Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Crime

উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভেজাল মদের বলি ৭০, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা

এ বারের ঘটনার দায় পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ডের ঘাড়ে চাপিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে অসুস্থদের। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে অসুস্থদের। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৫৯
Share: Save:

ভেজাল মদের জেরে মৃত্যুমিছিল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে। গত তিন দিনে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। যার মধ্যে সাহরানপুর জেলাতেই ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুশিনগরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২৪ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশই নয়, উত্তরাখণ্ডের রুরকিতেও ভেজাল মদ খেয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। আহতদের মাথাপিছু ৫০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৪০০ লিটার ভেজাল মদ। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, ভেজাল মদ তৈরি এবং সেগুলিরডিস্ট্রিবিউশনে যুক্ত ছিল ধৃতরা। গ্যাংস্টার ও জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। ২০১১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ভেজাল মদ খেয়ে মৃত্যুর মোট ৮টি ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্য ৪টি-ই ঘটেছে যোগী আদিত্যনাথের আমলে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘তথ্য পাচারে’ গ্রেফতার ঘনিষ্ঠ পুলিশকর্মী, ভারতীর বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে সিআইডি​

আরও পড়ুন: প্রশ্নোত্তর পর্ব দ্রুত শেষ করার অনুরোধ রাজীবের, সিবিআইয়ের ইঙ্গিত অন্য​

তবে এ বারের ঘটনার দায় পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ডের ঘাড়ে চাপিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাদের দাবি, সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে একটি শ্রাদ্ধবাড়িতে নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন সাহরানপুরের কিছু বাসিন্দা। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল মদ নিয়ে রাজ্যে ফেরে এক ব্যক্তি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তা বিক্রি করে। তা খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। ক্ষমতায় আসার পর বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেন নীতীশ কুমার। কিন্তু চোরাপথে সেখান থেকেই কুশিনগরে ভেজাল মদ ঢুকেছে বলে দাবি যোগী সরকারের।

চিকিত্সায় দেরি হওয়াতেও অনেকের মৃত্যু হয় বলে দাবি সাহরানপুরের জেলাশাসক একে পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘ঠিক সময়ে চিকিত্সার বন্দোবস্ত করা যায়নি। তার জেরেই মৃত্যু হয় অনেকের। পিন্টু নামের এক ব্যক্তি ৩০টি ভেজাল মদের পাউচ বিক্রি করেছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানতে পেরেছি। যার মধ্যে একটা-দুটো উদ্ধার করা গিয়েছে।’’ আর কোথাও ভেজাল মদ মজুত রয়েছে কিনা জানতে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নির্দেশে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE