এক বার বন্ধুর সঙ্গে মজা করতে সে একটি কুকুরের মাথা কেটে লাঠির সঙ্গে আটকে কুঁড়েঘরের সামনে রেখে দিয়েছিল। যা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল তার বন্ধু। কিন্তু এ ভাবে পশু হত্যা করেও থামেনি জেফরি। দেহের হাড় ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কী ভাবে সংরক্ষণ করা যায়, বাবার কাছ থেকে তা-ও শিখে ফেলেছিল সে। এর পর মরা জন্তুদের হাড় কেটে অ্যাসিড-সহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে কুঁড়েঘরের মধ্যে সংগ্রহ করে রাখত।
তার প্রথম খুন ১৯৭৮ সালে। ওহায়ো যাওয়ার পথে স্টিভেন মার্ক হিকস নামে এক জনের সঙ্গে পরিচয় হয় জেফরির। ‘রক কনসার্ট’-এ যাবেন শুনে জেফরি নিজের গাড়িতেই উঠতে বলে স্টিভেনকে। বাড়িতে একসঙ্গে মদ্যপান করার আমন্ত্রণও জানায়। বাড়িতে এলে ডাম্বেল দিয়ে তাঁকে বার বার আঘাত করে মেরে ফেলে জেফরি। তার পর স্টিভেনের মৃতদেহের বুকের উপর দাঁড়িয়ে স্বমেহন করে জেফরি। মৃতদেহ টুকরো করে কেটে মাংসগুলি অ্যাসিডে পচিয়ে সেই তরল বাথরুমের ড্রেনে ফেলে দেয়। হাড়গুলোও ভেঙে গুঁড়ো করে বাড়ির পিছনের জঙ্গলে পুঁতে ফেলে জেফরি।
কিন্তু চাকরি ছাড়ার সময় তাকে একটি বিমানের টিকিট দেওয়া হয় যাতে সে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে ঘুরতে যেতে পারে। জেফরি ফ্লোরিডায় ঘুরতে গিয়ে সেখানকার একটি দোকানে চাকরিও পেয়ে যায়। কিন্তু বেতনের অধিকাংশ পরিমাণ মদের পিছনে খরচ করায় জেফরির বাবা তাকে আবার বাড়ি ফিরে আসতে বলেন। জেফরির স্বভাব পরিবর্তনের আশায় তাকে উইসকনসিনে দিদার বাড়িতে পাঠানো হয়।
হেফাজতে থাকাকালীন তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ‘পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’ ছাড়াও বিভিন্ন রকমের মানসিক সমস্যা ছিল জেফরির। পরে সহবন্দিদের হাতেই খুন হতে হয় জেফরিকে। অ্যান্ডারসন নামে এক সহবন্দি জেফরির মাথায় ধাতব বার দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে। অ্যান্ডারসন জানায়, ভগবান তাকে আদেশ দিয়েছিল যেন সে জেফরিকে খুন করে। জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পরেই মারা যায় সিরিয়াল কিলার জেফরি ডাহমার। ১৯৯৪ সালে তার মৃত্যুর সঙ্গেই শেষ হয় এক অন্ধকার অধ্যায়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy