জনসম্ভব র্যালিতে রাজনাথ সিংহ। ছবি: পিটিআই
‘‘চিন কি ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ দখল করে নিয়েছে?’’ গত কয়েক দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে টুইটারে এই প্রশ্ন করে চলেছেন রাহুল গাঁধী। সরকারের শীর্ষনেতৃত্বের এ বিষয়ে মৌন থাকা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। আবার রাহুলের দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও লাদাখ ইস্যুতে লাগাতার চলছে আক্রমণ। কিন্তু এ পর্যন্ত মন্ত্রীদের কাছ থেকে কোনও জবাব আসেনি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট ধরলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ নিজেই। বললেন, ‘‘আমরা কোনও কিছু গোপন রাখতে চাই না।’’ কোনও পরিস্থিতিতেই ‘জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সমঝোতা করা হবে না’ বলেও জম্মু জনসম্ভব র্যালিতে আশ্বস্ত করেছেন রাজনাথ।
লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে শাসক শিবিরকে প্রায় প্রতিদিন আক্রমণ করছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। তার জবাব দিতে জম্মুতে জনসম্ভব র্যালির মঞ্চকেই হাতিয়ার করলেন রাজনাথ সিংহ। রবিবার তিনি বলেন, কূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। চিনও সমস্যা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে। বিরোধীদের আমি আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের সরকার কাউকেই অন্ধকারে রাখবে না।’’ একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ‘‘আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই যে, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে কোনও ভাবেই আপস করা হবে না।’’
মে মাসের গোড়ার দিক থেকে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনা মোতায়েন ঘিরে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়ে। ভারতেও তা নিয়ে তৎপরতা বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিরক্ষা রাজনাথ সিংহও চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্তিমিত হচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে দু’দেশই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে ঐক্যমত্য হয়েছে। ধাপে ধাপে সেনা সরানোর সিদ্ধান্তেও দু’দেশ সহমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবণে। এই পরিস্থিতিতে রাজনাথের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: কীসের অবসাদ? সম্পর্ক? না কি কেরিয়ার? সুশান্তের মৃত্যু রহস্যেই
আরও পড়ুন: ফের পুরো লকডাউন? জারি হবে নতুন কড়াকড়ি? প্রশ্ন ঘুরছে দেশ জুড়ে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy