সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: এএফপি
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের অনলাইনে সম্প্রচারিত নথি এবং তথ্য খতিয়ে দেখতে সোশ্যাল মিডিয়া হাব তৈরির সিদ্ধান্তে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত। সোশ্যাল মিডিয়া হাব গঠনের নামে ‘নজরদারি রাষ্ট্র’ গঠন করার মতোই বিষয় বলে পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতিরা। দু’সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এই নিয়ে বক্তব্য পেশ করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের দায়ের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রকে নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি এই বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালের সাহায্য চাইল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের বক্তব্য, সরকার দেশের নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপে আদানপ্রদান হওয়া পারস্পরিক বার্তায় নজর রাখতে চাইছে।
আরও খবর: জনসনের পাউডার থেকে ক্যানসার, ৪৭০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
মামলায় তৃণমূল বিধায়কের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এই হাবের সাহায্যে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়বস্তুর উপর উপর নজরদারি করতে চাইছে। সরকার প্রস্তাবনা চেয়ে আবেদন জারি করেছে, টেন্ডার খুলবে আগামী ২০ অগস্ট। বেঞ্চ তার আগেই ৩ অগস্ট বিষয়টি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করছে বলে জানায়। এজি বা কেন্দ্রের কোনও আইন অফিসার এ বিষয়ে আদালতকে সহায়তা করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
মহুয়া মৈত্রের কৌঁসুলি জানান, সরকার নাগরিকদের টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ই-মেলের বিষয়ের নজরদারি করতে চাইছে। সম্প্রতি কেন্দ্রের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টস ইন্ডিয়া লিমিটেড এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে সফটওয়্যার সরবরাহের জন্য টেন্ডার ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ে করতে চাই, মডেলকে আটকে পুলিশকে ভিডিয়ো কল বন্দুকধারী যুবকের
গত ১৮ জুন সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রের সোশ্যাল মিডিয়া কমিউনিকেশন হাব তৈরির উদ্যোগ স্থগিত রাখার আবেদনের দ্রুত শুনানি করতে সম্মত হয়নি, যার মাধ্যমে অনলাইনে প্রকাশিত ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়বস্তু সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy