Advertisement
E-Paper

সভাপতি প্রশ্নে হস্তক্ষেপ করবেন না সনিয়াও

সেখানে সাংবাদিকেরা ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন করতে বলেছেন, ‘‘যা বলার কালকের নোটেই বলে দিয়েছি। আমার লড়াই জারি থাকবে, আরও জোরদার হবে। যে ভাবে পাঁচ বছর লড়েছি, তার থেকেও দশ গুণ বেশি হবে।’’

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:৩৩
মুম্বইয়ের আদালতে রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।

মুম্বইয়ের আদালতে রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।

কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে ঘোষণা করার পরে দৃশ্যতই ফুরফুরে রাহুল গাঁধী। গত কাল দুপুরে টুইটারে চার পাতার চিঠি প্রকাশের পরে রাতে খোশমেজাজে ‘আর্টিকল ১৫’ দেখেছেন দিল্লির চাণক্য হলে। তার পর রাত পোহাতেই পাড়ি দিয়েছেন মুম্বই। আরএসএসের আনা মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে।

সেখানে সাংবাদিকেরা ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন করতে বলেছেন, ‘‘যা বলার কালকের নোটেই বলে দিয়েছি। আমার লড়াই জারি থাকবে, আরও জোরদার হবে। যে ভাবে পাঁচ বছর লড়েছি, তার থেকেও দশ গুণ বেশি হবে।’’

সকালেই বিদেশ থেকে টুইট করে রাহুলকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। লিখেছেন, ‘‘তুমি যা কর, সেটা করার সাহস খুব কম লোকেরই রয়েছে। তোমার সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।’’

রাহুলের পরে কে, এই প্রশ্নে এখন উত্তাল কংগ্রেসের অন্দরমহল। দলের কিছু শীর্ষ নেতা আজ সনিয়া গাঁধীর কাছে যান পরবর্তী সভাপতি বাছাই নিয়ে তাঁর পরামর্শ নিতে। কিন্তু সনিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, অস্থায়ী বা স্থায়ী সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনি কোনও রকম নাক গলাবেন না। তিনি কোনও নাম প্রস্তাব করলে ফের অভিযোগ উঠতে পারে, গাঁধী পরিবার কোনও ‘কাঠপুতুল’কে বসাচ্ছে। রাহুল আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সভাপতি প্রশ্নে তিনি নাক গলাবেন না।

কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘দলে যখনই কোনও সঙ্কট তৈরি হয়েছে, গাঁধী পরিবারই পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। নরসিংহ রাও, সীতারাম কেশরীর সাত বছর বাদ দিলে গত চার দশকে গাঁধী পরিবারের সদস্যই সভাপতি থেকেছেন। ফলে এই সঙ্কট আমাদের কাছেও অভিনব।’’

সভাপতি পদে এখনও মল্লিকার্জুন খড়্গে, সুশীলকুমার শিন্ডের মতো দলিত নেতার নামই ঘুরছে। লোকসভা সাংসদদের কাছে খড়্গের পাল্লাই ভারী। কেউ কেউ ওবিসি নেতা অশোক গহলৌতের কথাও ভাবছেন। কুমারী শৈলজা, মুকুল ওয়াসনিকের নামও উঠছে। আবার মনমোহন সিংহকে সভাপতি করে, কয়েক জন কার্যকরী সভাপতি করারও প্রস্তাব এসেছে।

আপাতত বুধবার নাগাদ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হতে পারে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতি ইস্তফা দিলে প্রবীণতম সাধারণ সম্পাদক অস্থায়ী সভাপতি হন। সে দিক থেকে কাল থেকেই মোতিলাল ভোরার নাম উঠে এসেছে। কিন্তু ভোরা আজ বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও বার্তা আসেনি।’’ কংগ্রেসের নেতাদের মতে, রাহুলের ইস্তফা মঞ্জুর বা খারিজের অধিকার ওয়ার্কিং কমিটির। সে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সভাপতি রাহুলই।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

Sonia Gandhi Congress President Rahul Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy