E-Paper

অনুষ্ঠান

এই নাটক ষাট সত্তরের দশককে যেমন মনে করিয়ে দেবে, তেমনই মনে করিয়ে দেবে উত্তমকুমার ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি, কিশোরকুমারের গান।

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:০৪
  • সম্প্রতি তৃতীয় বিশ্ব থিয়েটার গ্রুপের প্রযোজনায় ফিল্মেবলি ব্ল্যাক বক্স স্টুডিয়োয় মঞ্চস্থ হল দু’টি নাটক। ঈশ্বরের নামে, ধর্মীয় প্রথার অপব্যাখ্যা করে বিভিন্ন ধর্ম চিরকাল যে ভাবে নারীদের ব্যবহার করে এসেছে, তার প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে নাটক ‘ইন দ্য নেম অব গড, শি ব্লিডস’-এ। অন্য দিকে, সুন্দরবনের পটভূমিতে নির্মিত ‘রাক্ষস’ নাটকে নারী নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। দেখানো হয়েছে, কী ভাবে পুরুষতন্ত্র এবং তার দ্বারা চালিত সিস্টেম একে অপরের পরিপূরক হয়ে যায়। দু’টি নাটকের রচনা ও নির্দেশনা সায়ন ঘটকের। আলোক প্রক্ষেপণে সৌর্যদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনস্টলেশন আর্ট ডিজ়াইন করেছেন অঙ্কিতা সিংহ। অভিনয় করেছেন অরিজিৎ, অঙ্কিতা, জয়িতা, রূপক, তিয়াশা, ময়ূখ, শুভময় এবং সাহেব।
  • সম্প্রতি শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐতিহ্য রায়ের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। ‘গানের ঐতিহ্য’ নামের সেই অনুষ্ঠানে শিল্পী পরিবেশন করলেন বিভিন্ন ঘরানার গান। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি থেকে লোকগান, আধুনিক… সব ধরনের গানই সমান সাবলীলতার সঙ্গে উপস্থাপনা করলেন ঐতিহ্য। ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ভ্রমর কইয়ো’, ‘চিরসখা হে’, ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’, ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’-সহ একাধিক গান এ দিন দর্শক-শ্রোতাদের উপহার দেন তিনি। বাংলা গানের বহমান ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই ছিল তাঁর এ দিনের নিবেদন।
  • বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী সুতপা তালুকদারের নৃত্য প্রতিষ্ঠান গুরুকুল নিবেদন করল নৃত্যগীতি আলেখ্য ‘উলটপুরাণ’, সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন সুতপা তালুকদার। ‘উলটপুরাণ’, পুরনোকে নতুন করে ভাবা। বাংলার দুই প্রধান সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্য, রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং কীর্তন। গুরু সুতপা তালুকদার এই ঐশ্বর্যের ভান্ডারে নিমগ্ন হয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অজানা ও অনাবিষ্কৃত তালের এক গোপন ভান্ডার খুঁজে পেলেন। আর কীর্তনের আবেগে সমৃদ্ধ করে তৈরি করলেন ‘উলটপুরাণ’। প্রযোজনাটিতে সঙ্গীত আয়োজন করেছেন পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার।
  • শান্তনু মজুমদারের লেখা ‘নীলমবালা ছে আনা’ মঞ্চস্থ হল। এই নাটক ষাট সত্তরের দশককে যেমন মনে করিয়ে দেবে, তেমনই মনে করিয়ে দেবে উত্তমকুমার ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি, কিশোরকুমারের গান। এই নাটকটি পরিচালনা করেছেন অঙ্গন বেলঘরিয়ার কর্ণধার এবং নির্দেশক অভি সেনগুপ্ত। মঞ্চে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সমীর চট্টোপাধ্যায়, অভিজিৎ মজুমদার, দেবদাস ঘোষ, তপেশ চক্রবর্তী, তাপস নন্দী, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, রতন দাস, অনির্বাণ চক্রবর্তী, রূপম শীল, মাস্টার অনবদ্য, বেবি সেনগুপ্ত, সঙ্গীতা চৌধুরী, সুমিতা মজুমদার, অভীপ্সা চক্রবর্তী, সময়িতা নন্দী, সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, মৌসুমী পাল, তিথি বিশ্বাস। রাজু ধর ও সমরেশ বসুও অভিনয় করেছেন। আবহ নির্মাণে তপন বিশ্বাস, মঞ্চ ভাবনায় দেবব্রত মাইতি, মঞ্চ নির্মাণে মদন হালদার, আলোক ভাবনা ও প্রক্ষেপণে সমর-সাধন, মঞ্চ উপকরণে সমিত দাস, রূপসজ্জায় অলোক দেবনাথ।
  • ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল নিবেদন করল দীক্ষামঞ্জরীর প্রযোজনা ‘রূপং দেহি, জয়ং দেহি’। শারদোৎসব উপলক্ষে এক নৃত্যগীতি আলেখ্য নিবেদিত হয়ে গেল ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায়। স্তোত্রপাঠ, সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন দক্ষিণায়ন ইউকে-র আনন্দ গুপ্ত। দীক্ষামঞ্জরীর এই নিবেদন শক্তির আরাধনার নানা গান দিয়ে সাজানো ছিল। কিংবদন্তি গানের মধ্যে রেডিয়োর বিশেষ অনুষ্ঠান মহিষাসুরমর্দিনীর বেশ কিছু গান ছিল। ওড়িশি নৃত্যের ধারাকে মাথায় রেখেই নৃত্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে। দুর্গার ভূমিকায় ছিলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, মহিষাসুরের ভূমিকায় রঘুনাথ দাস। ভাষ্য ও স্তোত্রপাঠে আনন্দ গুপ্ত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

drama Dancing music

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy