প্রথমে ইউক্রেনীয় তরুণী ইরিনা জ়ারুৎস্কা। তার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা যুব নেতা চার্লি কার্ক। কয়েক দিনের ব্যবধানে এই দু’জনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সরগরম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। বিশ্বের পয়লা নম্বর ‘সুপার পাওয়ার’ দেশটিতে দক্ষিণ ও বামপন্থীদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে ঘৃণাভাব ও বিদ্বেষ। ঊর্ধ্বমূখী বর্ণবৈষম্যমূলক দ্বন্দ্ব। সেই সঙ্গে উঠে গিয়েছে আর একটি প্রশ্ন। কতটা সুরক্ষিত আজকের আমেরিকা?
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আগামী দিনে দক্ষিণ ও বামপন্থীদের মুখোমুখি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হবে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি আরও একবার গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে পারে আমেরিকা। এর নেপথ্যে বেশ কয়েকটি স্ফুলিঙ্গকে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। সেগুলি হল, আগ্নেয়াস্ত্রের ঢালাও লাইসেন্স বিলি, সমপ্রেমী ও রূপান্তরকামীদের অধিকারের লড়াই এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ। ২১ শতকের আমেরিকা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে বলেও মনে করেন তাঁরা।