতে পারে বলে জানিয়েছিলেন এর প্রযোজক।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কংগ্রেস নেতা আমন পানওয়ারের আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র প্রযোজক বিজেপি ঘনিষ্ঠ। ছবিতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিবেক ওবেরয়। তিনি বিজেপির তারকা প্রচারক। ফলে ছবিটি মুক্তি পেলে কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা পাবে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ, এই বিষয়ে কমিশনই সিদ্ধান্ত নিক। সুপ্রিম কোর্টের আজকের নির্দেশে প্রত্যাশিত ভাবেই খুশি বিবেক। তাঁর টুইট, ‘‘আমরা সুপ্রিম কোর্টে জয়ী হয়েছি। দেশের বিচার ব্যবস্থা গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে আরও বেশি জোরালো করে তুলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy