Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Presents

ঋণের সোনা

কে বলল দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে সোনা বিক্রিই করতে হবে? তা বন্ধক রেখে ধার নেওয়ার কথা মাথায় আছে কি? ব্যাঙ্কের লকার বা বাড়িতে পড়ে থাকা সোনাই কিন্তু সে ক্ষেত্রে উতরে দিতে পারে আপনাকে। তবে ধার শুধতে না-পারলে, সোনা খোয়ানোর সম্ভাবনাও ভুলে যাবেন নাকে বলল দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে সোনা বিক্রিই করতে হবে? তা বন্ধক রেখে ধার নেওয়ার কথা মাথায় আছে কি? ব্যাঙ্কের লকার বা বাড়িতে পড়ে থাকা সোনাই কিন্তু সে ক্ষেত্রে উতরে দিতে পারে আপনাকে। তবে ধার শুধতে না-পারলে, সোনা খোয়ানোর সম্ভাবনাও ভুলে যাবেন না

অরিন্দম সাহা
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০০:২৮
Share: Save:

বিপদের বন্ধু হিসেবে সোনাকে সব সময়েই চোখে হারাই আমরা। আমাদের ধারণা, অর্থনীতির উপর যতই ঝড় বয়ে যাক না-কেন, অনেকখানি লম্বা মেয়াদে সোনা কখনওই নিরাশ করে না। যে-কারণে এর উপর ভরসা একটু বেশিই। তবে যদি মনে করেন সাজগোজ করার পাশাপাশি কঠিন সময়ে তা বেচে টাকা জোগাড়ের সুবিধাই সোনার একমাত্র উপকারিতা, তা হলে একটু অবিচার হবে। কারণ, বিভিন্ন সময়ে ছোট-বড় নানা প্রয়োজনে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়া যায়। তার জন্য বিশেষ কাঠখড়ও পোড়াতে হয় না।

সোনা রেখে টাকা ধার নেওয়ার প্রসঙ্গে ঢোকার আগে একটি কথা শুরুতেই স্পষ্ট বলে রাখি। এখানে এই ধারের বিষয়ে নানা কথা আলোচনা করব আমরা। বলব তার সুবিধা-অসুবিধা। তবে তার মানে কখনওই এমন নয় যে, এই ঋণকে অন্য ধারের তুলনায় ভাল বলে তুলে ধরতে চাইছি। বরং মনে রাখবেন, সমস্ত ধারেরই নিজস্ব সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। সোনা রেখে নেওয়া ঋণও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই তা নেওয়ার আগে সমস্ত দিক খুঁটিয়ে দেখে নেওয়া ভাল।

বাড়িঋণ, গাড়িঋণ-এর মতো শব্দগুলি যতটা পরিচিত, স্বর্ণঋণ ততটা নয়। ফলে এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা বা খোঁজখবরও কম। অনেকেই জানেন না যে, কী ভাবে, কোথায় সোনা রেখে ঋণ পাওয়া যায় কিংবা তার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী? চলুন আজ সেই সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে স্বর্ণঋণ সম্পর্কে অন্তত একটা প্রাথমিক ধারণা তৈরি করার চেষ্টায় মন দিই। এই অনিশ্চয়তার দুনিয়ায় সময়ে-অসময়ে টাকা জোগাড়ের আর একটি পথ যদি খোলা থাকে, তা হলে মন্দ কী?

সোনা রেখে টাকা

সোজা কথায়, এ ক্ষেত্রে হাতে থাকা সোনা ব্যাঙ্ক বা ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফসি) কাছে জমা রেখে, তার বদলে ধার নিচ্ছেন আপনি। এটাই স্বর্ণঋণ। ওই সোনা কোনও গয়না হতে পারে, আবার কয়েন বা বারও হতে পারে। যা-ই হোক না কেন, এর জন্য আপনাকে অন্যান্য ঋণের মতোই সুদ গুনতে হবে। এবং সেই সঙ্গে ফেরত দিতে হবে আসল। দুই মিলিয়ে মোট অঙ্ক যা দাঁড়াবে, তা মাসিক কিস্তিতে মেটাতে হবে আপনাকে। অবিকল অন্য ঋণের মতো। সব কিস্তি শেষ হয়ে সুদ-আসল সব চুকেবুকে গেলে, ফের বন্ধক রাখা সোনা ফিরে আসবে আপনার জিম্মায়।

সুবিধার খতিয়ান

সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এগুলি হল—

বেশির ভাগ সময়েই অন্যান্য ঋণের মতো কাগজপত্র জমা দিতে হয় না। ফলে টাকার প্রয়োজন এবং হাতে সোনা রয়েছে, এই অবস্থায় তেমন কোনও ঝক্কি ছাড়াই এই সুবিধা নিতে পারেন যে-কোনও ব্যক্তি।

ব্যক্তিগত ঋণ পেতে বা বাড়ি ইত্যাদি বন্ধক রেখে ধার নিতে যতখানি সময় লাগে, স্বর্ণঋণে লাগে তার চেয়ে অনেক কম।

সাধারণত বন্ধক রাখতে চাওয়া সোনার মূল্যের (বাজার দর) ৭৫% পর্যন্ত অর্থ ঋণ হিসেবে পাওয়া যায়।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না-থাকলেও এনবিএফসি থেকে এই ঋণ মেলে।

পাওয়া তুলনায় অনেক সহজ বলে গ্রামাঞ্চলে চাষের কাজে (বীজ কেনা ইত্যাদি) ঢালার জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে এই ঋণের চল আছে।

ঋণ শোধের জন্য নানা রকম মেয়াদ বেছে নেওয়ার সুবিধা দেয় বিভিন্ন এনবিএফসি। সেই অনুযায়ী কমে-বাড়ে সুদের হার। দেখা যায়, অনেক সময়েই কম মেয়াদের জন্য ঋণ নিলে সুদও কম দিতে হয়। আবার বেশি মেয়াদের জন্য গুনতে হয় বেশি সুদ। অর্থাত্‌ গ্রাহক যে শুধু নিজের পছন্দ মতো সময়ের মধ্যে টাকা ফেরানোর সুযোগ পান তা-ই নয়, নিজের সাধ্যমতো সুদের হার বেছে নেওয়ার ক্ষমতাও থাকে তাঁর হাতে। সাধারণত, দীর্ঘমেয়াদে সোনা সুরক্ষিত রাখার ঝুঁকি বা সোনার দর পড়ে গেলে তা বিক্রি করে ঋণের টাকা তোলার অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই বড় মেয়াদে বড় সুদের এই সিদ্ধান্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির।

পস্তাতে হবে না তো?

দেখুন, সব কিছুরই ভাল-মন্দর বিষয়টি কিছুটা আপেক্ষিক। অর্থাৎ, আমার জন্য যেটা ভাল, সেটা আপনার জন্য খারাপ হতে পারে। আবার আপনি যা থেকে সুবিধা পান, তা করে আমি হয়তো ভয়ানক ফাঁপরে পড়লাম। তবে কিছু-কিছু বিষয় আছে, যেগুলি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত না-নিলে পরে হাত কামড়াতে হতে পারে। যেমন—

সোনা যে বিপদের বন্ধু, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তাই সোনা জমা রেখে ঋণ নেওয়ার আগে হাজার বার ভাবুন। চিন্তা করুন, মেয়াদের মধ্যে সুদ-আসলের টাকা ফেরত দিতে পারবেন তো? কারণ, স্বর্ণঋণের ক্ষেত্রে কিন্তু যত বেশি মেয়াদে টাকা ফেরত দেবেন, সুদের হারও তত বেশি গুনতে হবে। আবার মেয়াদ কম রাখলে এবং শেষ পর্যন্ত তার মধ্যে ঋণ মেটাতে না-পারলে, জরিমানা তো গুনতে হবেই। এমনকী শেষমেশ না-পারলে, সোনাই হাতছাড়া হতে পারে।

সোনার বাজার দর যাচাই না -করে ঋণ নেওয়ার জন্য পা বাড়াবেন না। দর চড়া থাকাকালীন তা বন্ধক রাখতে গেলে, যে-পরিমাণ টাকা পাবেন, তা দাম কম থাকার সময়ে পাওয়া টাকার থেকে অনেকটাই বেশি হবে। কাজেই একান্ত প্রয়োজন না-পড়লে, সোনার পড়তি বাজারে স্বর্ণঋণ না-নেওয়াই ভাল।

সুদের হার নিয়ে খোঁজ-খবর না-করে যে কোনও জায়গা থেকে স্বর্ণঋণ নেওয়া বোকামি। এতে ভবিষ্যতে চাপে পড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। যে-কারণে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করার আগে একাধিক ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যান। পরখ করে দেখুন কোন জায়গা থেকে ঋণ নিলে আপনার সুবিধা।

যেখান থেকে ঋণ নেবেন, সেই পর্যন্ত আপনাকে সোনা বয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই বিষয়টি মাথায় না-রাখলে বিপদ হতে পারে। কারণ, এত দামি ধাতুর চুরির ভয় সব সময়েই থেকে যায়। তাই বাড়ির কাছাকাছি কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বর্ণঋণ নেওয়া যায় কি না ভাবুন। যাতে বেশি দূর যেতে না-হয়।

কোথায় যাবেন?

ধার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এ বার কী? কোথায় যাব? সেই কথাতেই আসছি।

ক) ঋণ নেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই মনে আসে ব্যাঙ্কের কথা। প্রায় সব ব্যাঙ্কই স্বর্ণঋণ দেয়। তবে তুলনায় বেশি কাগজপত্র লাগে। সময়ও বেশি খরচ করতে হয়। তবে এখানে সুদ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম। যদিও এনবিএফসি-র মতো মেয়াদ অনুসারে সুদের হারে তেমন তফাত ব্যাঙ্কে দেখা যায় না।

খ) স্বর্ণঋণ নেওয়া যায় এনবিএফসি-র কাছ থেকেও। অনেক ছোট শহর বা গ্রামেও শাখা রয়েছে এদের। এমনকী শাখা সংখ্যাও ব্যাঙ্কের তুলনায় বেশি। এনবিএফসি-র সবচেয়ে বড় সুবিধা ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই, এমন গ্রাহকদেরও সোনা বন্ধক রেখে ঋণ দেয় তারা। যে- কারণে গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরে এই প্রতিষ্ঠানগুলির কদর বেশি। পাশাপাশি, এই সব প্রতিষ্ঠান থেকে স্বর্ণঋণ নিতে চাইলে খুব বেশি কাগজপত্র জমা দিতে হয় না। সময়ও লাগে কম। গয়নার দামের হিসেবে তুলনায় কিছুটা বেশি টাকা ঋণ পাওয়ার সুবিধা মেলে এখানে।

গ) বিভিন্ন স্থানীয় সোনার দোকান এবং মহাজনদের কাছে গয়না বন্ধক রেখেও ঋণ নেন অনেকে। কিন্তু কথা হল, ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফলে সব সময়ে একটা নজরদারির মধ্যে থেকে কাজ করে তারা। সুরক্ষিত থাকে সাধারণ মানুষের স্বার্থ। কিন্তু গয়নার দোকান বা মহাজনের উপর সে অর্থে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কারণে এই ধরনের জায়গা থেকে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়াটা যথেষ্ট ঝুঁকির। .যদিও এ দেশে স্বর্ণঋণের বাজারের সিংহভাগই এখনও অসংগঠিত। ফলে এ ব্যাপারে সাবধান থাকা অবশ্যই জরুরি।

ধার নেব কী ভাবে?

এমনিতে স্বর্ণঋণ নেওয়ার পদ্ধতি তেমন জটিল নয়। এর জন্য—

১) যেখান থেকে ঋণ নেবেন, সেখানে গিয়ে ঋণগ্রহীতাকে জানাতে হবে কী বন্ধক রাখতে চান। তা সে সোনার গয়না হোক বা বার কিংবা কয়েন। তার ওজন ও মান পরীক্ষা করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানই।

২) এর পর জানাতে হবে, গ্রাহক কত টাকার ঋণ নিতে ইচ্ছুক এবং কত মেয়াদের মধ্যে তা শোধ করতে চান।

৩) অবশ্য গ্রাহক যতটা চাইবেন, ততটাই যে ঋণ পাওয়া যাবে, তা কিন্তু নয়। বন্ধকী সোনার ওজন ও মান খতিয়ে দেখার পরে দাম যা দাঁড়াবে, তার নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্তই ঋণ হিসেবে মিলবে। সাধারণ ভাবে তা হয় সোনার মূল্যের সর্বাধিক ৭৫%।

৪) পরের কাজ নো ইয়োর কাস্টমার (কেওয়াইসি) আবেদনপত্র ভর্তি করে জমা দেওয়া। সঙ্গে পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণ।

৫) এই সমস্ত কিছু হয়ে যাওয়ার পরে টাকা পাবেন গ্রাহক। ওই টাকা তাঁকে মাসিক কিস্তিতে সুদ-সহ শোধ করতে হবে।

৬) পরে যদি ঋণগ্রহীতা সময়ে টাকা শোধ করতে না-পারেন, তখন অনেক সময়ে আলোচনার মাধ্যমে ওই মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে জরিমানা নেওয়া হতে পারে বা পরিবর্তন করা হতে পারে সুদের হার। আবার অনেক সময়ে টাকা শুধতে না-পারলে গ্রাহকের বন্ধক রাখা সোনা নিলাম করে টাকা তুলে নেয় ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি।

মাথায় থাকুক খরচ

সবশেষে বলি, ধার নেওয়ার কথা ভাবলে, একেবারে শুরুতেই খরচের বিষয়টি ভাল করে জেনে নিন। তাতে আর্থিক ভাবে তৈরি থাকতে পারবেন। চলুন এক নজরে দেখে নিই, স্বর্ণঋণের ক্ষেত্রে ঠিক কী কী ধরনের চার্জ বইতে হতে পারে গ্রাহককে।

ঋণের প্রসেসিং চার্জ। বিশেষত ব্যাঙ্কগুলি এই চার্জ নেয়।

ভ্যালুয়েশন চার্জ। ঠিক যে ভাবে গৃহঋণ নেওয়ার সময়ে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বাড়ি বা ফ্ল্যাটের বাজার দর যাচাই করে, সে ভাবেই সোনার জন্যও বাজার দর যাচাই করা হয়। এ জন্য তারা যে খরচ নেয়, তা-ই হল ভ্যালুয়েশন চার্জ।

লেট পেনাল্টি। ঋণ শোধ করতে দেরি হলে দিতে হয় এই জরিমানা।

প্রি পেমেন্ট পেনাল্টি। অনেক সময়ই মেয়াদের আগে ঋণ শোধ করে দিলে জরিমানা দিতে হয়। অন্যান্য ঋণে অবশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এখন আর এই জরিমানা নেয় না ব্যাঙ্কগুলি। স্বর্ণঋণে কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই চার্জ দিতে হয়।

সুদ তো আছেই। ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পরে টাকা হাতে পেলে গুনতে হয় সুদ। কখনও মাসে, কখনও বছরে এই হার ধার্য হয়। এই সুদ ১২%-২০% বা তার বেশিও হতে পারে। তবে আবার বলছি, স্বর্ণঋণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, সাধারণত যত কম মেয়াদের ঋণ নেওয়া হবে, সুদ হবে তত কম। অনেক সময় তা ব্যক্তিগত ঋণের চেয়ে কম হতে পারে।

লেখক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ( মতামত ব্যক্তিগত)

পাওয়া, না-পাওয়ার হিসেব

হঠাৎ প্রয়োজনে বাড়িতে থাকা সোনা বন্ধক রেখে টাকা জোগাড়ের পদ্ধতি কিন্তু একেবারেই নতুন নয়। বহুকাল ধরে তা আছে। কিন্তু আগে সেই বাজার শুধু সোনার দোকান বা মহাজনদের কব্জায় ছিল। গত কয়েক বছরে সেই অসংগঠিত বাজারের ঝুঁকি এড়িয়ে স্বর্ণঋণের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এনবিএফসিগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। বিশেষত যে সব জায়গায় ব্যাঙ্কের পরিষেবা এখনও পৌঁছয়নি, সেখানে সহজে কম সময়ে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে এই ধরনের এনবিএফসি। কাগজ-পত্তরের ঝামেলাও এখানে তুলনায় কম। শুধুমাত্র গ্রাম নয়, কয়েক বছর ধরে শহরেও ব্যবসা শুরু, বাড়ি কেনা, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে এখন স্বর্ণঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আর তার অধিকাংশই হচ্ছে এনবিএফসিগুলির হাত ধরে। যে কারণে সব মিলিয়ে দেশের ২৫ শতাংশের বেশি স্বর্ণঋণের বাজারই এখন তাদের হাতে। আমার বিশ্বাস, আগামী দিনে তা আরও অনেকখানি বাড়ার সম্ভাবনা।

এম জি জর্জ মুথুট
চেয়ারম্যান, মুথুট গোষ্ঠী

জমিই হোক বা সঞ্চয়। আপনার যে কোনও বিষয়-সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য লিখুন।

ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না। ‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১। ই-মেল: bishoy@abp.in

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE