ডিজিটাল দুনিয়ার যত অগ্রগতি হয়েছে, তার ফাঁকফোকরগুলিও ততই প্রকট হচ্ছে। তাই প্রতিনিয়তই সাইবার প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে আসছে দেশ এবং দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সাইবার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে তাই সরকার থেকে জনগণকে বার বার সতর্ক করা হয়। কিন্তু তার পরেও সামান্য ভুলচুকেই কারও অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যাচ্ছে, কারও ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে পাসওয়ার্ড দিয়েই যে আপনি পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারবেন এমনটাও নয়।
তবে পাসওয়ার্ড দেওয়ারও বেশ কিছু নিয়ম আছে। অনেক ক্ষেত্রে কোনও কোনও অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলেই সেখানে এই সম্পর্কিত নির্দেশিকা দেওয়া থাকে। ‘স্ট্রং পাসওয়ার্ড’ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। ‘স্ট্রং পাসওয়ার্ড’ না দিলে তৎক্ষণাৎ সেই বার্তাও দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও পাসওয়ার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশির ভাগই খুব সাধারণ পাসওয়ার্ড দেওয়ার দিকে ঝোঁকেন।
এখানেই শেষ নয়, এই ধরনের পাসওয়ার্ডের তালিকা আরও দীর্ঘ। তার মধ্যে রয়েছে, ‘১১২২৩৩’, ‘১০২০৩০’-র মতো সংখ্যাও। তবে অনেকেই আবার নিজের নাম, জন্মতারিখ বা প্রিয়জনের নামেও পাসওয়ার্ড তৈরি করেন। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের পাসওয়ার্ডও চট করে ভেঙে ফেলতে পারে সাইবার অপরাধীরা। তাই এই ধরনের পাসওয়ার্ড যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভাল।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা তাই বার বার সতর্ক করেন, তিন মাস বা ছ’মাস অন্তর পাসওয়ার্ড বদল করা জরুরি। অজানা কোনও লিঙ্কে ক্লিক না করা উচিত। এই ধরনের লিঙ্ক মোবাইলে বা ইমেলে পাঠিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে থাকে সাইবার অপরাধীরা। তাই পাসওয়ার্ড সব সময়েই ‘চেনা ছকের’ বাইরে হওয়া উচিত বলে মনে করেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy