‘লক আপে’ থাকাকালীন অঞ্জলি এক বার বলে বসেন তাঁর রাশিয়া সফরের কথা। যা শোনার পর অনেকেরই চোখ কপালে! তাঁর সোজাসাপ্টা কথা— ‘‘ডিসেম্বরে রাশিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন আমি সিঙ্গল। সেখানকার হোটেলের রিসেপশনিস্টকে দারুণ লাগত। এক শনিবারের রাতে আমি ওর থেকে পাঁচ হাজার রুবল (ভারতীয় মুদ্রায় আড়াই হাজার টাকা) নিয়েছিলাম।’’
কী বলেছিলেন অঞ্জলি? বেশ তো দু’জনে একে অপরের চোখে চোখ, হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াতেন। তারই ফাঁকে এক পর্বে অঞ্জলি বলে ফেলেছিলেন, ‘‘আমি তোমাকে ভালবাসি!’’ তা শুনে মুনাওয়ারের মুচকি হাসি বেরিয়েছিল। তিনি পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘তোমার জন্য মাথার ডাক্তারকে ডাকছি।’’ সঙ্গে সঙ্গে অঞ্জলির জবাব ছিল, ‘‘হ্যাঁ, তার প্রয়োজন আছে।’’
‘লক আপে’ নিজেকে মেলে ধরেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন অঞ্জলি। তাঁর সাফ কথা, ‘‘অন্যেরা আমার সম্পর্কে কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না! আমি মনে করি, আপনি সৎ ভাবে কোনও কিছুতে বিশ্বাস করলে লোকে আপনাকে ভালবাসবেই। এমনকি, ভুল করলেও তা মাফ করে দেবে। নিজের আবেগের প্রতি সৎ থাকাকেই গুরুত্ব দিয়েছি। লোকদেখানো কিছু করিনি।’’
‘লক আপ’ থেকে বেরোনোমাত্রই কি মুনাওয়ারের প্রতি তাঁর ‘প্রেম’ উবে গিয়েছিল? না হলে অঞ্জলি কেন তাঁর প্রেমিক আকাশ সনসমবালের সঙ্গে হামেশাই এক ছবিতে দেখা দেন? নেটমাধ্যমে এ প্রশ্নের ছড়াছড়ি। অনেকে তো বলেন, আকাশের সঙ্গেই নাকি তাঁর বাগ্দান হয়ে গিয়েছে। তবে এ বারেও অঞ্জলির সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘‘আমার কাছে আকাশ স্পেশাল। আমাদের বন্ধনও বেশ গাঢ়। ওর জন্য আমার হৃদয়ে জায়গা রয়েছে বটে। তবে বাগ্দান হয়নি।’’
সত্যি নাকি? ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্নের তির এগিয়ে আসতেই ভেঙে পড়েছেন অঞ্জলি। ইউটিউবার সিদ্ধার্থ কাননের কাছে সাক্ষাৎকারে কেঁদেকেটে অঞ্জলির দাবি, তাঁর নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। মজা লুটতেই এ ভাবে তাঁর সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে। সত্য-মিথ্যার বিচারের রায় আসার আগেই অবশ্য আবারও বিতর্কের ঘোলাজলে ডুবে গিয়েছেন অঞ্জলি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy