Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Science News

ভয়াল ভূমিকম্পের ভয় নিয়ে দাঁড়িয়ে পার্ক স্ট্রিট, সল্টলেক, রাজারহাট... বলছে আইআইটি-র রিপোর্ট

সেই ভয়াবহ কম্পনে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে পার্ক স্ট্রিট, সল্টলেক, নিউ টাউন, রাজারহাট, দমদম, নাগেরবাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সুজয় চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৯:৩৫
Share: Save:

বড়সড় ভূমিকম্পে যে কোনও মুহূর্তে থরথর করে কেঁপে উঠতে পারে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। সেই ভূকম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে হতে পারে ন্যূনতম ৬.১ থেকে সর্বাধিক ৬.৮।

সেই ভয়াবহ কম্পনে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে পার্ক স্ট্রিট, সল্টলেক, নিউ টাউন, রাজারহাট, দমদম, নাগেরবাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলি। ভয়াবহ ভূকম্পে ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে সিঁথি, কালিদহ, নোয়াপাড়া, দক্ষিণদাড়ি, গোপালপুর, তেঘরিয়া, বেরাবেরি, দুর্গানগর ও মহিষবাথান-সহ বিশাল একটি এলাকা। আগামী ৫০ বছরে এই আশঙ্কা আরও ১০ শতাংশ বাড়বে।

ভূমিকম্প কতটা নাড়িয়ে দিতে পারে শহর কলকাতা আর তার আশপাশের এলাকাগুলিকে, তা বুঝে রাজ্য প্রশাসন যাতে আপৎকালীন ব্যবস্থা নিতে পারে, বিকল্প পথে উদ্ধার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করতে পারে তড়িঘড়ি, তার জন্য একটি ‘সিসমোলজিক্যাল মাইক্রোজোনেশন ম্যাপ’ বানিয়েছে খড়্গপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট এফ টেকনোলজি (আইআইটি)। কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে। সেই মানচিত্রই ওই ভয়াবহ ছবি তুলে ধরেছে। আইআইটি-র অধ্যাপক শঙ্কর কুমার নাথের নেতৃত্বে গবেষকদলের ওই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন-এর বিজ্ঞান-জার্নাল ‘ন্যাচারাল হ্যাজার্ডস অ্যান্ড আর্থ সিস্টেম সায়েন্সেস’। তা বেরিয়েছে আরও দু’টি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জার্নাল অফ আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং’ ও ‘জার্নাল অফ সিসমোলজি’-তেও।

ওই মানচিত্র জানাচ্ছে, ভূগর্ভের জলস্তর অন্য জায়গাগুলির তুলনায় অনেক উপরে থাকায় ও তার খুব সামান্য নীচে পলিমাটি থাকায় তীব্র জলোচ্ছ্বাসে কার্যত ‘সলিলসমাধি’ ঘটতে পারে রাজারহাট, কৃষ্ণপুর, নিকো পার্ক, মহিষবাথান, নিউ টাউন, সল্টলেক, নারকেলডাঙা, শিয়ালদহ স্টেশন, বেলেঘাটা, বাগবাজার, বিবাদি বাগ, পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস, বালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া ও কসবা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার। যার জেরে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজগুলিকে ধরলে তার পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ৫০ হাজার কোটি টাকা।

এই মানচিত্র বানানো হবে আরও ৮টি শহরের

শুধুই কলকাতা নয়, ইতিমধ্যেই শিলং, গুয়াহাটি-সহ দেশের ৬টি শহরের ক্ষেত্রে এই ধরনের মানচিত্র বানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক দেশের ভূকম্পপ্রবণ মোট ৩০টি শহরের ক্ষেত্রে এই মানচিত্র তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সেই প্রকল্পে দেশের আরও ৮টি শহরে এই মানচিত্র বানানো হবে। তাদের মধ্য়ে রয়েছে: পটনা, বারাণসী, লক্ষ্ণৌ, আগরা, মেরঠ, অমৃতসর, কানপুর ও ধানবাদ।

আরও পড়ুন- ৮.৫ তীব্রতার ভূমিকম্পে টালমাটাল হবে হিমালয়! মহাপ্রলয়ের সতর্কবার্তা বিজ্ঞানীদের​

মানচিত্রটি বানাতে খড়গপুরের আইআইটি’র গবেষকদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, শিবপুরের ‘বেসু’ এবং সেন্টার ফর গ্রাউন্ড ওয়াটার স্টাডি। গত ৫ বছর ধরে এ ব্যাপারে গবেষণা চালিয়েই ওই মানচিত্রটি বানানো হয়েছে।

কলকাতার মানচিত্র কী কী জানিয়েছে?

ওই মানচিত্র দেখিয়েছে, কলকাতা শহর ও তার আশপাশের এলাকায় কোন কোন জায়গাগুলিতে ভূকম্পনের আশঙ্কা সর্বাধিক, কোথায় তা বেশি বা মাঝারি মানের আর কোথায় তা খুব কম। এও দেখিয়েছে, এই শহরের কোন কোন এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর তুলনামূলক ভাবে উপরে রয়েছে আর তার ফলে তার নীচে থাকা পলি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে সেই এলাকাগুলি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা কোথায় বেশি আর কোথায় কম। শহরের কোন অংশে জনসংখ্যা বেশি, কোথায় কোন ধরনের বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ি তৈরি হয়েছে, তার ভিত্তিতে ভয়াবহ ভূকম্পে শহরের কোন অংশে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি কতটা হতে পারে, তারও একটা সম্ভাব্য খতিয়ান দেওয়া হয়েছে সেই মানচিত্রে। শহরের কোন অংশে কোন ধরনের বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ি বানালে তা ভূকম্পনের ধকল কিছুটা সইতে পারবে, তারও দিশা দেখানো হয়েছে ওই মানচিত্রে। মানচিত্রটি বানানো হয়েছে ১৮৯৩ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত ওই এলাকায় ভূকম্পনের ইতিহাসের ভিত্তিতে। ভূমিকম্পের এই আশঙ্কা থাকবে আগামী ৪৭৫ বছর পর্যন্ত।

কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার মানচিত্র। ইনসেটে, ‘আর্থকোয়েক মাইক্রোজোনেশন’ প্রকল্পের প্রধান কাণ্ডারী আইআইটি-র অধ্যাপক শঙ্কর কুমার নাথ

ওই মানচিত্র বলছে, গোটা পশ্চিমবঙ্গই কার্যত যথেষ্ট ভূকম্পপ্রবণ। সেটা অবশ্য নতুন কথা নয়। যেটা নতুনত্ব, সেটা হল, কতটা ভয়াবহ ভূকম্পে আলোড়িত হতে পারে কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ, সেই নিরিখে শহর কলকাতা আর তার আশপাশের এলাকাগুলিকে রাখা হয়েছে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির মাঝামাঝি। যেখানে থাকলে ভূকম্পনের পিক গ্রাউন্ড অ্যাকসিলারেশন (সবচেয়ে বেশি অনুভূত) হয় ০.১৬জি থেকে ০.৩৬জি (‘জি’ বলতে বোঝায় পৃথিবীর অভিকর্ষ বল, যার মান প্রতি বর্গ সেকেন্ডে ৯৮১ সেন্টিমিটার)-র মধ্যে বা তারও কিছু বেশি। সেটা কতটা ভয়াবহ, তা বুঝতে সুবিধা হতে পারে এটা জানলে যে, গোটা বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূকম্পনগুলি যে এলাকায় হয়, তা পঞ্চম শ্রেণির।

আরও পড়ুন- মহাপ্রলয় আসন্ন? আট দশকেই জলমগ্ন হবে অধিকাংশ মহাদেশ: রাষ্ট্রপুঞ্জ​

ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস এর আগে কলকাতাকে রেখেছিল শুধুই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির মাঝামাঝি। নতুন মানচিত্র সেই মানদণ্ডকে বদলে দিয়েছে। তার ফলে, শহর কলকাতার যে অংশগুলিকে আগে বেশি ভূকম্পপ্রবণ বলে মনে করা হয়েছিল, তার কয়েকটি নতুন মানচিত্রে ততটা ভূকম্পপ্রবণ এলাকা বলে ঠাঁই পায়নি। উল্টোটাও ঘটেছে। যে এলাকাগুলিকে ততটা বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়নি ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্য়ান্ডার্ডসের বিচারে, সেই এলাকাগুলি এ বার ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হিসেবে জায়গা পেয়েছে এই মানচিত্রে। শহরের হালের মানচিত্রে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ এলাকার সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

কেন কলকাতা এতটা ভূকম্পপ্রবণ?

আইআইটি’র জিওলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্স বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর, ভাটনগর পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী শঙ্কর কুমার নাথ জানাচ্ছেন, তার কারণ মূলত ৫টি।

এক, কলকাতা রয়েছে অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ বেঙ্গল বেসিনের উপর। ওই বেঙ্গল বেসিনেই রয়েছে সাড়ে ৭ কিলোমিটার পুরু পলি মাটির স্তর। আর তার সাড়ে ৪ কিলোমিটার নীচে রয়েছে ইয়োসিন হিঞ্জ জোন। দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার চওড়া সেই হিঞ্জ জোন কলকাতা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিস্তৃত। যা বেঙ্গল বেসিনের পূর্ব দিকে যমুনা ফল্টে গিয়ে মিশেছে। ওই সংযোগস্থলে ভয়াবহ ভূকম্পে অতীতে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢাকা, বরিশাল, পাবনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ-সহ একটি বিশাল এলাকা।

দুই, কলকাতার ৬০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। যে এলাকায় অনেক ভয়াবহ ভূকম্পন হয়েছে। রয়েছে প্রচুর চ্যূতি। যেখানে ৮.১ থেকে সর্বাধিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে যথেষ্টই।

তিন, ১২০০ কিলোমিটার। রয়েছে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ইস্টার্ন সাবডাকশান জোন। যেখানে ৮.৬/৮.৭ মাত্রার কম্পনের আশঙ্কা যথেষ্টই।

চার, কলকাতার ৬০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে নেপাল সীমান্ত। পূর্ব মধ্য হিমালয়ের অঞ্চলে থাকা নেপাল–বিহার সীমান্তে অতীতে বড়সড় ভূমিকম্প হয়েছে। এখানে ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্পের তীব্র আশঙ্কা রয়েছে। ভূটান, সিকিমে হতে পারে সর্বাধিক ৮.৩ মাত্রার ভূকম্পন।

পাঁচ, কলকাতার ৩০০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর। ১৯৬৪ সালে যেখা নে ৫.৪ মাত্রা ভূকম্পন হয়েছিল।

লাগোয়া এলাকাগুলির কম্পনও কলকাতার উদ্বেগের কারণ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুই কলকাতায় ভূকম্পন নয়, শহরের উদ্বেগের অন্যতম প্রধান কারণ, তার আশপাশের লাগোয়া এলাকাগুলি অত্যন্ত ভূকম্পপ্রবণ বলে। অতীতে যে এলাকাগুলিতে তীব্র থেকে তীব্রতর ভূকম্পন বার বার অনুভূত হয়েছে। তার ফলে, প্রাণহানি-সহ প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ওই সব এলাকায়। তাদের মধ্যে রয়েছে ১৮৯৭ সালের শিলং ভূমিকম্প। রয়েছে ১৯৩৪-এর নেপাল-বিহার, ১৯৫০-এর অসম এবং ১৯৮৮-র মায়ানমার ভূকম্প ও ২০১৫-র নেপাল ভূকম্পনের মতো বড় ঘটনাগুলি। ‘‘লাগোয়া এলাকাগুলিতে তীব্র ভূকম্পনের ধাক্কায় কলকাতার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা যথেষ্টই’’, বলছেন এই ‘মাইক্রোজোনেশন’ প্রকল্পের প্রধান কাণ্ডারী শঙ্কর।

নেপালের সেই ভূমিকম্পের (২০১৫ সাল) দুঃসহ অ্যালবাম

তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা শুধুই কথার কথা নয়। ১৯৩৪ সালে নেপাল-বিহার সীমান্তে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল, তার জেরে ভূগর্ভের জলস্তর আর তার নীচের পলি মাটি মিশে গিয়ে পার্ক স্ট্রিট, শ্যামবাজার, কালীঘাট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও উত্তর কলকাতার একটি বিস্তীর্ণ অংশ ধসে গিয়েছিল। এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।’’

তুলনায় কম মাত্রার ভূকম্পও হতে পারে অত্যন্ত বিপজ্জনক!

শুধুই ভূকম্পনের মাত্রার উপর কোনও এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ভর করে না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ভর করে আরও কয়েকটি বিষয়ের উপর। তাদের মধ্যে রয়েছে: ১) জনসংখ্যা, ২) কতটা জমি খালি পড়ে রয়েছে, ৩) কতটা জমির উপর জনবসতি রয়েছে এবং ৪) সেই এলাকায় বাড়িগুলির বয়স, তাদের উচ্চতা, দু’টি বাড়ির মধ্যে কতটা জমি ছাড়া হয়েছে, সেই সবের উপরেও নির্ভর করে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ। প্রথম তিনটি মানদণ্ডকে বলা হয়, ‘সোশিও-ইকনমিক রিস্ক’। শেষের মানদণ্ডটিকে বলা হয়, ‘স্ট্রাকচারাল রিস্ক ম্যাপ’।

আরও পড়ুন- ৬৫ পয়সায় ১ লিটার! সমুদ্রের জলেই এ বার তৃষ্ণা মেটানো যাবে​

কোনও এলাকায় বড় ভূমিকম্প হলেই সব বাড়ি একই সঙ্গে পড়ে যায় না। কারণ, বিল্ডিং কোড অনুয়ায়ী শুধু কলকাতা শহরেই ১১ ধরনের বাড়ি রয়েছে। তাদের শক্তি, সামর্থ, সহন ক্ষমতা, মালমশলার গুণগত মানের নিরিখে।

শঙ্কর বলছেন, ‘‘তাই ভূকম্পনের মাত্রা তুলনায় কম হলেও, এই ফ্যাক্টরগুলির জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অভূতপূর্ব হয়ে উঠতে পারে। তাই এই মানচিত্রে সেই ফ্যাক্টরগুলি ধরেও কলকাতা শহরের বিভিন্ন এলাকার ভূকম্পনের আশঙ্কা মাপা হয়েছে।’’

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক তথ্য: আইআইটি, খড়্গপুর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE