জিভি বিনোদ কুমার। স্কুল কলেজে কোনওদিন অনুপস্থিত না হয়ে রেকর্ড করেছেন। ছবি সংগৃহীত।
টেবিলে ছড়ানো রয়েছে ১৯টি শংসাপত্র। স্কুল ও কলেজের সেই শংসাপত্রগুলিই জানিয়ে দিচ্ছে স্কুল-কলেজের ক্লাসে উপস্থিতির ব্যাপারে তাঁর নিয়মানুবর্তিতা। তিনি চেন্নাইয়ের ২১ বছরের যুবক জিভি বিনোদ কুমার। যিনি গত ১৭ বছরে একদিনের জন্যও স্কুল ও কলেজে অনুপস্থিত থাকেননি।
কালাইমঙ্গল বিদ্যালয় ম্যাট্রিকুলেশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। সেখানে টানা ১৪ বছর পড়ার পর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকের কোর্সে ভর্তি হন হিন্দুস্তান কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সে। বর্তমানে তিনি মিয়াসি ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে এমসিএ-র ছাত্র।
এই উপস্থিতি নিয়ে বিনোদ বলেছেন, ‘‘উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর নিয়মিত উপস্থিতির জন্য শংসাপত্র দেওয়া হয় আমাকে। তখনই রেকর্ডের বিষয়টি মাথায় আসে। লোয়ার কেজি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত ছিল ১৪ বছর। সে জন্য কলেজেও আমি একদিনও ক্লাস কামাই করিনি। সেটাই আমার রেকর্ডকে ১৭ বছরে নিয়ে গিয়েছে। আশা করছি স্নাতকোত্তরেও আমি এই রেকর্ডটা ধরে রাখতে পারব।’’
১৪ বছরের স্কুল জীবন ও তিন বছরের কলেজ জীবনে তিনি রোজ স্কুলে গিয়েছেন। জ্বর, ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, বন্ধ কোনও কিছুই তাঁকে ক্লাস করা থেকে বিরত করতে পারেনি। সে জন্যই গত ১৭ বছর ধরে তাঁর উপস্থিতির হাক ১০০ শতাংশ। কলেজে পড়ার সময় একদিন তাঁর গায়ের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০২ ডিগ্রি। সেই অবস্থাতেও স্কুলে গিয়েছিলেন তিনি।
স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতার ক্ষেত্রে নিজের বাবা-মার ভূমিকার কথাও বলেছেন বিনোদ। তিনি বলেছেন, ‘‘নিয়মিত স্কুলে যাওয়ার জন্য বাবা-মা সবসময় উ়ৎসাহ দিত। আমার বাবা একজন শিক্ষক। ছোটবেলায় তিনি রোজ আমাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসতেন।’’ আর নিয়মিত স্কুলে যাওয়ার রেকর্ড ভাঙতে প্রচুর প্রলোভন এসেছে তাঁর সামনে। কিন্তু সে সকল প্রলোভন তাঁকে স্কুলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে বিনোদের উপলব্ধি, ‘‘একদিনের খুশির জন্য এত বছরের পরিশ্রম ব্যর্থ হোক-তা আমি কখনই চাইনি।’’
আরও পড়ুন: পরীক্ষা করে জানান সব ভিভিপ্যাট ঠিক আছে কিনা, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy