Advertisement
E-Paper

মেপে নিন ঋণের যোগ্যতা

বড় ঋণ হয়তো নেননি। কিন্তু বেমালুম ভুলে গিয়েছেন মাস ছয়েক আগের ক্রেডিট কার্ডের ধার। ফলে তা শোধ হয়নি এখনও। এমন হলে সিবিলের খাতায় নম্বর কমবে। সমস্যা হবে নতুন ধার পেতে।বড় ঋণ হয়তো নেননি। কিন্তু বেমালুম ভুলে গিয়েছেন মাস ছয়েক আগের ক্রেডিট কার্ডের ধার। ফলে তা শোধ হয়নি এখনও। এমন হলে সিবিলের খাতায় নম্বর কমবে। সমস্যা হবে নতুন ধার পেতে।

হর্ষলা চন্দোরকর

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৫৩

ঘটনা ১

কয়েক দিন হল বাড়ির টিভি গিয়েছে বিগড়ে। কাগজে, ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনে ছয়লাপ। রয়েছে নামমাত্র ডাউনপেমেন্ট করে বাকি টাকা কিস্তিতে মেটানোর সুযোগও। টিভি কেনার আশায় সেগুলিতেই চোখ বোলাতে শুরু করলেন নীতা এবং অরুণ। বিপণিতে বিভিন্ন মডেল দেখার পরে বেশ বড়সড় একটি টিভি বেছেও ফেললেন দু’জনে। ঠিক হল কিস্তিতেই কিনবেন। সেই মতো ঋণের জন্য আবেদন করলেন তাঁরা। বাকি টাকা ডাউনপেমেন্ট করার জন্য রাখলেন। তাঁদের আবেদন অনুসারে বিপণি থেকেই দেখে নেওয়া হল ঋণ পাওয়ার ক্ষমতা। তার পরই সেই ধার মঞ্জুর করলেন ব্যাঙ্ক এবং বিপণির প্রতিনিধিরা। টিভি এল বাড়িতে।

ঘটনা ২

মাস গেলে নীতা-অরুণের থেকে কিছুটা বেশিই বেতন পান দিব্য এবং মালা। দু’জনেই ভাল চাকরি করেন। ইচ্ছে হল নতুন বাড়ির জন্য হোম থিয়েটার কেনার। একটি সংস্থার বেশ দামি মডেলই কিনবেন বলে ঠিক করলেন দু’জনে। ভাবলেন, কিস্তিতে টাকা দেবেন। কিন্তু বাধা পড়ল তাতে। বিপণিতে ঋণের আবেদন করার পরেই খারিজ হয়ে গেল সেই আর্জি। জানিয়ে দেওয়া হল, ইতিমধ্যেই তাঁদের যথেষ্ট শোধ না-দেওয়া ঋণ রয়েছে। তাই নতুন ধার দেওয়া সম্ভব নয়।

অথচ দিব্য বা মালা কারওরই গৃহ বা গাড়িঋণ নেই। শুরু হল খোঁজ। দিব্য জানতে পারলেন, তাঁর ক্রেডিট কার্ডের শোধ না-দেওয়া ধার যথেষ্ট বেশি। একই ভাবে মালার ক্ষেত্রেও কার্ডে ঋণ প্রায় শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। বাকি রয়ে গিয়েছে গত কয়েক মাসের টাকা মেটানোও। ফলে তাঁদের নতুন করে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা আর নেই। সেই কারণেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে ব্যাঙ্ক।

অর্থাৎ...

শুধু ভাল রোজগারই ঋণ পাওয়ার এক মাত্র মাপকাঠি নয়। বরং আপনার ইতিমধ্যেই কত ঋণ আছে, তা আয়ের কত শতাংশে পৌঁছেছে, ক্রেডিট কার্ডে খরচের অভ্যাস এবং ঋণশোধের ইতিহাসই বলে দেবে কতটা ধার পেতে পারেন আপনি। আর এখানেই কাজে
লাগে সিবিল ট্রান্স ইউনিয়ন স্কোর এবং ক্রেডিট রিপোর্ট। যেখানে এক ঝলকে এই সমস্ত বিষয়ই চোখের সামনে দেখতে পাবেন।

সিবিল কী?

যখন আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন কিংবা যে-কোনও ঋণ নিচ্ছেন, তার সমস্ত হিসাব জমা পড়ে ক্রেডিট ইনফর্মেশন ব্যুরো (ইন্ডিয়া) লিমিটেড বা সিবিলের খাতায়। থাকে আগে কোনও ঋণ বাতিল হওয়া, তার টাকা শোধ না-করা এবং ক্রেডিট কার্ডের টাকা না-মেটানোর খতিয়ানও।

বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের গ্রাহকদের (ব্যক্তি এবং সংস্থা) ঋণ শোধ সম্পর্কে তথ্য নিয়মিত জমা দেয় সিবিলে। প্রতি মাসে ওই তথ্যগুলি যাচাই করে ঋণগ্রহীতাদের প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করে তারা। যা পরিচিত ‘ক্রেডিট ইনফর্মেশন রিপোর্ট’ বা ‘সিআইআর’ নামে।

এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আবার প্রত্যেক ঋণগ্রহীতাকে নম্বরও দেয় সিবিল। যার পোশাকি নাম সিবিল ট্রান্স ইউনিয়ন স্কোর। এই নম্বর ৩০০ থেকে ৯০০-র মধ্যে হয়। যাঁর নম্বর যত ভাল, তাঁর ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি। সাধারণত ৭৫০-এর বেশি নম্বরকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

কেন প্রয়োজন?

সিবিলে থাকা আপনার ধারের ইতিহাসের উপর ভবিষ্যতে ঋণ পাওয়া অনেকটাই নির্ভর করে। অর্থাত্‌ নতুন ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা কেমন, তা জানার জন্য এই
রিপোর্ট দরকার।

অনেকেই মনে করেন, আমি বড় অঙ্কের ধার নিইনি। ফলে আমার এই রিপোর্ট কেন লাগবে? কিন্তু ভেবে দেখবেন, অনেক সময়েই ছোট ছোট ধার বেমালুম ভুলে যাই আমরা। যেমন, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে হয়তো যথেচ্ছ কেনাকাটা করেছেন, অথচ সময়ে তার টাকা মেটাননি। এই টাকাও কিন্তু আসলে ঋণই। তাই তা ঠিক সময়ে না শোধ না-করলে, তার প্রভাব পড়বে পরবর্তী কালে ঋণ নেওয়ার উপর। তখন সেই ঋণের আবেদন বাতিলও হতে পারে। ঠিক যেমন আমরা ঘটনা ২-এ দেখেছি।

তাই নিয়মিত এই রিপোর্ট দেখলে, ধার মেটানোর অভ্যাসও তৈরি হবে।

আপনার নামে অন্য কেউ ধার নেয়নি তো? তেমন জালিয়াতি হয়ে থাকলে, তা ধরা পড়বে এখানে।

আগে থেকে নিজের স্কোর এবং রিপোর্ট জানলে, বড় ঋণ (বাড়ি বা গাড়ি) নেওয়ার সময় ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলতে সুবিধা হবে। রিপোর্টে ভুল থাকলে, তা-ও সিবিল-কে জানানোর সুযোগ পাবেন।

নম্বর পাবেন কী ভাবে?

নিজের সিবিল ট্রান্স ইউনিয়ন স্কোর এবং রিপোর্ট পেতে আপনি প্রথমেই যান সিবিলের ওয়েবসাইট www.cibil.com-এ।

নির্দিষ্ট জায়গায় মাউস ক্লিক করলেই, তা আপনাকে দেবে নতুন উইন্ডো। এটাই আপনার আবেদনপত্র।

আবেদনপত্র পূরণ করুন। দেখবেন যেন কোনও কিছু বাদ না-পড়ে অথবা ভুল না-হয়।

ডেবিট কার্ড/ ক্রেডিট কার্ড/ ক্যাশ কার্ড অথবা নেট ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করে জমা দিন টাকা। নম্বর এবং রিপোর্ট দুই-ই পেতে চাইলে দিতে হবে ৫০০ টাকা। শুধু রিপোর্ট কিনতে চাইলে লাগবে ১৫৯ টাকা।

দেওয়া টাকা যে জমা পড়েছে, তার রসিদের প্রিন্ট নিয়ে রাখুন।

পরিচয় নিশ্চিত করতে সিবিল জানতে চাইবে আপনার ঋণ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর। উত্তর ঠিক হলে সঙ্গে সঙ্গে আপনি নিজের স্কোর এবং রিপোর্ট ডাউনলোড করে দেখতে পারবেন। ই-মেলের মাধ্যমেও আপনাকে তা পাঠিয়ে দেবে সিবিল।

যোগাযোগ

ক্রেডিট ইনফর্মেশন ব্যুরো (ইন্ডিয়া) লিমিটেড

হেক্সট হাউস, সপ্তম তল,

১৯৩ ব্যাকবে রিক্ল্যামেশন,

নরিম্যান পয়েন্ট,

মুম্বই-৪০০ ০২১

ফোন (০২২) ৬৬৩৮ ৪৬০০

গ্রাহক পরিষেবা নম্বর (০২২) ৬১৪০ ৪৩০০

ফ্যাক্স (০২২) ৬৬৩৮ ৪৬৬৬

ওয়েবসাইট www.cibil.com

পাঠাতে পারেন ডাকযোগেও

সিবিলের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে ভর্তি করার পরে তার প্রিন্ট নিয়ে সিবিলের কাছে ডাকযোগেও পাঠাতে পারেন আপনি। নম্বর ও রিপোর্ট পেতে সঙ্গে ৫০০ টাকার ডিমান্ড ড্রাফ্‌ট পাঠাতে হবে। আর শুধু রিপোর্ট চাইলে লাগবে ১৫৯ টাকা।

কিন্তু ভুল হলে?

আপনার দেওয়া তথ্য ঠিক হলে রিপোর্ট ও নম্বর তখনই পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি তথ্যে ভুল থাকে, তা হলে কিন্তু ওই রিপোর্ট বা স্কোর তখনই দেখতে পাবেন না। সিবিল ই-মেল মারফতও তা পাঠাবে না। সে ক্ষেত্রে ওই রিপোর্ট
পেতে নিজের পরিচয় ও ঠিকানার সব তথ্যের স্ক্যান করা কপি সিবিলের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। যার প্রত্যেকটিতেই আবেদনকারীর সই থাকা বাধ্যতামূলক। এখানে তিনটি জিনিস আপনাকে পাঠাতে হবে—

১) সিবিলে আপনি যে-টাকা জমা দিয়েছেন, তার রসিদ।

২) পরিচয়ের প্রমাণপত্র।

৩) ঠিকানার প্রমাণ।

এগুলি যাচাইয়ের পরে ডাকযোগে আপনার কাছে ট্রান্স ইউনিয়ন স্কোর এবং রিপোর্ট পাঠাবে সিবিল।

ক্রেডিট রিপোর্টে কী থাকে?

(১) সিবিল ট্রান্স ইউনিয়ন স্কোর: এটি হতে পারে ৩০০ থেকে ৯০০ পর্যন্ত। এই নম্বর যত বেশি, ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত পাকা। সাধারণত ৭৫০-এর বেশি নম্বর থাকলে ঋণ দেয় ব্যাঙ্কগুলি। তবে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে মাপকাঠি নিজস্ব।

(২) পরিচয়পত্র: আপনার পরিচয়। নাম, জন্ম তারিখ, প্যান নম্বর, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদির তথ্য।

(৩) যোগাযোগের ঠিকানা: স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা, ফোন/মোবাইল নম্বর, ই-মেল ইত্যাদি। এর মধ্যে নতুন ঋণ নেওয়ার সময়ে দেওয়া ঠিকানা এবং যাবতীয় যোগাযোগের নম্বর প্রথমে
দেখতে পাবেন।

(৪) জীবিকা ও আয়ের তথ্য: ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার সময়ে আয়ের যে-উৎসের কথা ব্যাঙ্ক বা ঋণদানকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, তার বিবরণ দেখা যাবে। থাকবে ঋণ নেওয়াকালীন আয়ের তথ্যও।

(৫) অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য: সিবিল রিপোর্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাধারণত তিন বছরের প্রত্যেক মাসের বিস্তারিত তথ্য দেখা যায় এখানে। এর আবার বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। যেমন—

কোন ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ ও ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন।

ঋণ কী ধরনের (গৃহ-ঋণ, গাড়ি-ঋণ, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি)।

একা নিয়েছেন না যৌথ ভাবে।

কবে ঋণের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, ঋণের অঙ্ক, শেষ কবে ঋণের টাকা শোধ করেছেন, কত বাকি রয়েছে ইত্যাদি।

ঋণ শোধ হয়েছে কি না, কোনও আইনি সমস্যা রয়েছে কি না, ইতিমধ্যেই সম্পদ থেকে ব্যাঙ্ক তা মুছে ফেলেছে কি না (রিটেন অফ) ইত্যাদি।

(৬) আপনার খোঁজ করেছেন কারা: ক্রেডিট কার্ড বা ঋণের নানা অফারের ফোন কিংবা ই-মেল প্রায়ই পান আপনি। জেনে রাখুন, তার আগে কিন্তু আপনার সম্পর্কে যাবতীয় খোঁজ নেয় ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। এ ক্ষেত্রে কারা আপনার সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছে, সেই তথ্য জানতে পারবেন।

দুই ছবি

গ্রাহক ১

মাসে আয় ৫০,০০০ টাকা

সাধারণত আয় ও সর্বোচ্চ ঋণের অনুপাত ৫০%
(ব্যাঙ্ক ধরে নেয় ন্যূনতম ৫০% টাকা সংসার চালাতে লাগবেই)

মাসিক কিস্তি ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত

বর্তমানে মাসিক কিস্তি ১০,০০০ টাকা

আয়ের সাপেক্ষে কিস্তি ১০,০০০/৫০,০০০ = ২০%

কিস্তি আরও বাড়ানো যাবে ২৫,০০০-১০,০০০= ১৫,০০০ টাকা

আরও ঋণ মিলবে ১৫ লক্ষ টাকার (মেয়াদ ২০ বছর এবং সুদ ১০% ধরে)

গ্রাহক ২

মাসে আয় ১,০০,০০০ টাকা

সাধারণত আয় ও সর্বোচ্চ ঋণের অনুপাত ৫০%
(ব্যাঙ্ক ধরে নেয় ন্যূনতম ৫০% টাকা সংসার চালাতে লাগবেই)

মাসিক কিস্তি ৫০,০০০ টাকার

বর্তমানে মাসিক কিস্তি ৫০,০০০ টাকা

আয়ের সাপেক্ষে কিস্তি ৫০,০০০/১,০০,০০০= ৫০%

কিস্তি আরও বাড়ানো যাবে ৫০,০০০-৫০,০০০= ০ টাকা

আরও ঋণ মিলবে ০ টাকার (মেয়াদ ২০ বছর এবং সুদ ১০% ধরে)

প্রথম গ্রাহকের তুলনায় দ্বিতীয় গ্রাহকের আয় দ্বিগুণ। কিন্তু তেমনই বেশি ঋণও।
তাই প্রথম জন আরও ধার পেলেও, দ্বিতীয় জনের ঋণ না-মঞ্জুর

ভাল স্কোর পেতে

ঋণ শোধের কিস্তি ঠিক সময়ে দেওয়া হচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন। এক সঙ্গে বেশি ঋণ থাকলে, অনেক সময়ে খেয়াল থাকে না। সুতরাং সাবধান।

ক্রেডিট কার্ডের টাকা নিয়মিত শোধ করুন। কোনও টাকা বাকি না-রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখবেন, বড় অঙ্কের ঋণ না-নিলেও শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ডের জন্য খারাপ নম্বর আসতে পারে। পরবর্তী কালে যে কারণে বাতিল হতে পারে আপনার নতুন ঋণের আবেদন।

খুব প্রয়োজন না-থাকলে, ব্যক্তিগত ঋণের (পার্সোনাল লোন) আবেদন করবেন না। বরং দেখুন অন্য কোনও খাতে টাকা পাওয়া যায় কি না। কোনও ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড দিতে চাইলেই কার্ড নেবেন না। বরং নিজের ক্ষমতা যাচাই করুন। তার পর রাজি হোন।

বড় ঋণ নিলে যতটা সম্ভব ডাউনপেমেন্ট করুন। নতুন করে ঋণ নেওয়ার বদলে চালু ঋণের সঙ্গে বরং টপ-আপের জন্য আবেদন করতে পারেন।

হাতে কিছু বাড়তি টাকা এলে, সঙ্গে সঙ্গে তা ধার শোধের কাজে খরচ করুন। এতে নম্বর বাড়তে পারে।

অনেকগুলি ক্রেডিট কার্ড বা ঋণ থাকলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কিস্তির সময় মনে রাখা সম্ভব হয় না। সে জন্য সাহায্য নিন প্রযুক্তির। এসএমএস বা মেলের মাধ্যমে নিজেকেই মনে করানোর ব্যবস্থা রাখুন। যাতে সময় এলেই তা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে।

অন্য কারও ঋণের গ্যারান্টার হওয়ার আগে সাবধান হন। গ্যারান্টার হয়ে থাকলে, নিয়মিত সেই ঋণের কিস্তি মেটানো হচ্ছে কি না, খোঁজ রাখুন। নইলে তার প্রভাব পড়বে আপনার স্কোরেও।

মনে রাখবেন ধার পাওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা থাকলে, কোনও জিনিস কেনার সময় ঋণ বাতিল নিয়ে লজ্জায় পড়তে হবে না। তাই নিয়মিত রিপোর্ট যাচাই করুন। সম্ভব হলে বছরে দু’বার।

লেখক সিবিলের গ্রাহক পরিষেবা বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট

জমিই হোক বা সঞ্চয়। আপনার যে কোনও বিষয়-সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য লিখুন। ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না। ‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১। ই-মেল: bishoy@abp.in

cibil score
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy