—প্রতীকী চিত্র।
জঙ্গি অভিযান ঘিরে ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর। শনিবার ভোরে পুলওয়ামায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৪ জঙ্গির। তার পরই তেতে ওঠে উপত্যকা। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়েরাও। তাতে ১৬ জন আহত হন। ডান হাতে গুলি লাগে একজনের। তাঁকে শ্রীনগরের শ্রী মহারাজা হরি সিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকিদের চিকিত্সাচলছে রাজপোরার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
শুক্রবার পুলওয়ামার বান্দেরপোরায় সেনা অভিযানে মৃত্যু হয় উপত্যকার বাসিন্দা ইশফাক ইউসুফ ওয়ানি নামে এক যুবকের। কয়েক মাস আগে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা-য় যোগ দেয় সে। তার শেষযাত্রায় মানুষের ঢল নামে। দক্ষিণ কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তা নিয়ে বিক্ষোভও শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামে বিচ্ছিন্নতাকামীরাও।
তার চব্বিশ ঘণ্টা পেরনোর আগেই শনিবার সকালের এই ঘটনায় নতুন করে তেতে উঠছে উপত্যকা। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার হানজান পাইন গ্রামে একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর এসে পৌঁছয়। সেই মতো অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল। এলাকায় তাদের দেখে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন জওয়ানরাও। প্রায় আধ ঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর চার জঙ্গির মৃত্যু হয়।প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র এবং কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি উদ্ধার হয় তাদের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন: তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ ৫ বছরের মেয়ের, রোদে দাঁড় করিয়ে মারা হল আইএস শিবিরে
আরও পড়ুন: কনকনে ঠান্ডা চলবে কলকাতায়, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা
মৃত জঙ্গিদের মধ্যে তিনজনকে ওয়াসিম আহমেদ ওয়ানি, মুজামিল নাজির ভাট এবং মুজামিল নবি দর বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। চতুর্থজন বহিরাগত। আপাতত তার নাম হারিস বলে জানা গিয়েছে। তবে কোথা থেকে এসেছিল তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। মৃত চারজনই জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ-এর সদস্য ছিল বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের এক মুখপাত্র।
তিনি জানান, গুলি বিনিময় শেষ হওয়ার পর ওই বাড়ির কাছে ঘেঁষতে বারণ করা হয়েছিল স্থানীয় মানুষকে। কিন্তু কথা কানে তোলেননি কেউ। বরং নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস এবং ছররা বন্দুক ব্যবহার করা হয়। ছরার বন্দুক এবং গুলি ছোড়া নিয়ে এর আগে সেনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লার মতো নেতা-নেত্রীরা। এ দিনের ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy