স্ত্রী ও স্ত্রী-র প্রেমিকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ট্রেনে ঝাঁপ দিলেন এক ব্যক্তি। অলঙ্করণে তিয়াসা দাস।
দিন দিন বাড়ছিল স্ত্রী-র ‘আবদার’। সঙ্গে যোগ হয়েছিল শ্বশুড়বাড়ির লোকজন ও স্ত্রীর প্রেমিকের অত্যাচার। বছরেরপর বছর এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে শেষে অবসাদে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলেন ৪০ বছরের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণেতে।
ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করা ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ আসগর। এই আত্মহত্যার জন্য সমর্থ থানার পুলিশ আসগরের স্ত্রী শাশুড়ি, শ্বশুড় ও প্রেমিকের নামে মামলা দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ৩২৩, ৫০৪ ও ৩৪ ধারায় এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ছেলের মৃত্যুর জন্য নিজের বৌমাকেই দায়ী করেছেন আসগরের বাবা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ছেলে কাজে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। ছেলে বেরোনোর ঘণ্টাখানেক পর আমি পুণে রেলওয়ে পুলিশের থেকে ফোন পাই। তাঁরা জানায়, সঙ্গম ব্রিজের কাছে আমার ছেলের দেহ পাওয়া গিয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছ, মৃতের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানে মৃত্যুর জন্য আসগর তাঁর স্ত্রী, স্ত্রীর ভাই, মা ও প্রেমিককের নাম আছে।
স্ত্রী ও প্রেমিকের অত্যাচারে কীভাবে জেরবার হয়েছিল আসগরের জীবন? এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানিয়েছেন আসগরের বাবা।তাঁর বয়ান অনুসারে, বিয়ের পর আসগরের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু আলাদা থাকার জন্য আসগরের উপর চাপ দিতে থাকে সে। তখন বাধ্য হয়ে কোন্দায়ায় আলাদা ফ্ল্যাট কিনে স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করে আসগর। কিন্তু সেই ফ্ল্যাট তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য আসগরকে চাপ দিতে থাকেন স্ত্রী। এমনকি সেই ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক মিলে তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচারও চালাতেন বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে আসগর মাস দশেক আগে ফ্ল্যাট ছেড়ে বাবার সঙ্গে থাকতে শুরু করে করেন। কিন্তু অত্যাচার তখনও চলছিল। তাই স্ত্রীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন আসগর, এমনটাই অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বাজছে ঢোল, জিপের বনেটে নাচতে নাচতে বিয়ে করতে যাচ্ছে কনে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy