২০২৩ সালে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কাজ করতে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। নাম দেন গ্রেপটাইল। খুবই অল্প কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই সংস্থা। তাতে কী হয়েছে! কিছু দিনের মধ্যেই দক্ষের এই সংস্থা ৫৩ লক্ষ ডলার ‘সিড ফান্ডিং’ সংগ্রহ করে ফেলে। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীদের থেকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা জোগাড় করে ফেলেন তিনি।
সে সময় নারায়ণ মূর্তি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করে বলেছিলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের মানুষেরা দেশের উন্নতি করতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেছিলেন। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তরুণ প্রজন্মের আরও কঠিন পরিশ্রম করা উচিত।” যদিও পরবর্তী কালে বিতর্ক এড়াতে সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটেছিলেন ইনফোসিস কর্তা।
যদিও শোনা যায়, গ্রেপটাইলে কনিষ্ঠ কর্মচারীর বার্ষিক বেতন কোটি টাকার কাছাকাছি। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সংস্থায় জুনিয়র কর্মীদের বছরে প্রায় ১,৪০,০০০ থেকে ১,৮০,০০০ মার্কিন ডলার শুধু মূল বেতন (বেসিক পে) পাওয়ার সুযোগ থাকে, যা ভারতীয় মুদ্রায় ১.২ থেকে ১.৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। এখানেই শেষ নয়, এই বেতনের পাশাপাশি সংস্থার লভ্যাংশ-সহ বছরে অতিরিক্ত ১,৩০,০০০ থেকে ১,৮০,০০০ ডলার দেওয়া হয় কর্মীদের।
প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দক্ষকে। বাধ্য হয়ে তরুণ উদ্যোক্তা এই নিয়ে তাঁর সোশ্যাল হ্যান্ডলে প্রতিক্রিয়া দেন। জানান, তাঁর ইনবক্সে আসা মেসেজের মধ্যে ২০ শতাংশ ছিল মৃত্যুর হুমকি। বাকি ৮০ শতাংশই নাকি ছিল চাকরির আবেদন। তাই, সত্যি যাঁরা চাকরির সন্ধানে রয়েছেন তাঁদের সময়ের এই কঠোর বিধি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই বলেই দাবি করেন দক্ষ।
চিনের বেশ কিছু বড় সংস্থা ৯-৯-৬ পন্থা মেনে কাজ করে। অর্থাৎ সপ্তাহে ছ’দিন, সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। জাপানে আগে অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে মৃত্যু বা স্বাস্থ্যঝুঁকিও থাকত। যদিও এর পর সরকারের তরফে নীতি প্রয়োগ করা হয়। তা সত্ত্বেও, এখনও সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়ে সে দেশে। অনেকটা একই হাল ইউরোপ, আমেরিকার বেশ কিছু শহরেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy