Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাকে নিশানা করবেন না, প্রধানমন্ত্রীকে বলল তৃণমূল, মমতাকে ফের বৈঠকে ডাকলেন মোদী

কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, ১৯ তারিখ বেলা তিনটের সময় প্রধানমন্ত্রী সব দলের সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক করবেন দিল্লিতে। মোদীরা চাইছেন, তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকুন।

নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০১:৫৯
Share: Save:

তাঁর সরকার যেন বাংলাকে ‘নিশানা’ না করে, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেই সেই দাবি জানাল তৃণমূল। এই নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার। তার আগে আজ দিল্লিতে বসেছিল সর্বদল বৈঠক। সেই বৈঠকেই সংসদের দুই কক্ষের তৃণমূলের দুই নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মর্যাদা দিয়ে রাজ্যের উপরে ‘হস্তক্ষেপ’ বন্ধ করুক কেন্দ্র। বিশেষ কোনও রাজ্যকে যেন ‘নিশানা’ করা না হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীরা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী মোদী তখন বৈঠকে ছিলেন না। তিনি পরে এসে বৈঠকে যোগ দেন। যে কারণে বৈঠক শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে ওঠা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে তাঁদের দাবির কথা জানান সুদীপবাবু। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ১৯ জুন, বুধবার সব দলের নেতাদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এই প্রসঙ্গে কথা হতে পারে।

কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, ১৯ তারিখ বেলা তিনটের সময় প্রধানমন্ত্রী সব দলের সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক করবেন দিল্লিতে। মোদীরা চাইছেন, তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকুন। সংসদীয় মন্ত্রী জোশী এ দিনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। তবে মমতা সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন কি না, আজ রাত পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘সর্বদল বৈঠকে দায়িত্ব ছিল সুদীপদা’র উপরে। তিনি যা বলার, বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যাবেন কি না, তিনিই ঠিক করবেন। এই সপ্তাহে তাঁর কিছু কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত আছে।’’

আমন্ত্রিত হলেও শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে ছিলেন না মমতা। এরই মধ্যে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বাংলার প্রশাসনকে তিনটি ‘অ্যাডভাইসরি’ পাঠিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ ভাবে পরপর তিনটি ‘অ্যাডভাইসরি’ সাম্প্রতিক অতীতে বেনজির ঘটনা।

সর্বদল বৈঠকের পরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।

এই ঘটনাপ্রবাহের জেরেই এ দিন ডাকা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের নেতারা দাবি করেন, রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তখন না থাকায় পরে তাঁর সঙ্গে সুদীপবাবু আলাদা করে কথা বলতে যান। কলকাতা উত্তরের সাংসদকে দেখে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর শরীর ঠিক আছে কি না। সুদীপবাবু তাঁকে বলেন, শরীর ঠিক আছে। তবে বৈঠকে তাঁরা একটি বিষয় তুলেছেন। তাঁরা মনে করছেন, বাংলাকে ‘নিশানা’ করা হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন করা যায় না। বাংলার প্রতি যেন অবিচার না হয়। সুদীপবাবুর কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী বুধবারের বৈঠকের কথা তোলেন। রাজনাথও সে সময় পাশে ছিলেন তবে তিনি মন্তব্য করেননি।

প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বুধবারের বৈঠকে পাঁচটি বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীরই অনুরোধে চিঠিতে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা থাকছে, জাতীয় স্তরে প্রাসঙ্গিক, এমন যে কোনও বিষয় যে কোনও দলের নেতা উত্থাপন করতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE