Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
টিপস দিচ্ছেন শেফ স্বর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়

স্বল্প তেলে স্বাদু রান্না

তাই তেলে ভাজা খেতে হলে এক-দু’দিন খেতেই পারেন ঠিক পদ্ধতিতে।

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:২৫
Share: Save:

কম তেলে রান্না করতে গেলে অনেকেই ঝোঁকেন বিদেশি রান্নার দিকে। কিন্তু বাঙালি রান্না কম তেলে রাঁধার উপায়ও আছে।
• এমন মাছ বা মাংস কিনতে হবে, যাতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। চর্বিওয়ালা মাংস বা তেলওয়ালা কাতলা মাছের পরিবর্তে লিন মিট ও ছোট মাছ কিনতে পারেন। পাবদা, ট্যাংরা, ভেটকি, পার্শে, কই... এ ধরনের মাছে মোটা তেল থাকে না। কেনার সময়েই ফ্যাট বর্জন সম্ভব।

• কুমড়ো, বেগুন, ওল, শিম... সব আনাজই সিদ্ধ করে তেল, নুন ছড়িয়ে খাওয়া যায়। এতে তেলের গুণ বজায় থাকে। তাই যেটুকু ফ্যাট গ্রহণ করছেন, তার উপকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। বেশি আঁচে তেলে ভাজা হলে ফ্যাটের গুণ নষ্ট হয়।

• সিদ্ধ আনাজ খেতে না চাইলে রেঁধেও খেতে পারেন। তবে আনাজ ভেজে মশলা দিয়ে কষিয়ে রান্না নয়। সব আনাজ একসঙ্গে সিদ্ধ করে ফোড়ন দিতে পারেন।

 মাছ খেলে স্টিমড বা স্মোকড ফিশ খেতে পারেন। বাঙালি রান্নায় তো ভাপা আছেই। ইলিশ ভাপা, ভেটকি ভাপাও বেশ সুস্বাদু। ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে ভাপিয়ে রাঁধলে তেলের ব্যবহার কম হয়।

• মাংস রান্নায় ম্যারিনেশনে সময় দিতে হবে। টক দই আর মশলা দিয়ে চিকেনও ভাপিয়ে রাঁধা যায়। বিদেশি হার্বসও ব্যবহার করতে পারেন। এতে মাংসের স্বাদও খুলবে।

• কিন্তু বেগুন ভাজা, আলু ভাজা, কচুরি, পরোটা? ডুবো তেলে ভেজে নিয়ে টিসুতে তেল ঝরিয়ে খান। অনেকেই তেল কম খাবেন বলে অল্প তেল দিয়ে ভাজেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। তেল কম দিয়ে ভাজতে গেলে পুরো তেলটাই সেই খাবার (পরোটা, বেগুন) টেনে নেয়।

তাই তেলে ভাজা খেতে হলে এক-দু’দিন খেতেই পারেন ঠিক পদ্ধতিতে। বাকি দিনগুলিতে বরং কম তেলের রান্নায় সেই অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরিয়ে নিতে হবে। তবেই ব্যালান্স বজায় থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE