বড়দিনের রাতে ক্রিসমাস ট্রিয়ের থেকে আলতো ঝুলতে থাকা মোজায় কিংবা ছোটদের বালিশের কভারের ভিতরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে চকোলেট, পেন, বই, রঙবেরঙের আরও নানা উপহার। প্রতি বছরের মতো এ বারও। খুদেদের দৃঢ় বিশ্বাস, তাদের জন্য এই উপহারের ডালি ঠিক সাজিয়ে রাখবে সান্টা ক্লজ়। সান্টা তাদের নিরাশ করেনি।
কিন্তু এই খুদেরাই একটু বড় হয়ে বুঝতে পারে, এই উপহারের পিছনে গভীর রহস্য রয়েছে। টের পায় আসলে সান্টা আপনিই। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ভাবতে পছন্দ করে, শীতের রাতে সান্টাবুড়োই গাড়িতে করে বছর-বছর উপহার বয়ে আনে তাদের জন্য। বাদ পড়ে না বন্ধুরাও। প্রত্যেকের বাড়িতেই পৌঁছে যায় কিছু না কিছু পছন্দের উপহার। আর সত্যি বলতে, শুধু ছোটদের কথা বললে চলে না। কারণ, উপহার পেতে আর কার না ভাল লাগে? তাই না?
সেই সূত্রেই একটা কথা হঠাৎই মনে এল। তা হল, এই যে উৎসবে-অনুষ্ঠানে এত উপহার কিনি আমরা, তার ক’খানা কিছু দিন পরেও মনে থাকে? কতগুলি নিয়ে নাড়াচাড়া করি? আর কতগুলিই বা পরে থাকে ঘরের কোণে? কিছুটা অযত্নে। সে জন্যই মনে হয়, এমন কিছু দেওয়া ভাল, যা বহু বছর পরে বরং আরও দামি হয়ে উঠবে। কাজে লাগবে ভীষণ ভাবে। সঞ্চয় ও বিমার বিভিন্ন প্রকল্প কিন্তু সেই শর্ত পূরণ করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বলি। বড়দিন, জন্মদিন থেকে শুরু করে ভাল রেজাল্ট— বছরভর বিভিন্ন উপহারে উপচে পড়েছে আমার ছেলের আলমারি। কিন্তু সত্যিই কি একটি শিশুর কাছে এই উপহার যথেষ্ট? এটা ঠিক যে, সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর মতো উপহার দিতেই হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, এর পাশাপাশি মা-বাবার উচিত নিয়ম এবং পরিকল্পনা করে এমন কিছুর ব্যবস্থা করা, যার গুরুত্ব দীর্ঘ মেয়াদি। যা বড় হওয়ার পরেও আপনার সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। স্বস্তি দিতে পারে আপনাকেও। আজ এই ধরনের কয়েকটি উপহার নিয়ে কথা বলব। আলোচনা করব মা-বাবা, স্ত্রীকে উপহার দেওয়ার বিষয়েও। পাশাপাশি বলে রাখি, নিজেকে উপহার দেওয়াও খারাপ কিছু নয়, যদি তার সঙ্গে জড়িয়ে নেওয়া যায় পরিবারের অন্য সদস্যদের ভাল-মন্দ।
সন্তানের জন্য
• ডাইভার্সিফায়েড ইকুইটি ফান্ডে দীর্ঘ মেয়াদি এসআইপি: কম খরচে সন্তানের জন্য সহজতম আর্থিক পরিকল্পনা হল এসআইপি। ধরা যাক, বাছাই করা একটি ভাল ইকুইটি ফান্ডে প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে লগ্নি করা শুরু করলেন আপনি। প্রত্যেক বছর মোটামুটি ১২% রিটার্ন ধরলে ১৮ বছরে আপনার সন্তানের হাতে কত পুঁজি আসতে পারে ধারণা করতে পারেন কি? প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা। আরও বেশি সময় ধরে লগ্নি করলে স্বাভাবিক ভাবেই পুঁজির অঙ্ক হতে পারে আরও বড়। যা ওর উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগতে পারে। একাংশ কাজে লাগতে পারে বিয়ের সময়েও।
• জন্মদিনে শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড: উপহারের ধরনের পাশাপাশি আজকাল বদলাচ্ছে জন্মদিন পালনের রকমও। খরচ সাপেক্ষ পার্টি দেওয়ার বদলে সন্তানের জন্মদিনে দরিদ্র শিশুদের খাওয়াচ্ছেন অনেকে। সেই সঙ্গে কিছু টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়েকে কিনে দিচ্ছেন ভাল ব্লু-চিপ স্টক কিংবা মিউচুয়াল ফান্ড। আমার মনে হয়, এককালীন আর্থিক উপহারের জন্য এটা খুব ভাল পরিকল্পনা।
• সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: কন্যা সন্তানের জন্য এটি চমৎকার লগ্নি প্রকল্প। ১০ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়ের নামে এর অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। অন্যান্য সাবেক প্রকল্পের তুলনায় এর সুদের হার অনেকটাই বেশি। তিন মাস অন্তর সুদের হেরফের হলেও সম্প্রতি সুদ বেশ খানিকটা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রেও মেয়ের উচ্চশিক্ষার সময়ে ওই টাকা ব্যবহারের কথা ভাবা যেতে পারে। জন্মদিন বা যে কোনও উৎসবে উপহার হিসেবে মেয়ের ওই অ্যাকাউন্টে টাকা রাখুন। মেয়াদের শেষে বড় অঙ্কের টাকা তুলে দিতে পারবেন তার হাতে।
• মাইনর সেভিংস অ্যাকাউন্ট: জন্মদিন বা পুজোর মরসুমে ছোটরা যে শুধু জামাকাপড় পায় এমন নয়। অনেকে টাকাও দেন তাদের। সেই অঙ্কও নেহাত কম নয়। ছেলে-মেয়ের নামে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা সেখানে রাখতে থাকুন। জমানো টাকা একটা বড় অঙ্কে পৌঁছলে তা লগ্নি করতে পারেন ফিক্সড ডিপোজিটে।
মা-বাবার জন্য
সমস্ত সন্তানই এক সময়ে বড় হয়। তখন তার পালা আসে মা-বাবার মুখে হাসি ফোটানোর। আমার মনে হয়, তাঁদের আর্থিক ভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেয়ে ভাল উপহার আর হয় না।
• স্বাস্থ্য বিমা: প্রত্যেকটি মানুষের চিকিৎসার খরচ বাড়ছে প্রতি দিন। ভারতে সাধারণ মূল্যবৃদ্ধি এবং রোজগার বৃদ্ধির হারকে ছাপিয়ে বছর বছর এই খরচ বাড়ে অন্তত ১২-১৪% হারে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন প্রবীণরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে স্বাস্থ্য বিমা। আজকাল এই খরচও অবশ্য কম নয়। মা-বাবার স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের দায়িত্ব আপনারা নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে পারেন। দেখবেন, চিকিৎসা খরচ নিয়ে তাঁদের দুশ্চিন্তা অনেকটাই দূর হয়ে গিয়েছে।
বয়স্কদের চিকিৎসা বিমা সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা ভাল।
কম খরচের বেসিক প্ল্যান, বড় টপ-আপ: স্বাস্থ্য বিমার পরিকল্পনা করতে হবে একটু মাথা খাটিয়ে। মোটামুটি ৩ লক্ষ টাকার বেসিক কভারের বিমা করাতে পারেন। সেই সঙ্গে কিনুন ১০-১৫ লক্ষ টাকার টপ-আপ প্ল্যান।
অফিসের স্বাস্থ্য বিমা: আপনি যদি চাকরিজীবী হন এবং কর্মস্থল থেকে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান, তা হলে সেই প্ল্যানে মা-বাবাকেও যুক্ত করার চেষ্টা করুন। গ্রুপ প্ল্যানের খরচ এমনিতেই কম হয়।
ফ্যামিলি ফ্লোটার: অফিসের স্বাস্থ্য বিমা থাকলে চিকিৎসা সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হয় ঠিকই। কিন্তু মনে রাখবেন, আজকাল সেটাও যথেষ্ট নয়। অফিসের বিমা চলতে থাকুক। পাশাপাশি আরেকটু খরচ করে পরিবারের সদস্যদের জন্য আরেকটি ফ্যামিলি ফ্লোটার প্ল্যান কিনে রাখুন।
অতিরিক্ত খরচ: স্বাস্থ্য বিমা করা থাকলেও চিকিৎসার জন্য হাতে অতিরিক্ত কিছু টাকা রাখা প্রয়োজন। প্রবীণদের জন্য তো বটেই। স্বাস্থ্য বিমার কভারেজের অঙ্ক এবং আপনার আর্থিক পরিস্থিতির অনুযায়ী ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাতে রাখা ভাল। সেই টাকা রেখে দিন কোনও ডেট অথবা লিকুইড ফান্ডে। যাতে চিকিৎসার খরচ বৃদ্ধির সঙ্গে কিছুটা পাল্লা দেওয়া যায়।
• কাঁধে নিন লগ্নি পরিকল্পনার দায়িত্ব: অবসরের সময়ে প্রবীণরা যে টাকা হাতে পান, তার পুরোটাই সাধারণত রাখেন মেয়াদি আমানত, মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের মতো জায়গায়। এগুলির কয়েকটিতে করছাড় থাকলেও কয়েকটিতে আবার সেই সুবিধা নেই। তবে গত কয়েক বছরে যে ভাবে এগুলির সুদ কমেছে, তাতে ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধি ও অন্যান্য খরচের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এই সমস্যার দিকটা মাথায় রেখে মা-বাবার লগ্নি সামলানোর দায়িত্ব তুলে নিন নিজের কাঁধে। কী ভাবে ইকুইটি এবং ডেট প্রকল্পের মধ্যে ভারসাম্য রেখে লগ্নি করা যায়, সে ব্যাপারে তাঁদের সাহায্য করতে পারেন আপনিই। তবে প্রবীণ নাগরিক সঞ্চয় প্রকল্প কিংবা প্রধানমন্ত্রী বয়োবন্দনা যোজনার মতো প্রকল্পে লগ্নি করতে ভুলবেন না যেন।
• বেড়ানোর খরচ: স্বাস্থ্য বিমা, লগ্নি পরিকল্পনা তো আছেই। মাঝে মধ্যে মা-বাবার হাতে তুলে দিন বেড়াতে যাওয়ার খরচ। যাতে তাঁদের মনের বয়স আটকে থাকে ছোট অঙ্কে। মুখে থাকে হাসি। চেষ্টা করুন আপনারা বেড়াতে যাওয়ার সময়ে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে যেতে।
স্ত্রীকে উপহার
বিবাহবার্ষিকী হোক বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে। জন্মদিন হোক বা বড়দিন। স্ত্রীয়ের জন্য ফুলের তোড়া, গয়না থেকে শুরু করে রকমারি উপহার তো থাকবেই। আমার মনে হয়, এর পাশাপাশি কিছু আর্থিক উপহার তুলে দেওয়া উচিত তার হাতে।
• স্বাস্থ্য বিমা: এই বিষয়ে একটু আগেও আলোচনা করেছি। আসলে অসুখ বা চিকিৎসা এমন বিষয়, যা এড়ানো সম্ভব নয় কারও পক্ষে। এড়ানো অসম্ভব চিকিৎসার খরচ বৃদ্ধিও। তাই স্ত্রীকেও দেওয়া যেতে পারে এই উপহার।
হতে পারে আপনার স্ত্রীও কর্মস্থল থেকে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান। তা সত্ত্বেও তাঁকে কিনে দিতে পারেন আরও একটি স্বাস্থ্য বিমা। অথবা তাঁকে ও পরিবারের সকলকে নিয়ে চালু করতে পারেন ফ্যামিলি ফ্লোটার। তবে কেনার আগে দু’টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ১) পলিসিতে হাসপাতাল, ওষুধের পাশাপাশি ডে-কেয়ারের মতো সুযোগ সুবিধা রয়েছে কি না। ২) বাজারে বহু বিমা সংস্থা রয়েছে। কোনটিতে অপেক্ষাকৃত কম প্রিমিয়ামে ভাল সুবিধা পাওয়া যায় তা দেখে নিতে হবে।
মনে রাখবেন, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিমা ছাড়া অন্য ক্ষেত্রগুলিতে প্রত্যেক গ্রাহকের সম্মতির প্রয়োজন হয় না। ফলে স্ত্রীয়ের সই ছাড়াও ফ্যামিলি ফ্লোটার প্ল্যান কিনতে পারেন আপনি। আর সারপ্রাইস দিতে পারে তাঁকে।
• মিউচুয়াল ফান্ড: দীর্ঘ মেয়াদে বাজারের পরিস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক হলে মিউচুয়াল ফান্ডের মতো আর্থিক উপহারের জুড়ি মেলা ভার। সে ক্ষেত্রে স্ত্রীয়ের জন্য ভাল কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি কিংবা এসআইপি শুরু করতে পারেন। এসআইপির ক্ষেত্রে সুবিধা হল, কম খরচের পাশাপাশি আপনার স্ত্রীও যত দিন সম্ভব টাকা রাখতে পারবেন সেখানে। তবে কেওয়াইসি নথি জমা দিতে এবং লগ্নির আগে সংশ্লিষ্ট মিউচুয়াল ফান্ডের পুরনো রেকর্ড ঝালিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন।
• সোনা: উপহার হিসেবে এই একটি জিনিসের কদর সম্ভবত কমবে না কোনও দিন। আবেগের পাশাপাশি এর পিছনে শক্তপোক্ত যুক্তিও রয়েছে, যা মোটেই ফেলে দেওয়ার নয়। তা হল অতীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে সোনার দাম আকর্ষণীয় ভাবে বেড়েছে। ধাতব সোনার পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) মাধ্যমে সোনায় লগ্নি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইদানিং। ইটিএফে লগ্নি করলে ধাতব সোনার দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পরিবর্তিত হয় লগ্নির অঙ্ক।
• জমি-বাড়ি: চাইলেই হঠাৎ কেনা যায় না। আবার খরচের পাশাপাশি রয়েছে নথিপত্রের জন্য দৌড়ঝাপ। তবে জমি-বাড়ি কেনার বিষয়টি মাথায় রাখলে ক্ষতি কী? লগ্নি হিসেবে এই ক্ষেত্রটি কিন্তু বিতর্কের ঊর্ধ্বে। বাড়ি বা ফ্ল্যাট যদি কিনতেই হয়, তা হলে যৌথ ভাবে ঋণ নেওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে আপনার স্ত্রীও করছাড়ের সুবিধা পাবেন।
ভালবাসুন নিজেকেও
লগ্নি হোক বা বিমা— এতক্ষণ পর্যন্ত যে সমস্ত আর্থিক উপহার নিয়ে আলোচনা করলাম, তা তো পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখার জন্য। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ হবে না, যদি আপনি নিজের কয়েকটা বিষয় শক্তপোক্ত না করেন।
• বিমা: প্রথমত, সাবেক জীবন বিমার পাশাপাশি নিজের জন্য কিনতেই হবে যথেষ্ট অঙ্কের টার্ম পলিসি। দ্বিতীয়ত, পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য বিমার পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হবে নিজের স্বাস্থ্য বিমার ব্যাপারেও। অফিস থেকে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পেলেও নিজের জন্যও আলাদা বিমা কিনে রাখুন।
কেন? অফিসের স্বাস্থ্য বিমায় যে সুবিধা পাওয়া যায় ব্যক্তিগত বিমায় তা পাওয়া যায় না ঠিকই। কিন্তু দু’টি আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে তা কিনে রাখা উচিত। চাকরি ছাড়া কিংবা চাকরি চলে যাওয়া।
• অবসর পরিকল্পনা: অবসর জীবনের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা যে যথেষ্ট আগে থেকেই করা উচিত, তা কে না জানে। কিন্তু তা ঠিক ভাবে করেন কত জন?
ধরা যাক আপনার চাকরি এখনও ২৫ বছর বাকি। সময়টা কম নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবসর জীবনের জন্য ধীরে ধীরে লগ্নি করা শুরু করুন আজ থেকেই। যদি ইতিমধ্যে শুরু করে থাকেন, তা হলে তো খুবই ভাল। সে ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করুন ধীরে ধীরে সেই লগ্নি বাড়ানোর। নিজেকে উপহার দিতে পারেন এসআইপি। শুরু করতে পারেন পিপিএফ। এমনকি কর্মী প্রভিডেন্ড ফান্ডেও নিজের লগ্নির অংশ বাড়াতে পারেন।
• ঋণে নজর: প্রয়োজনে ঋণ নিতে হবে ঠিকই। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে দেখে নিন আপনার আর্থিক পরিস্থিতি এবং চলতে থাকা বাড়ি-গাড়ি ও অন্যান্য ঋণের অবস্থা। আপনি কি জানেন যে, ঋণের সুদ নিয়েও ব্যাঙ্কের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসা যায়? সে ক্ষেত্রে সুদের হার কিছুটা কমতেও পারে? সেই খাতে কিছুটা টাকা সাশ্রয় করতে পারলে, তা-ও লগ্নিতে কাজে লাগানো যায়।
প্রাতর্ভ্রমণ যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, তা তো সকলেই জানেন। কিন্তু সেটা করেন ক’জন? লগ্নি বা আর্থিক পরিকল্পনা তেমনই। ভেবে দেখুন, আজ যে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম, তার গুরুত্ব অধিকাংশ মানুষই জানেন। কিন্তু কাল-পরশু করেই বছর ঘুরে যায়। সে কারণেই ভাবনাচিন্তাগুলোকে একটু গুছিয়ে দেওয়া।
(লেখক লগ্নি বিশেষজ্ঞ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy