বেশির ভাগ বাঙালি বাড়িতেই চামচ বলতে দু’রকম— বড় এবং ছোট চামচ। ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি বা ফ্রায়েড রাইসে বড় জনের ডাক পড়ে।
ছোটর উপস্থিতি ঝালে, ঝোলে, মিষ্টিতে, নোনতায়... সর্বত্র। কিন্তু খাবার অনুযায়ী যেমন আমাদের প্লেটের আয়তন ও ধরন বদলায়, চামচের ক্ষেত্রেও তাই হওয়া উচিত।
প্রথমেই আসি টেব্ল স্পুন প্রসঙ্গে, অর্থাৎ ‘বড় চামচ’। মেন ডিশ বা ভাতের নানা রকম পদ খেতে এটির ব্যবহার।
ফ্রুট স্পুনের ব্যবহারিক দিকটি তো নামের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার। এই চামচ যেন ফ্রুট নাইফ ও ফর্কের জোড়াতালি। চামচে পয়েন্টেড টিপ রয়েছে এবং সামনের কাপ তুলনায় লম্বাটে, যা দিয়ে ফল কেটে মুখে দিতে সুবিধে। তবে চামচ পরিবারে সবচেয়ে বড় সদস্য কিন্তু সার্ভিং স্পুন। এর কাপ বড় হওয়ায় পাত্র থেকে খাবার প্লেটে তুলে নেওয়া সহজ।
কফি স্পুন ছোট মাপের। যে কোনও ধরনের চা, কফি বা অন্য কোনও ড্রিঙ্ক যা বড় কাপে সার্ভ করা হয়, তা পরিবেশনের সময়ে প্লেটের পাশে রাখুন টি স্পুন।
বাড়িতে যে সব চামচ রয়েছে, আয়তনের কারণে তা দিয়ে কি আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে অসুবিধে হয়? তা হলে বেছে নিন কাপুচিনো স্পুন বা বেবি টি স্পুন। এর স্পুন কাপ বড় হওয়ার কারণে বাচ্চাকে খাওয়াতে সুবিধে। আবার দই বা জলখাবারের সময়েও এটি ব্যবহার করতে পারেন।
অতিথিকে ভ্যানিলা আইসক্রিমের উপরে চকলেট সস ছড়িয়ে পরিবেশন করলেন, সঙ্গে যে কোনও চামচ না দিয়ে যদি আইসক্রিম স্পুন পাশে রেখে দেন, তারিফের সঙ্গে সম্ভ্রমও জিতবেন।
স্পুন ফ্যামিলিতে সবচেয়ে আলাদা দেখতে ড্রিঙ্ক স্পুন। লম্বা হ্যান্ডেলের কারণে পানীয়, ককটেল তা দিয়ে নাড়তে সুবিধে। আবার স্যালাড স্পুনের ব্যবহার সাধারণত স্যালাড ফর্কের সঙ্গে হয়। এই দু’টি দিয়ে ড্রেসিং এবং স্যালাড মিক্স ও সার্ভ করতে সুবিধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy