নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
তিনি বলছেন, আজকের সমাজে খোলামেলা আলোচনার পরিসর ক্ষীয়মাণ। কোনও মতামত ‘নস্যাৎ’ না করে ‘আলোচনা’ এবং ‘প্রত্যাশা’র বদলে ‘স্বীকার’ করে নিতে শিখলে পরিস্থিতি শুধরোবে।
বিরোধীরা বলছেন, আপনি আচরি ধর্ম ...!
তিনি বলছেন, অন্যের অধিকারকে সম্মান করতে শিখলে নিজের অধিকার আপনা থেকেই সুরক্ষিত হবে।
বিরোধীরা বলছেন, ভূতের মুখে রাম নাম ...!
তিনি বলছেন, সরকার অথবা নিজের তারিফ করার জন্য তিনি মাইক্রোফোন ধরেন না।
বিরোধীরা বলছেন, উনি নিজের তৈরি করা বিশ্বের বাসিন্দা...!
আজ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ৫০তম পর্ব। বক্তৃতায় সহিষ্ণুতা, খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ, অন্যের অধিকারকে সম্মান দেওয়ার বিষয়গুলি নিয়ে সরব হয়েছেন মোদী। পাশাপাশি রেডিয়োর শক্তি নিয়েও বিশদে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও আমি রেডিয়োকে বেছে নিয়েছিলাম। কারণ আমজনতার কাছে রেডিয়ো সবচেয়ে কাযর্করী ভাবে পৌঁছতে পারে।’’ তবে এই মাধ্যমটিকে তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে’ কখনও ব্যবহার করেননি বলে তাঁর দাবি। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, পরিবারে প্রবীণদের সঙ্গে নবীনদের আলোচনা কমে আসছে। অহেতুক প্রত্যাশা না বাড়িয়ে মেনে নিতে শেখা উচিত।
মোদীর কথা শুনে সমালোচনায় ঝাঁপিয়েছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারগুলিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বারবারই বলে আসছেন, ‘মন কি বাত করেন ঠিকই, কিন্তু মনের কথা বলেন না প্রধানমন্ত্রী।’ আজ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির কথায়, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন চটকদার বক্তা। কিন্তু নিজে পালন না করে অন্যকে জ্ঞান দিলে সবারই ক্ষতি। মোদীর মন্ত্রীরা, বিজেপির শীর্ষ নেতা এবং সাংসদেরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নির্যাতন করেছেন। অসহিষ্ণুতার চরমে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে মন কি বাতে কখনও কোনও উল্লেখ থাকে না।’’
মোদীর এ দিনের বক্তব্য শুনে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, ‘‘এ যে দেখছি ভূতের মুখে রাম নাম!’’ সেলিমের অভিযোগ, ‘‘স্বৈরাচারীরা নিজেদের তৈরি করা এক বাস্তবে বাস করেন। মোদীর ভূমিকার জন্যই তো সমাজে আলোচনার পরিসর কমে গিয়েছে। উনি তো সাংবাদিকদের প্রশ্নও নিতে চান না, সে কারণে সাংবাদিক সম্মেলনও করেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy