Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
National News

প্রথম বার একসঙ্গে সেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের ১৬২ বিধায়ক, শক্তি প্রদর্শন মহা-জোটের

রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে সঞ্জয় রাউত লিখেছিলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, আপনি আসুন এবং নিজেই দেখে যান।’’

মুম্বইয়ের হায়াত হোটেলে একসঙ্গে জোটের বিধায়করা। ছবি: টুইটার থেকে

মুম্বইয়ের হায়াত হোটেলে একসঙ্গে জোটের বিধায়করা। ছবি: টুইটার থেকে

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৫২
Share: Save:

দেবেন্দ্র ফডণবীস-অজিত পওয়ার শিবির নাকি শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট— কার হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, এই প্রশ্নচিহ্ন যখন মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিরাট হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখনই নয়া চাল বিরোধী শিবিরের। তিন দলের ১৬২ বিধায়ককে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাজির করে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখালেন জোট নেতৃত্ব।

কংগ্রেস বিধায়করা ছিলেন জুহুর জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে। পোয়াই এলাকার রেনেসাঁ হোটেলে দলীয় বিধায়কদের রেখেছিল এনসিপি। শিবসেনা তাদের বিধায়কদের তুলেছিল ললিত হোটেলে। সোমবার সন্ধ্যায় এই তিন হোটেল থেকে বাসে করে গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে আসেন তিন দলের বিধায়করা। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হন তাঁরা। হাজির ছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার এবং শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও। কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের মতো নেতারা।

এতে সাংবিধানিক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ না হলেও তিন দলের নেতারা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, সরকার গঠনের চাবিকাঠি তাঁদের হাতেই রয়েছে। অর্থাৎ ২৮৮ আসনের বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে। একই সঙ্গে দেখিয়ে দিতে চাইলেন যে, ফডণবীস-অজিত জুটির হাতে সংখ্যা নেই। পাটিগণিতের নিয়মেই বিরোধী জোটের হাতে যদি ১৬২ জন থাকে, তা হলে উল্টো শিবিরে বিধায়ক সংখ্যা হয় ১২৬, যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে ১৯ জন কম।

তার আগেই অবশ্য টুইটারে ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত। রাজ্যপালের উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ১৬২ জন বিধায়ক গ্র্যান্ড হায়াতে সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম বার একসঙ্গে হাজির হবেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, আপনি আসুন এবং নিজেই দেখে যান।’’

আরও পডু়ন: রাতারাতি ৯টি সেচ দুর্নীতির ফাইল বন্ধ করলেন ফডণবীস, অজিত-যোগ নেই, দাবি তদন্তকারীদের

গত শুক্রবার তিন দলের বৈঠকে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। শনিবার তিন দলের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই শনিবার সকালে কার্যত সবার অগোচরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এনসিপির অজিত পওয়ার শপথ নিয়ে নেন। অজিত পওয়ার আচমকা শিবির বদল করায় জোটের সরকার গঠনের প্রচেষ্টা কার্যত ভেস্তে যায়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে তিন দলের জোট। রবিবার ও সোমবার শুনানির পর আগামিকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার রায় দেবে শীর্ষ আদালত।

আরও পডু়ন: মহা-নাটকে ফের ‘নৈশ অভিযান’! গুরুগ্রামের হোটেল থেকে ৪ বিধায়ককে ‘উদ্ধার’ করল এনসিপি

বিরোধী জোটের অভিযোগ ছিল শপথগ্রহণের প্রক্রিয়া ‘অবৈধ’। অবিলম্বে ‘ফ্লোর টেস্ট’ বা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার দাবিও আদালতে জানিয়েছেন তাঁরা। তা ছাড়া শপথগ্রহণের পর থেকেই বিরোধীরা দাবি করে আসছিল, অজিত পওয়ার সমর্থনপত্র দিলেও ফডণবীসের হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই। বরং সেটা রয়েছে বিরোধী জোটের হাতে। সেই ‘প্রমাণ’ দেওয়ার পাশাপাশি ফ্লোর টেস্টের সম্ভাবনার মুখে প্রতিপক্ষ ফডণবীস-অজিত শিবিরের উপর বিরোধীরা চাপ বাড়িয়ে রাখলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Maharashtra Shiv Sena NCP Congress BJP MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE