Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

সুপ্রিম কোর্ট আস্থাভোট এগিয়ে দিতেই বদলে গেল মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি

মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রমণ, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:০০
Share: Save:

শীর্ষ আদালতের রায়ই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠল মহা-নাটকে। মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামিকাল বিকেল ৫টার মধ্যে দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। তার পরই এ দিন দুপুরে প্রথমে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অজিত পওয়ার এবং তার কিছু ক্ষণের মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহা-নাটকের ক্লাইম্যাক্স আসলে তৈরি করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালতের রায়।

এ জদিন সুপ্রিম কোর্টে কী হল?

সুপ্রিম কোর্টে কার্যত জয় পেল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। ধাক্কা বিজেপি তথা দেবেন্দ্র ফডণবীস-শিবিরে। আগামিকাল বুধবারই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে ফডণবীস সরকারকে। বিরোধী জোটের দায়ের করা মামলায় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অতি দ্রুত প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করে আগামিকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে আস্থা ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সম্পূর্ণ করার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের বিরোধিতা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার আর্জি জানায় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট। শুনানি হয় তিন সদস্যের বেঞ্চ। আদালত কার্যত সেই দাবি মেনে নিয়ে বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কোনও গোপন ব্যালট নয়, সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে সেই আস্থাভোট প্রক্রিয়া।

রায় দিতে গিয়ে আদালত এ দিন জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে এখনও বিধায়কদের শপথগ্রহণ হয়নি। অবিলম্বে শপথগ্রহণের জন্য প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন করতে হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ প্রোটেম স্পিকারই বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন এবং তিনিই আস্থা ভোট পরিচালনা করবেন।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

রায়ের পরেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গাঁধী বলেছেন, ‘‘আমরা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।’’ রায়কে স্বাগত জানিয়ে জোটের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘জোর জবরদস্তির সরকার হয়েছিল মহারাষ্ট্রে।’’ কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বণ বলেন, ‘‘আমরা আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবি জানিয়েছিলাম। আদালত আমাদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছে।’’

শনিবার সাত সকালে কার্যত লোকচক্ষুর অন্তরালে মুখ্যমন্ত্রীর পদে দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন অজিত পওয়ার। সেই প্রক্রিয়াকে ‘অবৈধ’ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। রবিবার এবং সোমবার শুনানির পর আজ মঙ্গলবার রায়ের দিন নির্ধারিত করে বিচারপতি এন ভি রমণ, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ।

লাইভ আপডেট:

• সিঙ্ঘভি: জোর জবরদস্তি করে সরকার গঠন করা হয়েছিল

• সিঙ্ঘভি: মুখ্যমন্ত্রীর পদ সাংবিধানিক, সেই পদের অপমান হয়েছে

• অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি: দেশের ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি

• শীর্ষ আদালত সে বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি

• ফডণবীস সরকার যাতে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সেই সওয়াল করেছিলেন কপিল সিব্বল

• পৃথ্বীরাজ চহ্বণ: আদালতে আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম, আমাদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

• বিধায়কদের শপথগ্রহণের পরেই হবে আস্থা ভোট

• বিধায়কদের শপথবাক্যও পাঠ করাবেন প্রোটেম স্পিকার

• প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করতে হবে। তিনিই আস্থা ভোট পরিচালনা করবেন।

• খুব শীঘ্রই প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করতে হবে

• বিকেল পাঁচটার মধ্যে বিধায়কদের শপথ পাঠ করাতে হবে।

• গোপন ব্যালটে আস্থা ভোট করা যাবে না। সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে।

• আগামিকালই মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোট। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে ফডণবীস সরকারকে।

• বিধায়কদের শপথ এখনও হয়নি

• রায় পড়তে শুরু করেছেন বিচারপতিরা

• সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছেন আরেক আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও

• সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছলেন বিরোধী জোটের আইনজীবী কপিল সিব্বল

আরও পড়ুন: প্রথম বার একসঙ্গে সেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের ১৬২ বিধায়ক, শক্তি প্রদর্শন মহা-জোটের

আরও পড়ুন: রাতারাতি ৯টি সেচ দুর্নীতির ফাইল বন্ধ করলেন ফডণবীস, অজিত-যোগ নেই, দাবি তদন্তকারীদের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE