রুক্মিনি রানসিংহ ও মঙ্গেশ রানসিংহ। ফাইল চিত্র।
রুক্মিনি রানসিংহ ও মঙ্গেশ রানসিংহ। পরিবারের অমতে তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ‘নিম্নবর্ণ’-এর ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি রুক্মিনির পরিবার। রুক্মিনি-মঙ্গেশের সেই ভালবাসার পরিসমাপ্তি ঘটল গত রবিবার রাতে। যখন রুক্মিনির দুই কাকা গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারল তাঁকে। মৃত্যুর সময় রুক্মিনি দু’মাসের গর্ভবতী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গেশ এখন পুণের হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের আহমদনগর শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে পারনার থানার অন্তর্গত নিঘোজ গ্রামে। এই ঘটনায় পুলিশ রুক্মিনির দুই কাকা সুরেন্দ্র ভারতি ও ঘনশ্যাম ভারতিকে গ্রেফতার করেছে। যদিও রুক্মিনির বাবা রাম ভারতি এখনও পলাতক।
পারনার থানার সাব ইনস্পেকটর বিজয়কুমার বোরগদে বলেছেন, ‘‘রুক্মিনির পরিবার আদতে উত্তরপ্রদেশের লোক। তাঁরা পাসি সম্প্রদায়ের। অন্যদিকে পেশায় রাজমিস্ত্রি মঙ্গেশ ছিলেন লোহার সম্প্রদায়ের। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ককে পরিণতি দিতে গত বছর দেওয়ালির সময় পুণেতে গিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। সেই বিয়েতে অবশ্য মঙ্গেশের বাড়ির লোকের সায় ছিল। রুক্মিনির পরিবারের তরফে উপস্থিত ছিলেন কেবল তাঁর মা।’’রুক্মিনির পরিবারের আপত্তির জন্য এই বিয়ে হয়েছিল পুণের আলান্দিতে। অভিযোগ,তারপর থেকেই ওই যুগলকে হুমকি দিতে থাকে রুক্মিনির পরিবার।
গত ৩০ এপ্রিল রাতে পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে রুক্মিনি ও মঙ্গেশের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। রাগে বাপের বাড়ি চলে আসেন রুক্মিনি। দু’দিন পর রাগ ভেঙে যাওয়ায় মঙ্গেশকে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে যেতে বলেন তিনি। গত রবিবার রুক্মিনিকে আনতে তাঁর বাড়ি নিঘোজ গ্রামে যায় মঙ্গেশ। সেখানে তিনি যাওয়ার পর তাঁকে অপমান করতে থাকে রুক্মিনির পরিবারের সদস্যরা। শুরু হয় উত্তপ্ত বাদানুবাদ। সে সময় রুক্মিনির দুই কাকা তাঁদের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
দগ্ধ অবস্থায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় পুণের স্যাসুন জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে রবিবার রাতেই মারা যান রুক্মিনি। তাঁর দেহের সত্তর শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। তিনি দু’মাসের গর্ভবতী ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে দেহের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ পুড়ে গিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মঙ্গেশ।
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থা কাণ্ডে ক্লিনচিট গগৈকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy