সোনাল শর্মা। ছবি সংগৃহীত।
ভোর চারটেয় উঠে বাবাকে গোয়ালঘরের কাজে সাহায্য করা। কখনও কখনও অন্যের বাড়িতে দুধ পৌঁছে দিয়ে আসা। এই সব করেও সোনাল শর্মা লেখাপড়া করেছেন। প্রথম বার বসে রাজস্থান জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেছিলেন। এ বার পোস্টিং পাবেন তিনি। সেশনস আদালতে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে। প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফল হয়ে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বিচারক হচ্ছেন রাজস্থানের খ্যায়রি লাল শর্মার মেয়ে সোনাল।
সংসারে অভাব থাকলেও তা সোনালের এগিয়ে চলার পথে বাধা হতে পারেনি। তিনি কোনও দিন কোচিং সেন্টার বা টিউশনেও যেতে পারেননি। সাইকেল চালিয়ে আগে আগে কলেজ গিয়ে লাইব্রেরিতে তৈরি করেছেন নোট। তা দিয়েই চলত পড়াশোনা। এই ভাবে মোহনলাল সুখোদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল ফল করায় সোনার মেডেলও পেয়েছেন সোনাল।
গত বছর নভেম্বরে জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পাশ করলেও তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল। কিছু প্রার্থী কাজে যোগ না দেওয়ায় পদ ফাঁকা হয়। তার জেরেই সম্প্রতি পোস্টিং পেলেন এই সোনাল।
পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার কাজে সাহায্য করেই বড়ে হয়েছেন সোনাল। তিনি বলেছেন, ‘‘স্কুলে যেতাম যখন, অধিকাংশ সময় চপ্পলে গোবর লেগে থাকত। গোয়ালার মেয়ে পরিচয় দিতে বন্ধুদের সামনে খুব লজ্জা করত। কিন্তু এখন আমি পরিবারের জন্য গর্বিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy