‘নির্বাসিত’ সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। তদন্ত করবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়েক নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে এই নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তাঁকে বেআইনি ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, এই অভিযোগ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অলোক বর্মা। সেই মামলার শুনানিতেই এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
একই সঙ্গে নবনিযুক্ত সিবিআই অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওকে আপাতত কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, গত ২০ অক্টোবর থেকে নাগেশ্বর রাওয়ের নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্তের তালিকা আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
মামলার পরবর্তী শুনানি দিওয়ালির পর ১২ নভেম্বর। আজ আদালতে অলোক বর্মার হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী ফালি নরিম্যান জানান, সিবিআই প্রধানকে নিয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাই অলোক বর্মাকে বরখাস্ত করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত বেআইনি।
আরও পড়ুন: ১৮ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট
আদালতের এই রায়ে নিশ্চিত ভাবেই অস্বস্তি বাড়ল কেন্দ্রের। কারণ, অন্তবর্তী সিবিআই অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: ‘সাংবাদিক হয়ে ৩টি প্রশ্ন করতে চাই, তাহলেই টেবিল ছেড়ে পালাবেন মোদী’, বলেন রাহুল
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)