লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রেফতার করা হল আরও এক সন্দেহভাজনকে। ধৃতের নাম তুফাইল নিয়াজ় ভাট। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তাঁকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। ধৃতের বাড়ি শ্রীনগরের বাতামালু এলাকায়। তিনি পুলওয়ামায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন। জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তুফাইলের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।
গত ১০ নভেম্বর দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন নিহত হন। ওই বিস্ফোরণের ঠিক আগে আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এই দুই ঘটনার সঙ্গেই বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের যোগ পাওয়া যায়। তার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজর রয়েছে চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি জঙ্গিদের এই মডিউল। ওই তদন্তের সূত্র ধরেই এ বার তুফাইলকে গ্রেফতার করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
এই ফরিদাবাদ ‘মডিউল’-এর ধৃতদের মধ্যে প্রথম গ্রেফতার হন কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথর। গত ১৫ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আদিল। শ্রীনগরে জইশের পোস্টার সাঁটানোর সময় তাঁকে পাকড়াও করা হয়। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল একটি ‘এনজিও’-র আড়ালে কাশ্মীরে ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছে।
সেই সূত্র ধরেই কাশ্মীরের শ্রীনগর, অনন্তনাগ, শোপিয়ানে তল্লাশি চালানো হয়। এ ছাড়া, হরিয়ানা পুলিশের সহযোগিতায় ফরিদাবাদে এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় সাহারানপুরে হানা দেন কাশ্মীরের তদন্তকারীরা। সূত্রে খবর, আদিলকে জেরা করেই পুলওয়ামার বাসিন্দা মুজ়াম্মিল শাকিল গণির নাম উঠে আসে। পেশায় চিকিৎসক মুজ়াম্মিল কর্মসূত্রে হরিয়ানার ফরিদাবাদে থাকতেন ভাড়া বাড়িতে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, তাঁর সাহায্যেই কাশ্মীর থেকে ফরিদাবাদে বিস্ফোরক নিয়ে যান আদিল। তদন্তকারীদের অভিযানের সময়ে একটি গাড়ি থেকে একে-৪৭ পাওয়া গিয়েছিল। সেই গাড়িটি ছিল চিকিৎসক শাহীন শাইদের নামে। তিনিও কর্মসূত্রে থাকতেন ফরিদাবাদেই।
আরও পড়ুন:
পরে জানা যায়, দিল্লিতে বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ির চালক উমর নবিও পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তিনিও থাকতেন ফরিদাবাদেই। ফরিদাবাদকাণ্ড এবং দিল্লিতে বিস্ফোরণ উভয়েই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলেই মনে করছেন তদন্তাকারীরা। সেই সূত্র ধরে এনআইএ, দিল্লি পুলিশ, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ-সহ অন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলিও সন্দেহভাজনদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই অভিযানেই এ বার গ্রেফতার হলেন তুফাইল।