বহু বছর আগে কিছু সংস্থার শেয়ার কিনেছিলাম ১০ টাকা মূল দামে। এখন সেই সংস্থাগুলি কী অবস্থায় রয়েছে জানি না। ওই শেয়ারগুলি কি বিক্রি করা যাবে? যদি যায়, তা হলে কী করতে হবে?
বিমল দাস, কলকাতা
যে সব সংস্থা এক সময় বাজারে শেয়ার ছেড়েছিল, কিন্তু এই মুহূর্তে আর শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত নয়, তাদের শেয়ার বিক্রি হয় না। সে জন্য আগে দেখে নিন আপনার শেয়ারগুলি যে সব সংস্থার, তারা এখনও বাজারে নথিভুক্ত রয়েছে কিনা। নথিভুক্ত না-থাকলে সেগুলি আপনি বিক্রি করতে পারবেন না। তবে ভবিষ্যতে সংস্থাগুলি শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত হচ্ছে কিনা, সে দিকে নজর রাখতে পারেন। কারণ সংস্থা ফের নথিভুক্ত হলে, সেই শেয়ারগুলি তখন বিক্রি করার সুযোগ পাবেন আপনি।
তবে সংস্থাগুলি যদি একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে অর্থাত্ গুটিয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে কিন্তু আপনার আর কিছু করার নেই।
আর যদি সংস্থাগুলি এখনও শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত থাকে, তা হলে দেখুন তার সর্বশেষ বাজার দর এখন কত। সেই অনুসারে শেয়ার বিক্রি বা ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনি।
অনেক বছর আগে স্টেট ব্যাঙ্কের কিছু শেয়ার কিনেছিলাম। তখন তা পাওয়া যেত কাগজের সার্টিফিকেটে। এখন আমি সেই শেয়ারগুলি বিক্রি করতে চাই। কিন্তু কাগজের সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা তো আর নেই। কী করব?
শেখর বসু, হাওড়া
কাগজের সার্টিফিকেট হিসেবে কেনা যে কোনও শেয়ারই লেনদেন করতে হলে প্রথমে সেগুলি ‘ডি মেটিরিয়ালাইজ’ করতে হবে। অর্থাত্ সেগুলিকে ডি-ম্যাট ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে। এতে একটি অনলাইন অ্যাকাউন্টে আপনার নামে শেয়ারগুলি জমা থাকে। এ জন্য পছন্দমতো ‘ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট’-এর কাছে ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে আপনাকে। বিভিন্ন ব্রোকার সংস্থা, ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি ইত্যাদি এই ডি-ম্যাট পরিষেবা দিয়ে থাকেন। এ ভাবে এক বার ডি-ম্যাট হয়ে গেলে, তবেই সেই শেয়ারগুলি ফের বাজারে বিক্রি করতে পারবেন আপনি।
(পরামর্শদাতা অদিতি নন্দী)
আমার বয়স ২৪ বছর। মাসে নিট আয় ১৫ হাজার টাকা। আমি কি ৫০ লক্ষ টাকার টার্ম পলিসি করতে পারি?
তনুময় দত্ত, নোয়াপাড়া
আমার বয়স ৪৮। স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে নিয়ে সংসার। ব্যবসা করি। মাসে ৬০ হাজার টাকা আয়। খরচের পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা। ইএমআই, মেডিক্লেমের প্রিমিয়াম, এলআইসি-র প্রিমিয়াম দিতে হয়। পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে আমি একটি টার্ম পলিসি করে রাখতে চাই। কত টাকার টার্ম পলিসি করতে পারি সে বিষয়ে পরামর্শ চাই।
সুব্রত সাহা, দমদম পার্ক
আপনাদের দু’জনের প্রশ্ন প্রায় একই রকম। তাই একসঙ্গেই উত্তর দিচ্ছি। আপনাদের বয়স আলাদা। মাসিক বেতনের অঙ্কেও পার্থক্য রয়েছে। দায়-দায়িত্বও আলাদা আলাদা নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনাদের দু’জনকেই কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে এগোতে হবে। তা হলে আপনারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে, কত টাকার টার্ম পলিসি আপনার পক্ষে ভাল বা আপনার করা সম্ভব।
• বিমায় টার্ম পলিসি করলে সাধারণ পলিসির তুলনায় অনেক কম প্রিমিয়াম দিতে হয়।
• কত টাকার টার্ম পলিসি কিনবেন, তা নির্ভর করবে দু’টি বিষয়ের উপর। প্রথমত, আপনার পরিবারের জন্য কত টাকার ব্যবস্থা করে রাখতে চান। দ্বিতীয়ত, আপনার প্রিমিয়াম দেওয়ার সামর্থ কত।
• সামর্থের বাইরে গিয়ে বড় অঙ্কের পলিসি না-কেনাই ভাল। কারণ নিয়মিত প্রিমিয়াম দিতে না-পারলে কিন্তু পলিসি বাতিল (ল্যাপ্স) হয়ে যেতে পারে।
নতুন টার্ম পলিসি
বাজারে নতুন একটি টার্ম পলিসি আনল রিলায়্যান্স লাইফ ইনশিওরেন্স। সংস্থার দাবি, তাদের ‘অনলাইন টার্ম’ প্রকল্পে ন্যূনতম বিমা মূল্য হতে হবে ২৫ লক্ষ টাকা। করতে হবে ইন্টারনেটের মারফত। ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত জীবনের সুরক্ষা দেবে প্রকল্পটি। এ ছাড়াও, মহিলা ও ধূমপান করেন না, এমন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সুবিধাও রয়েছে। মিলবে করছাড়ও।