রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে কালিদাস কোলম্বকর (ডান দিকে)। ছবি: টুইটার থেকে
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোট আর হচ্ছে না। কিন্তু নতুন সরকার গঠন এবং নতুন স্পিকার নির্বাচন পর্যন্ত সাংবিধানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রথা মতোই প্রোটেম স্পিকার নির্বাচিন করলেন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। দায়িত্ব পেলেন বিজেপির বর্ষীয়ান বিধায়ক ৬১ বছরের কালিদাস কোলম্বকর (৬৩)।
ফডণবীস সরকারকে বুধবারের মধ্যে আস্থা ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, সেই আস্থা ভোট হবে প্রোটেম স্পিকারের তত্ত্বাবধানে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে প্রোটেম স্পিকারের ভূমিকা। কিন্তু ফডণবীসের ইস্তফার পর প্রোটেম স্পিকারের সেই গুরুত্ব আর না থাকলেও সাংবিধানিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন অনিবার্য। সেই প্রক্রিয়াই সম্পূর্ণ করলেন রাজ্যপাল। তার পর রাজভবনে গিয়ে প্রোটেম স্পিকারের শপথও নিয়েছেন কালিদাস কোলম্বকর।
বয়সে সবচেয়ে প্রবীণ বিধায়ককে প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন করাই দস্তুর। তবে কত বারের বিধায়ক, অর্থাৎ সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় কতটা অভিজ্ঞ, সেটাও এ ক্ষেত্রে বিচার্য। যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার একমাত্র রাজ্যপালেরই রয়েছে এবং তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরে প্রোটেম স্পিকার হিসেবে বেশ কয়েক জনের নাম রাজভবনে যায়।
আরও পডু়ন: দীর্ঘ টানাপড়েন, বিদায় নিলেন ফডণবীস, মহা-নাট্যমঞ্চে নতুন নায়ক উদ্ধব ঠাকরে
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আস্থাভোট এগিয়ে দিতেই বদলে গেল মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি
প্রথমেই ছিল কংগ্রেসের আট বারের বিধায়ক ৬৬ বছরের বালাসাহেব থোরাটের নাম। কিন্তু এর তাঁকে আবার বালাসাহেবকে পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচন করে কংগ্রেস। ফলে সেটা তাঁর প্রোটেম স্পিকার হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়া কংগ্রেসেরই কে সি পদ্মভিও (৬১) বিবেচনায় ছিলেন। প্রস্তাব যায় এনসিপির দিলীপ ওয়ালসে পাতিলের (৬৩) নামও। বিজেপি শিবিরে ছিল বাবানরাও পাচপুতে (৬৬), কালিদাস কোলম্বকরের (৬৩) নাম। শেষ পর্যন্ত কালিদাসকেই প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন করেন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy