দিল্লিতে কমছে না দূষণ। শনিবারও বাতাসের গুণমান (একিউআই) ছিল ৩০০-র উপরে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে আরও কঠোর নিয়ম চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের গঠন করা দিল্লির কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)। দিল্লিতে এখন যা একিউআই, তাতে জিআরএপি-৩ চালু রয়েছে। যদিও নতুন নিয়ম অনুসারে জিআরএপি-৪-এর জারি থাকলে যে বিধি মানতে হয়, সেগুলিই দিল্লিবাসীকে মানতে হবে বলে জানিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা।
রাজধানী দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চার স্তরীয় পরিকল্পনা রয়েছে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ (সিএকিউএম)-এর। একেই বলে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (জিআরএপি)। শনিবার সকালে দিল্লিতে গড় একিইউআই ছিল ৩৬০, যা ‘অত্যন্ত খারাপ’ বলে গণ্য করা হয়। সেখানে চালু রয়েছে জিআরএপি-৩। কিন্তু সিএকিউএম নির্দেশ দিয়েছে, জিআরএপি-৪ জারি থাকলে যে নিয়ম মানতে হয়, তা মানতে হবে। দিল্লি এবং এনসিআরের সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যে সেখানকার সরকারি, বেসরকারি, পুরসভার দফতরে বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যবস্থা চালু করা হবে কি না। সেক্ষেত্রে মোট কর্মীর ৫০ শতাংশ উপস্থিত থাকবেন। বাকিরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। কেন্দ্রীয় সরকারও একই পথে হাঁটতে পারে।
আরও পড়ুন:
একিউআই ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে জিআরএপি-১ চালু করা হয়। এ বার থেকে সে ক্ষেত্রে জিআরএপি-২-এর নিয়ম মানতে হবে। একিউআই ৩০১-৪০০-র মধ্যে থাকলে জিআরএপি-২ জারি করার নিয়ম রয়েছে। এখন জিআরএপি-২ চালু হলেও মানতে হবে জিআরএপি-৩-এর নিয়মকানুন। দিল্লি সরকারের নির্দেশ, সেখানকার স্কুল এবং কলেজগুলিতে নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে কোনও আউটডোর ক্রীড়া কর্মসূচি রাখা যাবে না। তা পিছিয়ে দিতে হবে।
সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, একিউআই যদি ০-৫০ থাকে, তা হলে সেটি ভাল। ৫১-১০০ হলে সন্তোষজনক। ১০১-২০০ হলে মাঝারি। ২০১-৩০০ হলে খারাপ। ৩০১-৪০০ হলে অত্যন্ত খারাপ। ৪০১-৫০০ হলে ভয়ানক।