—ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের সদ্যনির্বাচিত সাংসদের মায়ের নাগরিকত্ব নিয়েই জমা পড়ল অভিযোগ। দিল্লি যাওয়ার আগে মাকে নিয়ে এনআরসি কেন্দ্রে শুনানিতে দৌড়তে হল বরপেটার সাংসদ আবদুল খালেককে।
এনআরসির খসড়ায় নাম থাকা ব্যক্তিদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ায় রাজ্যে প্রতিবাদ অব্যহত। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে হেনস্থার করতেই আপত্তি জানানো হচ্ছে। অথচ শুনানির সময় গরহাজির অভিযোগকারীরা।
এই সমস্যার কথা সুপ্রিম কোর্টকেও জানিয়েছেন এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা। আদালত ‘ভুয়ো’ অভিযোগের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বিবেক’ ও ‘আইন’ মেনে কাজ করার স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে অভিযোগ আসা নাগরিকরা হেনস্থার শিকার হলেও কোনও ভুয়ো অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
খালেক জানান, কয়েক মাসের লড়াইয়ের পরে এআইইউডিএফ ও অগপকে হারিয়ে বরপেটা জয়ের আনন্দ তাঁর স্থায়ী হয়নি। কারণ মা সবুরা খাতুনের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক শিক্ষক তিন দফা অভিযোগ জমা দেন। দাবি করেন, তাঁর দেওয়া লিগ্যাসি তথ্য ভুল। খালেক গত কাল ৭৫ বছর বয়সী মা কে নিয়ে বরপেটা রোডে ভগবানীদেবী প্রসূতি সদনের এনআরসি কেন্দ্রে হাজির হন। কিন্তু অভিযোগকারী হাজির হননি। মায়ের নাগরিকত্বের সব প্রমাণ জমা দেন খালেক।
আজ দিল্লি যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘আমি চারবার নির্বাচনে লড়েছি। তিনবার জিতেছি। দুবারের বিধায়ক, এ বার সাংসদ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার মা বিদেশি হলে তো আমিও বিদেশি!’’ খালেকের মায়ের নিজের ‘লিগ্যাসি’ আছে। ১৯৫১ সালের এনআরসিতে তাঁর মায়ের নাম রয়েছে। ১৯৭০ সালের ভোটার তালিকায়ও সবুরা খাতুনের নাম আছে। কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, ‘‘খামোকা হেনস্থা ও অপমানের জন্য প্রকৃত ভারতীয়দের এ ভাবে হেনস্থা করা ঠিক নয়।’’
সম্প্রতি প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী গৌতম রায়ের নাগরিকত্ব নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছিল। খালেক বলেন, ‘‘ক্রমাগত মিথ্যে অভিযোগ জমা দেওয়ায় সমগ্র এনআরসি প্রক্রিয়াই অযথা বিলম্বিত হচ্ছে। এদের শুনানিতে আসার সাহসটুকুও নেই।’’ অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy