Advertisement
E-Paper

মশাদের ‘চালাকি’ ধরে ফেলেছেন, বলছেন ম্যালেরিয়া গবেষক

আরও সহজ করে বললে, ম্যালেরিয়া দমনে ‘মশা মারতে কামান দাগা’-র ভয় ভুলে মশার স্বভাব বুঝে প্রস্তুতি চালানোই একমাত্র পথ। জানেন কী ভাবে?

মনীষা মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৮
মশার স্বভাব বুঝে প্রস্তুতি চালানোই মশা দমনের পথ বলে দাবি গবেষকদের। ছবি: শাটারস্টক।

মশার স্বভাব বুঝে প্রস্তুতি চালানোই মশা দমনের পথ বলে দাবি গবেষকদের। ছবি: শাটারস্টক।

না, কোনও কামানের প্রয়োজন নেই। দরকার নেই সে কামান দাগানোরও। মশার সঙ্গে যুঝতে স্রেফ ‘মশা’ হয়ে ওঠাটা জরুরি!

মশার মতো ইন্দ্রিয়-ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জোর, গন্ধের বাছবিছার— এ সব আয়ত্তে আনতে পারলে তবেই মশার সঙ্গে লড়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠা সম্ভব। আরও সহজ করে বললে, ম্যালেরিয়া দমনে ‘মশা মারতে কামান দাগা’-র ভয় ভুলে মশার স্বভাব বুঝে প্রস্তুতি চালানোই একমাত্র পথ।

সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই জানাচ্ছেন আমেরিকার বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন (যা ‘গেটস ফাউন্ডেশন’ নামে খ্যাত)-এর গবেষক ডান স্ট্রাইকম্যান। ম্যালেরিয়ার বিস্তার ও তার প্রতিকার নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ যে সব বিজ্ঞানী পরীক্ষা চালিয়ে চলেছেন, স্ট্রাইকম্যান তাঁদের মধ্যে প্রথম সারির মস্তিষ্ক। মশা দমনে বেশ কিছু আধুনিক উপায়ও জানিয়েছে এই সংস্থা। আধুনিক উপায়ে মশা দমনে উপযোগী যন্ত্র প্রস্তুতিতে ‘গেটস ফাউন্ডেশন’ প্রায় ২০০ কোটি ডলার খরচও করছে।

গবেষকদের মতে, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ মশাবাহিত অসুখে মারা যান। ভারত-বাংলাদেশ তো বটেই, এ ছাড়া আফ্রিকা মহাদেশে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত দেশগুলিতেও এর প্রভাব ভয়ানক। ভৌগোলিক পরিভাষায় ‘সাব সাহারান আফ্রিকা’র দেশগুলিতে প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ শিশুর মৃত্যু হয় ম্যালেরিয়ায়। স্ট্রাইকম্যানের দাবি, মশা যেমন ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ করে, তেমনই ঝাঁক বেঁধে প্রস্তুত থেকে সে আক্রমণ প্রতিহত করতে না পারলে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা মুশকিল।

আরও পড়ুন: খাবার নুনে বিষাক্ত প্লাস্টিক কণা, মিলল আইআইটি-র গবেষণায়

কিন্তু কী ভাবে

গেরিলা আক্রমণ ঠেকানোর বিশেষ কিছু কায়দা আছে, কিন্তু মশক দমাতে ‘মশক’ হয়ে ওঠার কায়দা করায়ত্ত করার বিষয়টা মোটেই সহজ নয়, তার জন্য জানতে হয় মশাদের গতিবিধি, ভাবনাচিন্তার নির্যাস। স্ট্রাইকম্যান এ প্রসঙ্গে অন্ধকারে রাখেননি। বরং মশার প্রথম রক্তের স্বাদ পাওয়া, বংশবিস্তার, তাদের গতিবিধি, সব নজরে এনে ম্যালেরিয়া রোধের কিছু উপায় বাতলেছেন।

স্ট্রাইকম্যানের এই গবেষণা মূলত পশ্চিম আফ্রিকার মালি-তে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করলেও ওই ফাউন্ডেশনের দাবি, এই ভাবনা দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তেই প্রয়োগে সাফল্য আসবে।

তবে মশাদের স্বভাব সম্পর্কে একেবারে কিছু না জানলে তাদের প্রতিরোধ অসম্ভব। তাই স্ট্রাইকম্যান সে সম্পর্কেও একটি স্বচ্ছ ধারণা দিয়েছেন আমাদের।

সাধারণত, অ্যানোফিলিস মশার ৪০টি প্রজাতি রয়েছে। এদের কেবলই আর পাঁচটা নির্বোধ কীটপতঙ্গের মতো ভাবলে সে ভুল আপনার। মশাদের সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত তথ্যও জুগিয়েছেন গবেষকরা। এ সব জানলে তবেই তাদের মোকাবিলা সম্ভব।

মশাদের অদ্ভুতুড়ে তথ্য

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

ডিম পাড়তে যেমন রক্তের প্রয়োজন হয় তেমনই বেঁচে থাকতে চিনিও প্রয়োজন তাদের। মশা সাধারণত নিজের ৬ ফুট দূরবর্তী বস্তু পর্যন্ত দেখতে পায়। স্পষ্ট দেখে ১-২ মিটার দূরত্ব থেকে। ওইটুকু আকারের প্রাণীর ক্ষেত্রে এটাও কম কথা নয় কিন্তু! একমাত্র স্ত্রী প্রজাতির মশাই ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে ও লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হয়ে ওঠার দেড় দিনের মাথায় তার খাদ্যের প্রয়োজন হয়। মশার প্রাথমিক খাদ্য বলতে ফুলের রস। মজার বিষয়, মশা কিন্তু রক্ত খেতে খুব একটা পছন্দ করে না, রক্ত খেতে বাধ্য হয় ডিম বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে। তাই রক্ত চুষতে দেখা যায় স্ত্রী মশাকেই! পুরুষ মশা ফুলের রেণু খেয়েই বাঁচে। নিজেদের শিকার খুঁজে নিতে এদের জুড়ি নেই। তবে শিকার বাছতে মশারা খুব ‘চুজি’। বেশ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকলে তবেই তারা সেই প্রাণীর কাছে ঘেঁষে। যেমন, কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রাচুর্য রয়েছে এমন জায়গার প্রাণীরা মশাদের বেশি প্রিয় হয়। তাই সূর্যাস্তের পর বনজঙ্গলের ধারেকাছে মশার উপদ্রব বাড়ে। মশাদের উত্তেজিত করে ডাইমিথাইল সালফাইড, ল্যাকটিক অ্যাসিড, এ সবের গন্ধ। তাই দুগ্ধজাত সামগ্রীর দোকানে মশা-মাছির উৎপাত বেশি। সব চেয়ে মজার, মশাও অ্যালকোহল পছন্দ করে। অ্যালকোহল ভেঙে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হওয়ায় এর গন্ধ মশার মস্তিষ্কে এক আলাদা উত্তেজনার জন্ম দেয়। অতএব মদ্যপায়ীকে মশা আক্রমণ করে বেশি!

আরও পড়ুন: হিমোগ্লোবিন বেশি? সতর্ক না হলে এ সব মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবেন

মালিতে গবেষণার সময় স্ট্রাইকম্যান দেখেছিলেন সাধারণত, তীব্র মশার উৎপাত যে সব জায়গায়, সেখানে তিন মাইল ব্যাস জুড়ে প্রায় ১০ হাজার মশা বাস করে, যাদের অর্ধেকই পুরুষ মশা। এ দিকে স্ত্রী মশা ছাড়া ম্যালেরিয়া ছড়ানো সম্ভব নয়। মনে হতেই পারে, এত পুরুষ মশা থাকলে সঙ্গী পাওয়া কঠিন নয়। কিন্তু প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, খাবারের জোগান না পাওয়া, আবহাওয়ার প্রকোপ— সব মিলিয়ে প্রায় ২০ শতাংশ মশা রোজ মারা যায়। মাত্র ৪ শতাংশ মশা দিন পনেরো-কুড়ি বেঁচে থাকার আয়ু পায়।

এই বেঁচে যাওয়া মশাদের মধ্যে স্ত্রী মশারা দেড় দিনের মাথায় রক্ত চোষে। ম্যালেরিয়ার জীবাণুকে নিজেদের শরীরে পোষণ ও তা লালাগ্রন্থিতে মিশিয়ে নিতে তাদের সময় লাগে জন্মের পর থেকে আরও দিন দশেক। পনেরো দিন কাটলে তবেই তারা তা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। সুতরাং, ম্যালেরিয়া ছড়ানোর মতো সময় পায় মাত্র ৪ শতাংশ স্ত্রী মশা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

ম্যালেরিয়া রুখতে মালি-তে কিছু নয়া পদ্ধতির কথাও জানিয়েছেন স্ট্রাইকম্যান। তা নিয়ে চালিয়েছেন পরীক্ষাও। যেমন,

একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মিলে অ্যাট্রাক্টিভ টার্গেটেড সুগার বেট (এটিএসবি)-এর শরণ নিয়েছিলেন স্ট্রাইকম্যান। মশাদের স্বভাবের উপর ভিত্তি করেই এই ব্যবস্থা। এই প্রক্রিয়ায় মশা ব্যতীত অন্য পতঙ্গ ভেদ করতে পারে না এমন একটি কাগজের আকারের প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। এর নীচের অংশে চিনি ও কীটনাশক মিশ্রিত তরলের থলি রাখা হয়। মশাদের আকর্ষণ করে এমন কিছু গন্ধ এই থলিগুলির গায়ে মাখানো থাকে। গন্ধের টানে মশারা এই তরল খেতে আসে ও বিষক্রিয়ায় মারা যায়।

এই উপায়ে দু’মাসে প্রায় ৬০ শতাংশ মশাকেই মেরে ফেলা সহজ হয়েছিল, যাদের বেশির ভাগই ছিল পূর্ণাঙ্গ মশা।

তবে এই ব্যবস্থার কিছু সমস্যাও লক্ষ করেন স্ট্রাইকম্যান। তাঁর মতে, মশা নিজের মর্জির মালিক। কাজেই গন্ধ দিয়ে আকর্ষণের পরেও যদি এই এটিএসবি-তে সে না উড়ে এসে বসে, তা হলে সেই মশাকে নির্মূল করার ক্ষমতা এর নেই।

আরও পড়ুন: উত্তরে থাবা জেই-জ্বরের

ধরা যাক, কোনও মশার ‘মুড অফ!’ তাকে এখন চিনি টানছে না। তা হলে উপায়?

পরীক্ষায় ব্যবহৃত এক স্ত্রী মশকের স্বভাব বুঝিয়ে স্ট্রাইকম্যান দেখান, এমন সময় অনেক মশাই ফের ডিম পাড়ার প্রস্ততি নেয় ও রক্তের স্বাদ পেতে চায়। সাধারণত, কার্বন ডাই অক্সাইডের গন্ধ অনেক দূর থেকে পাওয়া যায়। মশারা পারিপার্শ্বিক গ্যাসের উৎস ও তার আধিক্য টের পায়। তখন বাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা রান্নাঘরের চিমনি বা ঘুলঘুলির চারপাশে ঘুরঘুর করে সে।

নেদারল্যান্ডসের একটি বেসরকারি সংস্থা মশাদের এমন ব্যবহার শনাক্ত করে একটি ‘এভ টিউব’ জাতীয় যন্ত্র নির্মাণ করে। কীটনাশকের দানাকে মানুষের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক উপায়ে সঞ্চয় করে রাখা হয় ছাদের দিকে। এর ফলে এই পথে বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে ওই কীটনাশক দানায় মশারা আটকে মারা যায়।

এই পদ্ধতিও মশা দমনে বেশ কার্যকর বলে জানিয়েছেন স্ট্রাইকম্যান।

কিন্তু পরীক্ষার স্বার্থে ধরে নেওয়া হল, স্ত্রী মশাটি এই নলের মধ্যেও এল না। ঢুকে পড়ল ঘরে। ঘুমম্ত অবস্থায় বেশির ভাগ ঘর বন্ধ থাকায় কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রভাব সেখানে বেশি থাকে। মশাদের খিদেও পায় এমন পরিবেশে। কিন্তু দেখা গেল, মশারি জাতীয় বস্তুতে বিছানার চারপাশ ঢাকা। সেখানে হাওয়া চলাচলের জন্য অসংখ্য ছিদ্র থাকলেও স্ত্রী মশাটি ঢুকতে পারবে এমন উপায় নেই। বিদেশে অনেক মশারির গায়ে হালকা কীটনাশক মাখানো থাকে, তবে একটু পুরনো মশারি হলে তার ক্ষমতাও কমে। এ দিকে কীটনাশকের সঙ্গে যুঝতে পারার ক্ষমতাও অনেকটাই মশাদের জিনের উপর নির্ভর করে। তেমন হলে অনেক সময়েই বাড়ির দেওয়ালে কীটনাশক মাখিয়ে রাখা যায়। যার সংস্পর্শে এলে মশার শরীর ভারী হয়ে যায় ও পায়ে আটকে যাওয়া কীটনাশকের জন্য উড়তে পারে না। ফলে প্রচুর মশা আধমরা অবস্থায় পড়ে যায় মাটিতে।

জলে এ ভাবেই শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ভাসতে থাকে মশার ডিম।

তবে সারা বিশ্বেরই পরিবর্তিত আবহাওয়া ও সময়ের সঙ্গে মশাদের রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা যেমন বেড়েছে, তেমনই কীটনাশকের সঙ্গে লড়ে যাওয়ার জিনগত ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের। স্ট্রাইকম্যানের মতে, সাধারণ মশারি বা কীটনাশকে এদের দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বরং ম্যালেরিয়া রোখার প্রতিষেধক, এটিএসবি বা ‘এভ টিউব’-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে নির্মিত উপায়ের শরণ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

তবে প্যারাসাইটোলজিস্ট অমিতাভ নন্দী এই প্রক্রিয়ায় মশা দমনকে গবেষণার পথে অগ্রগতি বলে মানলেও তাঁর মতে, মশা দমন ও মশাবাহিত ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দমন এক কথা নয়। কোনও একটি পদ্ধতি বিশেষ কোনও ভৌগোলিক তথা সামাজিক পরিবেশে মশা দমন করলেও অন্য জায়গায় তা ব্যর্থ হওয়ার উদাহরণ প্রচুর পাওয়া যায়। এই কলকাতা শহরই কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ যন্ত্রের দ্বারা মশা দমনের ব্যর্থতার সাক্ষী হয়ে রয়েছে। প্রযুক্তি ও যন্ত্রের আবিষ্কারের সাফল্য বিভিন্ন সমাজে তার প্রয়োগের পরবর্তী পর্যায়ে একটানা গবেষণামূলক মূল্যায়নের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: ডায়াবিটিসকে হারিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে কোয়েল-ঋত্বিকারা

অমিতাভবাবুর মতে, মশাবাহিত রোগ থামাতে এখানে সব চেয়ে আগে প্রয়োজন সাধারণ শিক্ষার প্রসার। শিক্ষিত না হলে কারও পক্ষেই স্বাস্থ্য শিক্ষা আয়ত্তে আনা সম্ভব নয়। তাই আগে দরকার বুনিয়াদি শিক্ষা। তারই পাশাপাশি শৃঙ্খলাবদ্ধ সভ্যতা এবং সার্বিক ও সুদূরপ্রসারী বিজ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির অবদান অনস্বীকার্য। সভ্যতার এই উপাদানগুলির অনুপস্থিতিতে আমরাই ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার মশার জন্মস্থান নিয়ত বাড়িয়েই চলেছি। যেমন, যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা, বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য ফেলার ব্যাগ বা পলিথিন পরিবেশে ফেলা ও সঠিক সময়ভিত্তিক তার অপসারণ না হওয়া, অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ ইত্যাদি। অমিতাভবাবু জানান, বর্ষার দু’চামচ জমা জলেও মশা জন্মায়। শহরের খোলামেলা ফুটপাতই বর্ষার জলের ধারাকে বিনা বাধায় বয়ে যেতে সাহায্য করে। তাই এই সচেতনতাগুলি প্রয়োজন, সঙ্গে প্রাথমিক স্তর থেকেই এই ধরনের অসুখের সঙ্গে মোকাবিলা করার নিয়ম পাঠ্যবইতে রাখাও উচিত। কিছু আধুনিক যন্ত্র ও তার প্রয়োগ দিয়ে সাময়িক একটি এলাকার মশা কমলেও এই পদ্ধতিতে রোগ কমানো অসম্ভব বলেই মত তাঁর।

তবে ‘গেটস ফাউন্ডেশন’-এর এই ধরনের গবেষণাকে সাধুবাদ জানিয়েই অমিতাভবাবু বলেন, যেহেতু জীবাণু তথা মশারা ঘন ঘন তাদের স্বভাব বদলায়, এলাকার জনঘনত্ব বাড়ে-কমে, উন্মুক্ত স্থান, আগাছার পরিমাণ— এ সবেরও হেরফের হয়। তাই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধের গবেষণা হওয়া উচিত একটানা বা নিরবচ্ছিন্ন উপায়ে। তবেই তা কার্যকর হবে বলে তাঁর অভিমত।

Mosquitoes মশা New Research Gates Foundation Mosquito
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy