Advertisement
০৪ মে ২০২৪

অধীরের পিঠ চাপড়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘এই হলেন আসল যোদ্ধা’

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত দু’বছর সংসদের একের পর এক অধিবেশন ভেস্তে গিয়েছে। সে সময় আর ফিরে আসবে না। এ বারে অনেক নতুন নেতা লোকসভায় জিতে এসেছেন, ফলে নতুন ভাবনাও আসা উচিত।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০৩:০৩
Share: Save:

রাহুল দলের লোসকভার নেতা হবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনও জানাননি সনিয়া গাঁধী। সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে আজ সর্বদল বৈঠকে লোকসভার সাংসদদের তরফে সনিয়া পাঠিয়েছিলেন বাংলার অধীর চৌধুরী এবং কেরলের কে সুরেশকে। বৈঠকের শেষ লগ্নে তিন-চার বার অধীরের পিঠ চাপড়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই হলেন আসল যোদ্ধা।’’ সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী জানান, বুধবার তিনি সব রাজনৈতিক দলের সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। পরের দিন লোকসভা-রাজ্যসভার সব সাংসদকেও। সাংসদ হিসেবে রাহুলও সেখানে আমন্ত্রিত।

রাহুল গাঁধী কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকবেন কি না, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। তার মধ্যেই কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে রাহুল গাঁধীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! তা-ও রাহুলের জন্মদিনে! এবং তার পরের দিনও।

প্রশ্ন হল, রাহুল এখন কোথায়? কংগ্রেসের লোকসভার নেতা, উপনেতা, সচেতক কে হবেন? এ সব প্রশ্নের উত্তর জানা নেই দলের অনেক শীর্ষ নেতার। অন্তত আজ দুপুর পর্যন্ত প্রশ্ন করলেই হাসিমুখে এড়িয়ে গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপির নেতারা বলছেন, সব প্রশ্নের উত্তরই স্পষ্ট হয়ে যাবে বুধবারের মধ্যে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী দলের সভাপতিদের ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাহুল এলেও ‘খবর’, না এলেও।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত দু’বছর সংসদের একের পর এক অধিবেশন ভেস্তে গিয়েছে। সে সময় আর ফিরে আসবে না। এ বারে অনেক নতুন নেতা লোকসভায় জিতে এসেছেন, ফলে নতুন ভাবনাও আসা উচিত। সেই সঙ্গেই তাঁর বার্তা, সকলে মিলেই এ বারে স্থির করতে হবে, কী করে ‘নতুন ভারত’ গড়া যায়। সেই ‘টিম স্পিরিট’ নিয়ে সামনের সপ্তাহে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিজেপি বলছে, সব দলের সব সাংসদকে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, সেটি এই প্রথম।

কংগ্রেসের তরফে গুলাম নবি আজাদ সর্বদল বৈঠকে বলেন, ‘‘হেরে গেলেও দুই বিচারধারার লড়াই অব্যাহত থাকবে। বিরোধী দল হিসেবে সরকারের সদর্থক ভূমিকারে সমর্থন করব। তবে যেখানে বিরোধ করার, সেখানে করব।’’ বিরোধীরা সরকারকে সতর্ক করে জানিয়েছে, বিপুল জনমত নিয়ে আসার পর সংসদে যেন সংখ্যার জোর না দেখায় বিজেপি। সংসদ সচল রাখার দায়িত্ব শাসক দলের মনোভাবের উপরেই নির্ভর করে। সেখানে যেন বিরোধী নেতাদেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিকেলে বিজেপির সংসদীয় দল ও পরে এনডিএর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী ও শাহ। সেখানেও মোদীও বলেন, সংসদে এনডিএ-কে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। সেখানে শিবসেনা গরহাজির ছিল। পরে সংসদ ভবনেই মোদী ও শাহ টানা এক ঘণ্টা আলাদা আলোচনা করেন। পরে সংসদ ভবনে নিজের নয়া ঘরে সংসদীয় মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন। মনে করা হচ্ছে, নতুন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার-সহ সংসদের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই শীর্ষ নেতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Rahul Gandhi Lok Sabha Rajya Sabha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE