Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

ফেসবুকে রাহুলকে কটাক্ষ! ‘অম্বিকেশ’ হতে হল না এই শিক্ষককে

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন তালোদ গ্রামের শিক্ষক বালেশ্বর। এর পরই স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষে পড়েন তিনি।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক স্কুলশিক্ষক বালেশ্বর পতিদার। ছবি: পিটিআই।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক স্কুলশিক্ষক বালেশ্বর পতিদার। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৩১
Share: Save:

অম্বিকেশ মহাপাত্রের মতো হেনস্থার শিকার হতে হল না বালেশ্বর পতিদারকে। তাঁর রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

রাহুল গাঁধীকে ব্যঙ্গ করে শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের রতনাম জেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বালেশ্বর পতিদারকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সৌজন্যে সে শাস্তি উঠে গেল। ফের কাজে বহাল হলেন বালেশ্বর।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন তালোদ গ্রামের শিক্ষক বালেশ্বর। এর পরই স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষে পড়েন তিনি। বালেশ্বরকে বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার কথা কানে পৌঁছতেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। বালেশ্বরকে কাজে বহাল করার পর তিনি জানিয়েছেন, বিরুদ্ধ সমালোচকদের ক্ষমা করে দেওয়ার নীতিতেই বিশ্বাস করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।

আরও পড়ুন: অফিসের জমানো ছুটি থেকে ৩২ কোটি টাকা! চর্চায় পদ্মবিভূষণ অনিল

তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও সমালোচকদের মাফ করে দিয়েছেন কমলনাথ। জব্বলপুরের একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ তিওয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ার খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের বিরুদ্ধেই বিরূপ মন্তব্য করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে দেখা যায়, কমলনাথকে ‘ডাকু’ বলে সম্বোধন করছেন মনোজ। এর পরেই জেলা প্রশাসন মনোজকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। তবে গত ১৩ জানুয়ারি কমলনাথ তাঁর সেই সাজা মাফ করে দেন। চাকরিতে পুনরায় বহাল হন মনোজ।

আরও পড়ুন: চাকরি নিয়ে নীরব, মোদীর উৎসাহ খেলায়

বালেশ্বরের সাজা মাফ করার পাশাপাশি কমলনাথ এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, “বাকস্বাধীনতা থাকার অর্থ এই নয় যে, অন্যকে অপমান করা বা অশ্রদ্ধা করা যেতে পারে।”

আরও পড়ুন: সৌজন্য রহস্য! পর্রীকরের কাছে রাহুল

রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে শাস্তির মুখে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে তামিলনাড়ুর এমডিএমকে-র এক কর্মীকে। ২০১২ সালে প্রায় একই অবস্থা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী এবং মুকুল রায়কে নিয়ে তৈরি একটি ব্যঙ্গচিত্র ফেসবুকে ফরোয়ার্ড করে হেনস্থার মুখে পড়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা সময়েই অভিযোগ তুলেছিলেন, অম্বিকেশবাবু তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছেন। তবে বালেশ্বরের ক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই পরিত্রাতা হয়ে এগিয়ে এলেন।

(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE