Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গালের ঢালে গ্ল্যামার-নদী

ঈর্ষণীয় জ-লাইন পেতে, শিখে নিন কনট্যুরিংয়ের কারসাজি। মানে মেকআপে আলো-ছায়ার মায়াবিদ্যা।ঈর্ষণীয় জ-লাইন পেতে, শিখে নিন কনট্যুরিংয়ের কারসাজি। মানে মেকআপে আলো-ছায়ার মায়াবিদ্যা।

কনট্যুরিংয়ের সময়

কনট্যুরিংয়ের সময়

চিরশ্রী মজুমদার    
শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৫
Share: Save:

ঈশ্বরের কাছে চাইতে হবে না। ডাক্তারের থেকেও কিনতে হবে না। শুধু বড় আয়নাটার সামনে দাঁড়ালেই চলবে। মেকআপ বাক্সের ইস্পেশাল ক’টা রং-তুলির জাদুটানে, ছেনিতে কাটা, পাথরে কোঁদা মূর্তির মতো নাক-মুখ-গাল লাভ— এক মুহূর্তের খেলা।

হাতে রাখুন হাইলাইটার, শেপিং ক্রিম বা পাউডার, গ্লোয়ার আর কনট্যুরিং ব্রাশ (যার রেশম ঝালরগুলো ঈষৎ বাঁকা, গালের ধনু-আকৃতি হাড়ে রং চাপানোর বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি)।

কনট্যুর বা আলো-আঁধারির মায়ায়, মুখের গড়ন তন্বীতর করে তোলার গোড়ার কথা— বেস মেকআপের রং বাছা। আপনার ত্বকের রঙের থেকে ঠিক দু’পোঁচ গাঢ় রঙের ক্রিম বা পাউডার নিন। মুখের রং একটুখানি চাপা দেখালে, তবেই কিন্তু খাঁটি লাগবে এই মেকআপ। যাকে বলে নো মেকআপ লুক।

গায়ের রং করিনা কপূরকে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার মতো দুধসাদা? তবে, আপনার শেপ বা বেস কালার হবে গোলাপি-শ্যাম্পেনরঙা পাউডার। ইলিয়ানা ডি’ক্রুজের মতো মাজারঙা ত্বক এবং চিত্রাঙ্গদা সিংহ কিংবা হ্যালি বেরির মতো শ্যামাঙ্গিনী হলে, সোনালি রঙের পাউডার বাছবেন। এর পাশাপাশি টোনের সঙ্গে মানিয়ে ব্রোঞ্জ শেডের হাইলাইটার কিনবেন। যে কোনও ভাল কসমেটিকসের দোকানে গেলে, তাঁরাই এই ‘কনট্যুরিং কিট’ কিনতে সাহায্য করবেন।

মেকআপের পর

প্রথমে সিলিংয়ের দিকে মুখটা তুলে রেখে, আয়নায় চোখ দুটো নামিয়ে আনুন। চিনে নিন মুখের ‘Y’ অংশটিকে। আঙুল দিয়ে ‘Y’-এর দুই হাত, মানে গালের দুটো উঁচু হাড় অনুভব করুন।

ঠিক ওই দুই অস্থিরেখা বরাবর, হাড়ের ঠিক ১/৪ ইঞ্চি ওপরে, কনট্যুরিং ব্রাশ দিয়ে সাবধানে টানুন হাইলাইটার রেখা। ডান থেকে বাঁয়ে। তার ঠিক উপর দিয়ে আবার বাম থেকে ডানে। এ বার মিলিয়ে নিন। ওই রঙেরই গ্লোয়ার দিয়ে, হাইলাইটার রেখা থেকে চোখের নীচ পর্যন্ত, উপরের দিকে মেকআপ তুলি টেনে নিখুঁত ভাবে মিশিয়ে দিন সবটা।

এ বার ওই একই হাইলাইটার কড়ে আঙুলে লাগিয়ে, হাতের উপরপিঠে ফেলে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। ওই রং মাখা কড়ে আঙুলের গোড়া, নাকের হাড়ের ডান পাশে রেখে, চোখের নীচ থেকে ঠিক চিবুকের উপরিভাগ পর্যন্ত, এক টানে নামিয়ে আনুন। একই ভাবে রং টানুন ওই হাড়ের বাঁ পাশেও। এতে আপনার নাকটা অনেক চোখা, মানে টিকালো দেখাবে।

এ বার গাল চুপসে নিন। হ্যাঁ, ঠিক মাছের মতো। এই ‘ফিশ-ফেস’ করলেই, পেয়ে যাবেন গালের দুই কোটর। সবথেকে ভিতর বিন্দু থেকে শুরু করে, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ওই গর্ত দুটো ভরতে থাকুন শেপিং ক্রিম বা পাউডার ফাউন্ডেশন দিয়ে। হয়ে গেলে, ডাস্টার-ব্রাশ দিয়ে, গলা পর্যন্ত ঝেড়ে ঝেড়ে মেশান।

এক বার ডান দিকে ফিরে, আর এক বার বাঁ দিক ফিরে আয়নায় দেখুন নিজেকে। আর বলুন তো, রূপসী কে সবার চেয়ে?

তাও খুঁতখুঁত করছে মন? তা হলে, এ বার কপালের ফ্রেম বরাবর হাইলাইটার টানুন ও মেশান।
তবেই আরও খুলে যাবে এই মোহিনী রূপ। সহজ কয়েকটা আঁকিবুকি আর ভরাট করার জাদুতেই ব্যাকরণমাফিক চিবুকরেখা-গণ্ডদেশ মিলল কিনা?

তার পর? কী আর! এক দম রেডি আপনি। সৌন্দর্যের ধারে পুরো দুনিয়াকে কোতল করার জন্য!

মডেল: দীপশ্বেতা মেকআপ: সন্দীপ নিয়োগী

ছবি: অমিত দাস

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Make Up Contouring
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE