Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
Political Violence in US

বন্দুকবাজদের অহরহ নরহত্যা, সাদা-কালো বিরোধে বাড়ছে ঘৃণা-হিংসা! কার্ক ও ইরিনা খুনে ভিতর থেকে ধ্বংসের মুখে যুক্তরাষ্ট্র?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা যুব নেতা চার্লি কার্ক ও ইউক্রেনীয় তরুণী ইরিনা জ়ারুৎস্কার নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সরগরম আমেরিকা। হিংসা বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন অসুরক্ষিত হয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র? উঠছে প্রশ্ন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২৫
Share: Save:
০১ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

প্রথমে ইউক্রেনীয় তরুণী ইরিনা জ়ারুৎস্কা। তার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা যুব নেতা চার্লি কার্ক। কয়েক দিনের ব্যবধানে এই দু’জনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সরগরম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। বিশ্বের পয়লা নম্বর ‘সুপার পাওয়ার’ দেশটিতে দক্ষিণ ও বামপন্থীদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে ঘৃণাভাব ও বিদ্বেষ। ঊর্ধ্বমূখী বর্ণবৈষম্যমূলক দ্বন্দ্ব। সেই সঙ্গে উঠে গিয়েছে আর একটি প্রশ্ন। কতটা সুরক্ষিত আজকের আমেরিকা?

০২ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আগামী দিনে দক্ষিণ ও বামপন্থীদের মুখোমুখি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হবে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি আরও একবার গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে পারে আমেরিকা। এর নেপথ্যে বেশ কয়েকটি স্ফুলিঙ্গকে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। সেগুলি হল, আগ্নেয়াস্ত্রের ঢালাও লাইসেন্স বিলি, সমপ্রেমী ও রূপান্তরকামীদের অধিকারের লড়াই এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ। ২১ শতকের আমেরিকা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে বলেও মনে করেন তাঁরা।

০৩ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সরকারি তথ্যতেই ‘অসুরক্ষিত’ আমেরিকার সপক্ষে মিলেছে একাধিক প্রমাণ। কারণ, গত কয়েক বছরে বন্দুকবাজদের হামলায় বার বার গণহত্যা প্রত্যক্ষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে গির্জা, শপিং মল, কনসার্ট বা জনবহুল এলাকা— যত্রতত্র গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে অহরহ। ২০২৪ সালে আমেরিকায় বন্দুকবাজদের হাতে প্রাণ হারান ৪৩ হাজার নিরীহ মানুষ, যা প্রতি বছর গড়ে ১৪ হাজার মৃত্যুর চেয়ে অনেকটাই বেশি।

০৪ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

যুক্তরাষ্ট্রের আইনে আগ্নেয়াস্ত্রের ঢালাও লাইসেন্স বিলির বিধান রয়েছে। স্বয়ং ট্রাম্প একে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বলে মনে করেন। সরকারি হিসাবই বলছে, এর জেরে আমেরিকার বাসিন্দাদের হাতে বর্তমানে ৩০ কোটির বেশি হাতিয়ার রয়েছে। আর তাই সামান্য বিবাদেই গুলি চলার ঘটনা ঘটে বিশ্বের পয়লা নম্বর ‘সুপার পাওয়ার’ দেশ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অবসাদে আত্মহত্যাও। ফি বছরে অন্তত ২৫ হাজার মার্কিন বাসিন্দা আত্মঘাতী হচ্ছেন বলে খবর।

০৫ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

চার্লি ও ইরিনা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইক জেনসেন। ১৯৭০ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন তিনি। জেনসেন মনে করেন, জাতি হিসাবে ধ্বংসের দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন আমেরিকানরা। জোড়া খুনের ঘটনাকে ভয়াবহ এবং উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে এটা তাঁর কাছে উদ্বেগজনক নয়। নিজের এ-হেন মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক।

০৬ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনসেন বলেছেন, ‘‘চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৫০টি রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের তুলনায় এই অঙ্ক প্রায় দ্বিগুণ। যে ভাবে খুনের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, তা খুবই বিপজ্জনক। আগামী দিনে এটা নাগরিক অস্থিরতা তৈরি করবে।’’ আমেরিকায় হিংসার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা এবং জনসংখ্যায় জাতিগত পরিবর্তনকেও চিহ্নিত করেছেন তিনি।

০৭ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

২০১৭ সাল থেকে টানা চার বছর প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। ২০২১ সালে ভোটে তিনি হেরে যেতেই ক্যাপিটল হিলে তাঁর অন্ধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে ওঠে দাঙ্গা করার অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হোয়াইট হাউসের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এবং আবাস ছাড়তে চাননি ট্রাম্প। ২০২৪ সালের ভোটে ফের নির্বাচিত হন তিনি। এই সময়সীমার মধ্যে আমেরিকায় ৩০০-র বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৭০ সালের পর এই সংখ্যা সর্বাধিক।

০৮ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

বিশ্লেষকদের একাংশ আবার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে হিংসা বৃদ্ধির জন্য কিছু ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন। দ্বিতীয় বার কুর্সিতে বসেই বেআইনি অনুপ্রবেশ আটকাতে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করেন তিনি। ফলে অভিবাসীদের কাছে চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তা ছাড়া ইজ়রায়েল পুরোপুরি ভাবে গাজা দখল করুক, তেমনটাই চান ইহুদিদের গোড়া সমর্থক ট্রাম্প। তাঁর এ-হেন চিন্তাভাবনা আমেরিকার অভ্যন্তরে ইজ়রায়েল বিদ্বেষ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

০৯ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

গত মে মাসে রাজধানী ওয়াশিংটনে খুন হন ইজ়রায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে এক প্যালেস্টাইনপন্থীকে গ্রেফতার করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘গাজ়ায় গণহত্যা চালাচ্ছেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তারই প্রতিবাদে দূতাবাসের কর্মীদের উপরে চড়াও হয়েছি।’’ গত দু’দশকে আমেরিকায় ধর্মীয় চরমপন্থা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জন লুইস।

১০ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ হিংসায় মদত দিতে পারে মেক্সিকো, কলম্বিয়া এবং ভেনেজ়ুয়েলার মাদক মাফিয়ারা। কারণ, তাঁদের সমূলে নির্মূল করার একরকম শপথ নিয়ে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ ছাড়া প্যালেস্টাইনপন্থীদের পাশাপাশি ‘দায়েশ’-এর (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া বা আইসিস) মতো কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠীও আমেরিকায় প্রবল ভাবে কট্টরপন্থী মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দারা।

১১ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

গত অগস্টে মার্কিন রাজ্য নর্থ ক্যারোলিনায় ট্রেনে সফররত অবস্থায় খুন হন ইউক্রেনীয় তরুণী ইরিনা। সেই হত্যাকাণ্ডে ডেকার্লোস ব্রাউন জুনিয়র নামের এক আফ্রিকান-আমেরিকানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে ট্রেনে উঠে ইরিনাকে একটি আসনে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁর ঠিক পাশেই ছিলেন ব্রাউন। কিছু বুঝে ওঠান আগেই পকেট থেকে ছুরি বার করে ব্রাউন ইরিনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এর পর ইউক্রেনীয় তরুণীর ঘাড়ে-গলায় উপর্যুপরি কোপ মারতে থাকেন। ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

১২ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এর আগে একাধিকবার জেল খেটেছেন অভিযুক্ত ডেকার্লোস। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে অশান্তি বাধার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, সাদা চামড়ার আমেরিকানদের বড় অংশই মনে করেন দেশে অপরাধ বৃদ্ধির নেপথ্যে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছেন আফ্রিকার অভিবাসীরা। অন্য দিকে কৃষ্ণাঙ্গদের অভিযোগ, আইনে সমানাধিকারের কথা বলা থাকলেও শিক্ষা থেকে কর্মসংস্থান, সব জায়গাতেই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তাঁরা।

১৩ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

গত ১০ সেপ্টেম্বর উটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বছর ৩১-এর চার্লি। সেখানে দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ী। গুলি তাঁর গলা ফুঁড়ে চলে যায়। মঞ্চেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন কার্ক। সংশ্লিষ্ট হত্যাকাণ্ডে স্নাইপার শ্রেণির রাইফেল ব্যবহার হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুঁদে গোয়েন্দা সংস্থা ‘ফেডারেশন ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ বা এফবিআই। খুনের কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হন তাঁরা।

১৪ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

চার্লি খুনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আততায়ীকে গ্রেফতার করে এফবিআই। বছর ২২-এর ওই যুবকের নাম টাইলার রবিনসন। পরে ফক্স নিউজ়ের করা একটি প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, আততায়ীকে ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁর বাবা। উল্লেখ্য, জোড়া হত্যাকাণ্ডের পর জাতীয় উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। সেখানে কার্ককে ‘পুত্রসম’ এবং ইরিনার আততায়ীকে ‘রাক্ষস’ বলে সম্বোধন করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি, চার্লি খুনের দায় বামপন্থীদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

১৫ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

ট্রাম্পের এ-হেন মন্তব্যের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, চার্লি খুনের ঘটনাকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, কার্ক নিজেও ছিলেন চরম বামবিরোধী ও কট্টর দক্ষিণপন্থী। আর তাই জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত তত্ত্বগুলিকে বামপন্থীদের ষড়যন্ত্র বলে মনে করতেন তিনি। কোভিডের টিকা আবিষ্কারের নেপথ্যেও চক্রান্তের গন্ধ পেয়েছিলেন চার্লি।

১৬ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

মার্কিন রাজনীতিতে উল্কার গতিতে উত্থান হয় চার্লির। মাত্র ২২ বছর বয়সে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় কনভেনশনের বক্তা ছিলেন তিনি। গত বছরের নির্বাচনে ট্রাম্পের তোলা মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) স্লোগানকে যুব সমাজের কাছে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা ছিল কার্ক। গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন এবং সমপ্রেমী-রূপান্তরকামীদের নিয়ে প্রকাশ্যে বিষোদ্গার করতেন তিনি। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আলাদা জনভিত্তি তৈরি হয়েছিল তাঁর।

১৭ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

আমেরিকায় বন্দুকবাজদের হামলা বেড়ে যাওয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স সংক্রান্ত আইন বদলে ফেলার দাবি তোলেন রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশ। চার্লি ছিলেন এর ঘোর বিরোধী। এতে যুক্তরাষ্ট্রের মূলগত কাঠামো ভেঙে পড়বে বলে মনে করতেন তিনি। পাশাপাশি, গণহত্যার ঘটনাগুলিকে সে ভাবে আমল দিতেই চাইতেন না কার্ক। অদ্ভুত ভাবে এই নিয়মের জন্যেই প্রাণ দিতে হল তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ভাষণ দক্ষিণপন্থীদের হিংসায় উৎসাহ দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

১৮ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

বিশেষজ্ঞদের দাবি, চার্লি খুনের বদলা নিতে আগামী দিনে জনপ্রিয় বাম নেতা-নেত্রীদের নিশানা করতে পারেন দক্ষিণপন্থীরা। সে ক্ষেত্রে আরও জটিল হবে পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের বামপন্থীরা আবার এই লড়াইয়ে সমপ্রেমী ও রূপান্তরকামীদের পাশে পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও অশান্তির আশঙ্কা সত্ত্বেও অস্ত্র আইনে এখনও কোনও রদবদলের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

১৯ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চার্লি হত্যাকাণ্ডের পর উঠে গিয়েছে আরও একটি প্রশ্ন। আগামী দিনে কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আবার নিশানা করতে পারে কোনও আততায়ী? গত বছরের ১৩ জুলাই পেনসিলভ্যানিয়ায় নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন তাঁর মাথা লক্ষ্য করে ছুটে এসেছিল স্নাইপারের গুলি। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে চলে যায় সেই বুলেট। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা যুবককে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

২০ ২০
Charlie Kirk assassination may inspire more political violence in US

পেনসিলভ্যানিয়ার ওই ঘটনার পর আরও এক বার ট্রাম্পের উপরে গুলি চালানোর চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। কিন্তু, সে বারও প্রাণে বেঁচে যান যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। পরে এই দুই ঘটনাকে ‘ঘরোয়া সন্ত্রাসবাদ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাজনৈতিক হত্যা যে ভাবে আমেরিকায় বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে সেখানে বাক্‌স্বাধীনতা কতটা বজায় থাকবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy