সনিয়া গাঁধীর জন্মদিনে তাঁর স্বপ্নের মহিলা সংরক্ষণের দাবির ব্যাটন হাতে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বেকায়দায় ফেলে দিলেন রাহুল গাঁধী।
কংগ্রেস ও সহযোগী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বিধানসভাগুলিতে এ নিয়ে প্রস্তাব পাশ করতে চিঠি দিলেন রাহুল। কংগ্রেস নেতাদের মতে, এ’টি রাহুলের ‘মাস্টারস্ট্রোক’। এক ঢিলে একাধিক পাখি মারলেন।
কংগ্রেসের বক্তব্য, প্রথমত, বিষয়টি নিয়ে এত দিন প্রায় একা লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সনিয়া। যে কারণে ইউপিএ জমানায় হাজার বাধা সত্ত্বেও এ নিয়ে রাজ্যসভায় বিল পাশ করেছিলেন। দলের সভাপতি হিসেবে রাহুল সেই ব্যাটন হাতে নিলেন। দুই, লোকসভায় মহিলা ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগে মহিলাদের মধ্যে মোদীর জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন রাহুলও তুমুল জনপ্রিয়। তিন তালাক নিয়ে মোদী যখন মহিলা তাস খেলছেন, তখন মোক্ষম চাল দিলেন রাহুল। তিন, শবরীমালা নিয়ে কেরল কংগ্রেসের অবস্থানে মহিলাদের কাছে কংগ্রেস সম্পর্কে যে বিরূপ বার্তা গিয়েছে, আজ সংরক্ষণের কথা বলে সেই ক্ষত মেরামত করার চেষ্টা করলেন তিনি। চার, সংসদ অধিবেশনের আগে গেরুয়া শিবির যখন মন্দিরের রাজনীতি করছে, তখন মহিলা সংরক্ষণ বিলের কথা বলে বিজেপিকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করলেন। কারণ, মোদীর পক্ষে এখন এই বিল পাশ করানো সম্ভব নয়। পাঁচ, মোদীর বিরুদ্ধে যখন বিরোধী জোট দানা বাঁধছে, তখন বাকি দলগুলির হাতেও অভিন্ন অস্ত্র তুলে দিলেন। শরদ পওয়ারও আজ মহিলা সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করে বিরোধীদের একজোট হতে বলেছেন।
বিজেপির পাল্টা প্রশ্ন, এতই যখন কৃতিত্ব নিচ্ছেন রাহুল, কংগ্রেস জমানায় এই বিল পাশে কে বাধা দিয়েছিল? তখন লালু-মুলায়মের মতো ইউপিএ শরিকরাই তো বিলটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। রাহুল অবশ্য তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘যাঁরা মহিলাদের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিলের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁরা ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, জনজীবনে তাঁদের অসীম দায়বদ্ধতা। রাজনীতিতে মহিলাদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব না থাকা মানে আসলে গণতন্ত্রকে খাটো করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy